page hit counter

মাত্র ১২৭৮ টাকায় বানিজ্যিক মিটার পেলাম! পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম ২০২৫-পুরো অভিজ্ঞতা

শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি, আজকের আলোচনা হল-পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম ২০২৫,বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে গেলে অনেকেই ভাবে, এটা বুঝি দালাল ছাড়া সম্ভব নয়। কিন্তু আমি নিজেই শুধু ১২৭৮ টাকায় অনলাইনে আবেদন করে বানিজ্যিক মিটার পেয়েছি। যদিও প্রক্রিয়াটা এতটা সহজ ছিল না, তবে ধাপে ধাপে কাজ করলে আপনিও পারবেন। চলুন, আমি পুরো অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করি যাতে আপনিও উপকৃত হতে পারেন।

প্রথমে আমি আমার অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করব, খুব একটা বুঝতে পারবেন না, তবে এতে আপনার সাহস বাড়বে, মনে হবে আপনি পারবেন, এরপরে আমি বিস্তারিতভাবে আপনাকে হাতে-কলমে শিখিয়ে দিব কিভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নতুন মিটার নামানোর প্রক্রিয়াটি আপনি সম্পাদন করবেন।


১. আবেদনের শুরুতেই ধাক্কা – ১৩ সংখ্যার হিসাব নম্বর-পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম ২০২৫

পল্লী বিদ্যুতের অনলাইন পোর্টালে আবেদন করতে গেলে পাশের পোলের বা নিকটবর্তী মিটারের ১৩ ডিজিটের হিসাব নম্বর দিতে হয়। আমার মিটার আবেদনের সময় সবচেয়ে বড় সমস্যাটা এখানেই হয়।

আমি আশেপাশের মিটারের একাধিক হিসাব নম্বর দিয়ে চেষ্টা করলেও বারবার দেখাতো – “হিসাব নম্বর ভুল”। তখন হতাশ হয়ে পড়ি এবং ভেবেছিলাম হয়তো আমাকে দালালের সাহায্য নিতে হবে।


২. দালাল চাইল ৫০০০ টাকা, আমি করলাম ১২৭৮ টাকায়-পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম ২০২৫

অনেকেই বলেছিল – “আপনি নিজে পারবেন না”, “কাউকে দিয়ে দিন”, এমনকি একজন দালাল আমাকে ৫০০০ টাকা চেয়েছিল মিটার লাগানোর জন্য। অথচ আমি নিজে সব করে করেছি মাত্র ১২৭৮ টাকায়, কিভাবে ? আবেদন করেছি ১৩৮ টাকায় আর ডিমান্ড নোটের টাকা জমা দিয়েছি ১১৪০ টাকা, এই ১২৭৮ টাকা আমাকে অফিস কে দিতে হয়েছে।

এখানে আমি যে ১১৪০ টাকা জামানত হিসেবে দিয়েছি এই টাকা আপনাকে পল্লী বিদ্যুৎ ফেরত দেবে যখন আপনি মিটারটি তাদের কাছে ফেরত দিবেন।ওয়ারিং এর জন্য যে মালামাল কিনেছি সেগুলি তো আমার কাছে থেকেই যাচ্ছে, ১৪০০ টাকার মতো ওয়ারিং এর জন্য মালামাল কিনেছি, এই টাকাটা মিটার নামানোর খরচের সাথে ধরতে পারেন আবার নাও ধরতে পারেন।

আর আমি ২০ ফিট ড্রপ তার কিনে নিয়েছিলাম, এখন ড্রপ তার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সরবরাহ না থাকায় দিতে পারতেছে না, এটি আপনি কিনে প্রথমে মিটার লাগাতে হবে পরে অবশ্যই এই ড্রপ তারের টাকা প্রতি মাসে বিলের কাগজের সাথে অল্প অল্প করে তারা আপনাকে দিয়ে দেবে। মানে বিল যদি ৫০০ আসে ৫০ টাকা তারের বাবদ কম লিখবে। এটা বাস্তব এরকমই হবে।


৩. সরকারি জমিতে দোকান, আবাসিক না বানিজ্যিক?

