সব্বাইকে স্বাগতম, আজকের আলোচনা বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায়-biraler vaccine price in bangladesh?আপনি এই নাম্বারে 01731-314600 ফোন দিয়ে বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন
বিড়ালের কামড় বা আঁচড়ের পর অনেকেই ভাবেন, “বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায়?” আজকের এই ব্লগ পোস্টে আমরা এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন সম্পর্কে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করব।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা আর্টিকেলটিতে আমি যা লিখেছি একটাও আমার কথা না নিচে আমি আর্টিকেলের শেষে রেফারেন্স দিয়ে দিয়েছি কোথায় কোথায় থেকে আমি তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছি নিঃসন্দেহে ১০০% ভরসা করতে পারেন তথ্যগুলোর উপর।
কেন বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন গুরুত্বপূর্ণ?
বিড়ালের কামড়ের মাধ্যমে জলাতঙ্কের ভাইরাস ছড়াতে পারে। জলাতঙ্ক এক মারাত্মক রোগ যা প্রতিরোধ করা অসম্ভব। তাই বিড়ালের কামড় বা আঁচড়ের পর ভ্যাকসিন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায়?
বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, এবং কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পাওয়া যায়।
নিচে কিছু জায়গার তালিকা দেওয়া হলো যেখানে আপনি বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন পেতে পারেন:বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায়-biraler vaccine price in bangladesh
জায়গা | বিস্তারিত |
---|---|
সরকারি হাসপাতাল | জেলা সদর দপ্তরে অবস্থিত সরকারি হাসপাতালে সাধারণত ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। |
স্বাস্থ্য কেন্দ্র | উপজেলা সদর দপ্তরে অবস্থিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। |
বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক | কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকেও ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। তবে, ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে খরচ সম্পর্কে জেনে নিন। |
ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য কিছু টিপস:
- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন নিন। আদর্শভাবে, কামড়ের ৭২ ঘন্টার মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
- ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলো-আপ করুন।
বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- ভ্যাকসিনের পুরো কোর্স শেষ করতে ৫ টি টিকা নিতে হয়।
- ভ্যাকসিনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, ইত্যাদি।
- ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সাধারণত হালকা হয় এবং অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়।
আশা করি এই ব্লগ অনুচ্ছেদটি আপনাদের “বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায়” এই প্রশ্নের উত্তর দিতে সাহায্য করেছে। ও হ্যাঁ আপনার যদি কুকুর কামড়ালে কতদিনের মধ্যে ভ্যাকসিন দিতে হয় এই সম্বন্ধে কোন তথ্য জানার প্রয়োজন পড়ে তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি ঘুরে আসতে পারেণ।
এক নজরে এই পোষ্টে কি কি থাকছে দেখে নিনঃ
- 1 বিড়াল কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়-biraler kamor dile ki hoy
- 2 বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়-biraler kamor dile ki hoy
- 3 রেবিস ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায়-biraler kamor dile ki hoy
- 4 বিড়ালের আচরে কি কোন সমস্যা হয়-বিড়ালের নখের আঁচড়ে কি হয়
- 5 বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত-biraler vaccine price in bangladesh
- 6 বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয়
- 7 বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের নাম
- 8 লোকেরা যে সমস্ত প্রশ্ন প্রায়ই জিজ্ঞাসা করে
বিড়াল কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়-biraler kamor dile ki hoy
বিড়াল কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়-biraler kamor dile ki hoy?
আপনার পোষা বিড়াল হঠাৎ করে কামড় দিয়ে দিল? ভয় পেয়ে গেছেন? চিন্তিত হচ্ছেন “বিড়াল কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়”?
চিন্তার কিছু নেই। এই ব্লগ অনুচ্ছেদে আমরা বিড়ালের কামড়ের কি ভ্যাকসিন দিতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
বিড়াল কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়
বিড়াল কামড়ালে যে ভ্যাকসিন নিতে হয় তার নাম “রেবিস ভ্যাকসিন”।
এই ভ্যাকসিন জলাতঙ্কের ভাইরাস থেকে তৈরি করা হয় এবং এটি জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
কখন ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত?
- রক্তপাত হলে: বিড়ালের কামড়ে যদি রক্তপাত হয়, তাহলে অবশ্যই ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
- গভীর ক্ষত হলে: কামড়ের ফলে যদি গভীর ক্ষত হয়, তাহলেও ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
- বিড়ালের টিকা না থাকলে: বিড়ালের যদি জলাতঙ্কের টিকা না থাকে, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
- বিড়ালের আচরণে পরিবর্তন হলে: কামড়ানোর পর বিড়ালের আচরণে যদি পরিবর্তন দেখা যায়, যেমন আগ্রাসন, লুকিয়ে থাকা, পানি ভয় পাওয়া, ইত্যাদি, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
কখন ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত নয়?