আমার দোকানটি বাজারের মধ্যে সরকারি জায়গায়। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস প্রথমে বলল, জমির লিজ কাগজ না থাকলে বানিজ্যিক মিটার দেওয়া সম্ভব নয়। ভূমি অফিসে গেলে তারা ভোটার আইডি, ট্রেড লাইসেন্স, ছবি নিয়ে ডিসি অফিস বরাবর আবেদন করতে বলল – যা একটি দীর্ঘ প্রসেস। আবার ডিসি অফিস অনুমোদন দিবে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ ছিল।

তবে আপনার জায়গা যদি নিজস্ব মালিকানাধীন হয় তাহলে জমির পর্চা বা দলিল সাবমিট করলেই আপনি আবেদন করতে পারবেন, এত প্যারা নিতে হবে না। আর আবাসিক মানে বাসা বাড়ির জন্য মিটার নামানো তো আরো সহজ।


৪. ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র

পরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে বলা হয়, চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র আনলে চলবে। আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করি এবং তারপর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করি।


৫. ইউটিউব ভিডিও দেখে নিজেই ফর্ম পূরণ

ইউটিউবে কয়েকটা ইইটিইবি ভিডিও দেখি এবং বুঝে নেই কীভাবে ফর্ম পূরণ করতে হয়। এরপর পল্লী বিদ্যুৎ অনলাইন পোর্টালে নিজেই আবেদন করি।


৬. হিসাব নম্বর পেলাম ডিজিএম স্যারের সাহায্যে

শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে বীরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম ফেরদৌস স্যারের সাথে দেখা করি। তিনি একজনের মোবাইল নম্বর দেন যিনি আমাকে নির্ভুল ১৩ ডিজিটের হিসাব নম্বর দেন। এরপরে আমি সফলভাবে আবেদন সাবমিট করতে পারি।


৭. আবেদন আটকে যায় ৮ নম্বর ধাপে

৩ দিন পর “মেম্বার সার্ভিস কর্তৃক প্রাথমিক অনুমোদন” হয়। এরপর আরও কিছু ধাপ পার হয়ে ১৫ দিন ধরে ৮ নম্বর ধাপে আটকে ছিল – “মিটার ওয়াডার ও সরবরাহ বা CMO Issue”। অফিসে জানালে বলে, মিটার সরবরাহ নেই, আসলেই লাগিয়ে দেবে। এর মাত্র দুইদিন পরে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে লোক এসে আমার দোকানের নতুন মিটারটি লাগিয়ে দিয়ে গেছে।


৮. বানিজ্যিক মিটার নামানো সহজ নয়, তবে সম্ভব

বাসাবাড়ির জন্য আবাসিক মিটার নামানো তুলনামূলক সহজ, তবে বানিজ্যিক মিটার কিছুটা জটিল। সরকারি জমি হলে ঝামেলা আরও বেশি। তবে চেষ্টায় সফলতা আসে – এটাই আমার অভিজ্ঞতা।দালাল ছাড়া, সরকারি জমিতে দোকান থাকা সত্ত্বেও আমি মাত্র ১২৭৮ টাকায় বানিজ্যিক মিটার পেয়েছি। আপনারও যদি মিটার লাগে, তবে দালাল ছাড়া নিজেই করুন।

এবার আমি নিচের অনুচ্ছেদ আপনাকে আবেদনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রসেসটা সুন্দর করে বিস্তারিত আলোচনা করব-

Let's Jump to Paragraphs

নতুন মিটারের জন্য আবেদন করার নিয়মাবলী-Rules for applying for a new meter

১) আপনাকে এখানে ক্লিক করে এই www.rebpbs.com ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটটি আনসিকিউর দেখাবে এতে ভয় পাবেন না।আবেদন করার সময় ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র ও সংযোগস্থলের মূল দলিল/খারিজের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে। এই বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেয়াল করেন, অবশ্য এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আমি নিচের অনুচ্ছেদে আলোচনা করেছি, ক্যানভা ইউজ করে আমি আমার ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র ও খারিজের কপি রিসাইজ করে নিয়েছিলাম।



২) সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব (সংযোগস্থল হইতে সার্ভিস পোলের দুরত্ব)১৩০ ফুটের মধ্যে হতে হবে। আমার ক্ষেত্রে আমার দোকানের সাথেই সার্ভিস পোল রয়েছিল, সে ক্ষেত্রে মাত্র ২০ সিট ফিট ড্রপ তার লেগেছিল।



৩) সঠিক ভাবে মেপে সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব প্রদান করুন। সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব সঠিক না হলে তারের দৈর্ঘ্য কম/বেশি পারে। ভুল তথ্য দিলে পরবর্তীতে সংযোগ পেতে বিলম্ব হতে পারে। আমি যতটুকু বুঝলাম ভুল তথ্য দিলে আপনার আবেদনটি বাতিল হতে পারে।



৪) আবেদনের সাত (৭) দিনের মধ্যে ঘর/হাউজ ওয়্যারিং এবং সোলার ইউনিট (প্রযোজ্য হলে) স্থাপন করতঃ তা অনলাইনে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। অন্যথায় আবেদনটি অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে। আমি পরের দিন মানে আবেদন করার পরের দিন ঘর ওয়্যারিং করার জন্য সমস্ত ধরনের মালামাল ক্রয় করে নিয়ে এসে আমার দোকান ঘরটি ওয়্যারিং সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম।

কিভাবে সুন্দর করে এবং নির্ভুলভাবে আমি এই কাজটি করেছি সেটি আমি আলাদা করে নিচে একটা অনুচ্ছেদে বিস্তারিত সুন্দর করে বর্ণনা করেছি, আশা করছি জিনিসগুলো আপনাকে বুঝাতে পারছি আমি।



৫) মোট লোড ৮০ কিলোওয়াট এর বেশি হলে এইচটি সংযোগের নিয়মাবলী প্রযোজ্য হবে।



৬) অনলাইনে সার্ভে করার পর প্রয়োজনীয় অর্থ (আবেদন ফি, মেম্বারশীপ ফি ও নিরাপত্তা জামানত) জমাদানসহ সকল নির্দেশনা এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে। আমি নিজে আমার ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের মাধ্যমে আবেদন ফি মেম্বারশিপ ফি ও নিরাপত্তা জামানত প্রদান করেছি, কিভাবে করেছি এটা সুন্দরভাবে আমি নিচে একটা অনুচ্ছেদে বিস্তারিত ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করেছি।



৭) আবেদন ফরমের লাল(*) চিহ্নিত ক্ষেত্রগুলো অবশ্যই পূরন করতে হবে।



৮) আবেদন পত্রে গ্রাহকের নিজস্ব মোবাইল নম্বর প্রদান করুন। এই মোবাইল নম্বরটি অবশ্যই আপনার সাথে সব সময় থাকতে হবে এবং এই নম্বরে অফিস আপনাকে যাবতীয় এসএমএস প্রদান করবে।



৯) আবেদনের পর প্রাপ্ত ট্র্যাকিং আইডি এবং পিন নম্বর অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এই দুটি জিনিস আপনাকে হয় মুখস্ত কিংবা যে কোন উপায়ে আপনার মোবাইলে কিংবা ল্যাপটপে সেভ করে রাখতে হবে। অবশ্য আবেদন করার সাথে সাথে আপনার মোবাইল নাম্বারে ট্র্যাকিং আইডি ও পিন নাম্বার পাঠিয়ে দেওয়া হয়।



১০) সংযোগের অর্থ ডাচবাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট) / ট্রাস্ট ব্যাংকের মোবাইল এপ (ট্যাপ) এর মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।

মূলত এই কয়েকটি নিয়ম নতুন মিটার আবেদন করার ক্ষেত্রে, এবার নিচের অনুচ্ছেদে চলে যান-

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম পূরণের সঠিক নিয়মাবলী-Palli Bidyut Meter Application Form Fill Up Process

উপরে আমি যে লিংকটি দিয়েছি সেটিতে গেলে আপনি খুব সহজে আবেদন পত্রটি পূরণ করতে পারবেন, কিন্তু যেখানে যেখানে আপনি আটকে যেতে পারেন বা সমস্যায় পড়তে পারেন সেগুলি নিয়ে আমি এখন একটু আলোচনা করব-

১) যে জায়গায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগটি নিবেন সেই জায়গার জমির মৌজার নাম, দাগ নম্বর ও খতিয়ান নম্বর উল্লেখ করতে হবে, এটা জোগাড় করা তেমন কঠিন কিছু না।


২) দুই নম্বরে যে সমস্যাটিতে পড়বেন আপনি সেটি হলো আবাসিক মিটারের ক্ষেত্রে জমির মালিক যদি আপনার বাবা হয় আর মিটারটি যদি আপনার নামে নামাতে চান তাহলে আপনাকে ওয়ারিশান সার্টিফিকেট আপলোড জমা দিতে হবে। বাণিজ্যিক মিটারের ক্ষেত্রে দোকান ঘরটি যদি আপনি ভাড়া নিয়ে থাকেন তাহলে ভাড়ার চুক্তিপত্র আপলোড করতে হবে, আর যদি দোকান ঘরটি সরকারি জায়গার উপরে হয় তাহলে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সুপারিশ পত্র নিতে হবে। এই সবগুলো আপনাকে ওয়েব সাইটে আপলোড দিতে হবে।


৩) এরপরে আপনি যে সমস্যায় পড়তে পারেন আপনার যে ছবি আপলোড করতে হবে ওয়েবসাইটে সেটি সর্বোচ্চ ৩০০*৩০০ পিক্সেল ১৫০ কিলোবাইটের বেশি হতে পারবে না ও জাতীয় পরিচয় পত্র সর্বোচ্চ ৬০০*৪৭৫ পিক্সেল ৩০০ কিলোবাইটের বেশি হতে পারবে না এবং খারিজ সর্বোচ্চ ৭০০ কিলোবাইটের বেশি হতে পারবেনা।

আবার নিজে জমির মালিক না হলে উত্তরাধীকার সনদ আপলোড করুন। একাধিক ডকুমেন্ট থাকলে PDF ফাইল আপলোড করুন, এগুলো আপনি কিভাবে করবেন, খুব সহজ ক্যানভা দিয়ে করে ফেলুন, ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্র JPG মোডে সাবমিট করুন

কিন্তু খারিজের জায়গায় যদি আপনাকে দুইটি ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হয় তাহলে পিডিএফ আকারে দিন, আর একটি ডকুমেন্ট আপলোড করতে চাইলে সেটি JPG মোডে সাবমিট করুন, অনলাইনে অনেক টুল রয়েছে যেগুলো দুইটি জেপিজি কে একটা পিডিএফ ফাইল বানিয়ে দেবে খুব সহজ, খুব সমস্যায় পড়লে আমার এই নম্বরে যোগাযোগ করুন-০১৭৪৪-৮৬১৩১২


৪) যদি আপনার জেলায় থাকে, আমার জেলায় নেই উঠিয়ে দিয়েছে, মাসখানেক আগে আমি যখন নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করেছিলাম তখন একটা ঘর ছিল আবেদনপত্রে, পার্শ্ববর্তী গ্রাহকের হিসাব নাম্বার ১৩ সংখ্যা ইংরেজিতে লিখতে বলা হত কিন্তু এখন দেখছি এই অপশনটা আর রাখেনি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। যদি আপনার ক্ষেত্রে পূরণ করতে বলা হয় সেক্ষেত্রে আপনার নিকটবর্তী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের যোগাযোগ করে ১৩ সংখ্যা নম্বরটি নিতে হবে


৫) বাড়ির/প্রতিষ্ঠানের লোকেশন এবং মন্তব্য(বাংলা) এই ঘরটি আপনি খুব যত্ন সহকারে সুন্দর করে details লিখে দিবেন কিভাবে আপনার কাঙ্খিত জায়গায় মানে যেখানে মিটার নিতে চাচ্ছেন সেখানে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ পৌঁছতে পারবে, এবং এই ঘরটিতে আপনি আপনার পার্শ্ববর্তী যেকোনো একটি মিটারের ১৩ সংখ্যার হিসাব নম্বরটি লিখে দিবেন, এটা অবশ্যই লিখে দিবেন, আমার ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল তাহলে আপনি দ্রুত মিটার পেয়ে যাবেন। আবার বলছি আপনি যেখানে মিটার নিতে চাচ্ছেন মানে যে পোল থেকে আপনাকে সংযোগ দেয়া হবে সেই পোলের যে কোন একটি মিটারে ১৩ সংখ্যার হিসাব নম্বর এই ঘরে উল্লেখ করে দিবেন।


-আরেকটা সমস্যা যেটি আপনার হতে পারে সেটি হল লোড এই ঘরগুলো কিভাবে পূরণ করবেন, আপনার যে সমস্ত জিনিস প্রয়োজন যেমন ফ্যান, বাতি এগুলো সিলেক্ট করবেন লোড এমনি এমনি অটো সিলেক্ট হয়ে যাবে খুব একটা সমস্যা হবে না।

-আর একটা সমস্যা যেটি বলতে ভুলে গেছি ,এখানে আপনি পড়তে পারেন এটি হল ওয়ারিং সম্পর্কিত তথ্য, আপনাকে অবশ্যই হাউস ওয়ারিং সম্পন্ন হয়েছে এটিতে টিক চিহ্ন দিতে হবে, দিলে আপনাকে একটি ঘর দেবে, সেই ঘরটিতে লেখা থাকবে গ্রাউন্ডিং রডের মেমো নং, এই ঘড়টিতে আপনার যে দোকান থেকে আর্থিং রড কিনবেন সেই দোকানদার আপনাকে একটা মেমো দিবে, সেই মেমো নম্বরটি এখানে দিতে হবে।

মূলত এই কয়েকটি হলো সঠিক নিয়ম, আপনি এই জায়গা গুলোতে একটু সমস্যায় পড়তে পারেন, এবার নিচের অনুচ্ছেদে চলে যান-

পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত এবং যেভাবে পরিশোধ করবেন-Palli Bidyut Meter Application fee

পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ রেখেছে আপাতত মাত্র ১৩৮ টাকা, আমি ১৩৮ টাকা পরিশোধ করেছিলাম, আপনি রকেটের মাধ্যমে আবেদনের ফি পরিশোধ করবেন, আমি আমার ডাচ বাংলার রকেট একাউন্টের মাধ্যমে আবেদনের ফি পরিশোধ করার পর, আমাকে আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করতে দিয়েছিল। আপনি যতক্ষণ না আবেদন ফি পরিশোধ করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করতে পারবেন না।

আবেদন ফি রকেটের মাধ্যমে যেভাবে পরিশোধ করবেন

আবেদন করার পর আপনি ট্র্যাকিং নম্বর, পিন নম্বর ও রেফারেন্স নম্বর পাবেন এই তিনটি জিনিস আপনি সেভ করে রাখবেন। অবশ্য আপনার মোবাইল নম্বরে একটা মেসেজ যাবে সেখানে এসব কিছু থাকবে, সেখানে লেখা থাকবে এই তিনটি জিনিস, এবার আপনি আবেদন ফি পরিশোধ করার জন্য রকেট অ্যাপে চলে যাবেন।

যাওয়ার পর বিল পে অপশনে ক্লিক করুন, এবার উপরে সার্চ বারে ৬০৭০ লিখলে পল্লী বিদ্যুৎ আবেদন ফি এটা চলে আসবে এখানে ক্লিক করুন।

ট্র্যাকিং নম্বর বসিয়ে আবেদন ফি পরিশোধ করে দিন, এখানে নিজের জন্য পরিশোধ করলে সেলফ লিখবেন আর যদি অন্য কারো জন্য পরিশোধ করেন তাহলে আদার্স লিখে মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে দিবেন। আবেদনের ফি পরিশোধ হলে আপনি একটি ট্রানজাকশন আইডি পাবেন আবার আপনার মোবাইলে মেসেজ চলে আসবে, এটাই স্ক্রিনশট দিয়ে রাখেন।

এবার আপনাকে আবার ওই ওয়েবসাইটে যেতে হবে, যে লিংকটা আমি আপনাকে উপরে দিয়ে দিয়েছি, অথবা আপনি পল্লী বিদ্যুৎ অনলাইন আবেদন লিখে সার্চ করলেই ওয়েবসাইটটি চলে আসবে, এখানে গিয়ে গিয়ে দেখবেন জামানত ও ফি জমা নামে একটা ক্যাটাগরি পেজ আছে এখানে মাউসের কারসর রাখলে, আবেদন ফি দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন আর যদি মোবাইল দিয়ে করেন তাহলে ক্যাটাগরি পেজটার উপর চাপ দিয়ে ধরলে সাব ক্যাটাগরি পেজটি পেয়ে যাবেন।

এবার আপনি ট্র্যাকিং নাম্বার ও পিন নাম্বার দিয়ে লগইন করুন, একেবারে নিচে চলে যান রকেটের ট্রানজেকশন আইডিটি দিন, রেফারেন্স নম্বরটি দিন, যেই তারিখে পরিশোধ করেছেন সেই তারিখটি দিন, যে কয় টাকা পরিশোধ করেছেন সেই এমাউন্টটা দিন, আবেদনের সময় আপনাকে প্রথম যে মেসেজ করে রেফারেন্স নম্বরটি দেওয়া হয়েছে সেই রেফারেন্স নাম্বার কিন্তু।এবার সাবমিট দেন আবেদন ফি জমা হয়ে যাবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন, না বুঝতে পারলে আমার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করুন মোবাইল নম্বরটি উপরে দিয়ে দিয়েছি।

এবার নিচের অনুচ্ছেদে চলে যান-

পল্লী বিদ্যুৎ আবেদন ফরম ডাউনলোড-Palli Bidyut Meter Application Form Download

এই কাজটি একেবারে সহজ, যখন আপনি অনলাইনে আবেদন ফি পরিশোধ করে দেবেন তখন আপনি আবেদন ফরম যে ফর্মটি পূরণ করেছেন সেটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এর জন্য আপনার উপরের দেওয়া পল্লী বিদ্যুতের আবেদনের জন্য ওয়েবসাইটে যেতে হবে, গিয়ে, আবেদন ক্যাটাগরিটির উপর মাউস রাখলে আবেদন পত্র ডাউনলোড দেখতে পাবেন, এখানে ট্রাকিং নাম্বার ও পিন নাম্বার দিয়ে দিলে সহজেই আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করতে পারবেন।

এবার নিচের অনুচ্ছেদে চলে যান-

পল্লী বিদ্যুৎ ওয়ারিং রিপোর্ট জমা-হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন-নতুন মিটার নামানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ এটি

এই কাজটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এটি করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে উপরের দেওয়া লিঙ্ক মানে পল্লী বিদ্যুতের ওয়েবসাইটের যে লিংক আমি আপনাদের দিয়েছি, সেটা আপনি গুগলে সার্চ করলেও পেয়ে যাবেন, এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে, গিয়ে আবেদনের ওপর মাউস রাখলে হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন দেখতে পাবেন এখানে ক্লিক করুন, এখানে ট্রাকিং নাম্বার ও পিন নম্বর দিয়ে প্রবেশ করুন।

এখানে বিশেষ করে খেয়াল করুন আপনি যখন দোকানদারের কাছে আর্থিং রডের মেমো নিবেন তখন আপনি এরকম কোন দোকানের কাছ থেকে নিবেন যেগুলো পল্লী বিদ্যুৎ অনুমোদিত ডিলার, আমার বীরগঞ্জ থানায় গ্রাউন্ডিং রড টি ৩৫০ টাকা নিয়েছিল, আপনি মেমোটি নিয়ে আপনি নিজে লিখবেন মানে যার নামে মিটার বা যে দোকানের নামে মিটার সুন্দর করে নাম ঠিকানা লিখবেন দোকানদারকে লিখতে দিবেন না। স্পষ্ট ভাবে নাম ও ঠিকানা লিখবেন, এটি আপলোড দিতে হবে ওয়েবসাইটে ৩০০*৩০০ পিক্সেলে। ক্যানভা দিয়ে সহজেই করে নিতে পারবেন। এই মেমোটির নম্বর দিতে হবে।

এবার এখানে আপনাকে একজন ইলেকট্রিশিয়ানের নাম দিতে হবে, এই জায়গাটিতে আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল, আমাকে বলা হয়েছিল শুধুমাত্র লাইসেন্স প্রাপ্ত ইলেকট্রিশিয়ান যারা তাদের নাম ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে, কিন্তু আমি একজন সাধারণ ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে ওয়ারিং করিয়ে নিয়ে তার নাম ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে দিয়েছিলাম, আমার রিপোর্টটি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছিল। পরে আমি বুঝতে পেরেছি কত বড় বাটপারি করে পল্লী বিদ্যুৎ লাইসেন্স প্রাপ্ত ইলেকট্রিশিয়ান যারা রয়েছে তারা।

আর যেগুলো খালিঘর পূরণ করতে হবে সেগুলি আপনি সহজে পূরণ করতে পারবেন, আমি শুধু আপনাকে বলে দিলাম যে জায়গাগুলিতে আপনি বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন সেগুলো সম্বন্ধে, সোলার সম্পর্কিত তথ্যের জায়গায় সোলার স্থাপন করি নাই লিখে দিবেন, আর আপনার ঘরটি কিরকম সেটি লিখে দিবেন, একটা নম্বর দিবে নম্বরটি লিখে সাবমিট দিলে আপনার হাউস ওয়ারিং নিশ্চিত হয়ে যাবে। ঠিক এইভাবে আমি করেছিলাম।

এবার নিচের অনুচ্ছেদে চলে যান-

ডিমান্ড নোট ইস্যু ও এস এম এস প্রদান-ডিমান্ড নোটের টাকা জমা প্রদান-এটি আরেকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ

আর্টিকেল অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, এখানে আমি বিস্তারিত কিছু বলবো না ,আপনারা আমার সাথে এই নম্বরে যোগাযোগ করুন বিস্তারিত জানিয়ে দেব,০১৩০৯১৮৭৯৩১

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান ২০২৪-Palli Bidyut Meter Application Check-আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানুন

আর্টিকেল অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, এখানে আমি বিস্তারিত কিছু বলবো না ,আপনারা আমার সাথে এই নম্বরে যোগাযোগ করুন বিস্তারিত জানিয়ে দেব।

নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ খরচ ২০২৫

আর্টিকেল অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, এখানে আমি বিস্তারিত কিছু বলবো না ,আপনারা আমার সাথে এই নম্বরে যোগাযোগ করুন বিস্তারিত জানিয়ে দেব।

Leave a Comment