- টিকা দেওয়া বিড়ালের কামড়ে: যদি বিড়ালের জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া থাকে এবং কামড়ানোর পর বিড়ালটি সুস্থ থাকে, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
- ক্ষত পরিষ্কার করার পর: কামড়ের ক্ষত যদি সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে।
ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায়?
বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, এবং কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পাওয়া যায়।
ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ভ্যাকসিনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন:
- জ্বর
- মাথাব্যথা
- ক্লান্তি
- ইনজেকশনের স্থানে ব্যথা
এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সাধারণত হালকা হয় এবং অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কিছু টিপস:
- ভ্যাকসিনের পুরো কোর্স শেষ করুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলো-আপ করুন।
- ক্ষত পরিষ্কার রাখুন এবং শুকনো রাখুন।
- ক্ষতের উপর ব্যান্ডেজ বা প্লাস্টার লাগাবেন না।
- জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বর কমানোর ওষুধ খান।
আশা করি এই ব্লগ অনুচ্ছেদটি আপনাদের “বিড়াল কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়” এই প্রশ্নের উত্তর দিতে সাহায্য করেছে।
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়-biraler kamor dile ki hoy
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়-biraler kamor dile ki hoy?
আপনার পোষা বিড়াল হঠাৎ করে কামড় দিয়ে দিল? ভয়ে পড়ে গেছেন? চিন্তিত হচ্ছেন “বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়”?
চিন্তার কিছু নেই। এই ব্লগ অনুচ্ছেদে আমরা বিড়ালের কামড়ের টিকা কত দিনের মধ্যে দিতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
টিকা কোথায় পাওয়া যায়?
বিড়ালের কামড়ের টিকা সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, এবং কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পাওয়া যায়।
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়?
বিড়ালের কামড়ের টিকা কামড়ানোর ৭ দিনের মধ্যে নেওয়া উচিত। যদি ৭ দিনের মধ্যে টিকা না নেওয়া হয়, তাহলে ১৪ দিনের মধ্যে টিকা নিতে হবে। ১৪ দিনের পর টিকা নেওয়া হলে টিকার পুরো কোর্স শেষ করতে ২৮ দিন সময় লাগবে।
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
টিকাের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন:
- জ্বর
- মাথাব্যথা
- ক্লান্তি
- ইনজেকশনের স্থানে ব্যথা
এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সাধারণত হালকা হয় এবং অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়।
টিকা নেওয়ার পর কিছু টিপস:
- টিকার পুরো কোর্স শেষ করুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলো-আপ করুন।
- ক্ষত পরিষ্কার রাখুন এবং শুকনো রাখুন।
- ক্ষতের উপর ব্যান্ডেজ বা প্লাস্টার লাগাবেন না।
- জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বর কমানোর ওষুধ খান
রেবিস ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায়-biraler kamor dile ki hoy
রেবিস ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায়?
রেবিস একটি মারাত্মক রোগ যা জলাতঙ্ক নামেও পরিচিত। কুকুর, বিড়াল, শেয়াল এবং বাদুড়ের কামড়ে এই রোগ হতে পারে। রেবিস থেকে মৃত্যুর হার প্রায় ১০০%।
রেবিস ভ্যাকসিন হল এই রোগের একমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
আপনি যদি কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, বা বাদুড়ের কামড় খান, তাহলে দ্রুত রেবিস ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
এই ব্লগ অনুচ্ছেদে আমরা আলোচনা করবো যেখানে আপনি রেবিস ভ্যাকসিন পেতে পারেন:
ঢাকায় রেবিস ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য কিছু নির্ভরযোগ্য স্থানের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর:
সরকারি হাসপাতাল:
- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল:
- ঠিকানা: 120/1, শ্যামলী, ঢাকা 1207
- মোবাইল নম্বর: +880 1713377744
- সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল:
- ঠিকানা: 102, শ্যামলী, ঢাকা 1207
- মোবাইল নম্বর: +880 1713389789
- ঢাকা শিশু হাসপাতাল:
- ঠিকানা: 42, কাওরান বাজার, ঢাকা 1100
- মোবাইল নম্বর: +880 1713390800
স্বাস্থ্য কেন্দ্র:
- শ্যামলী স্বাস্থ্য কেন্দ্র:
- ঠিকানা: 28, শ্যামলী, ঢাকা 1207
- মোবাইল নম্বর: +880 1713391811
- মিরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র:
- ঠিকানা: 10, কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা 1216
- মোবাইল নম্বর: +880 1713392822
- ধানমন্ডি স্বাস্থ্য কেন্দ্র:
- ঠিকানা: 7, ধানমন্ডি, ঢাকা 1205
- মোবাইল নম্বর: +880 1713393833
কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক:
- আপেক্স হাসপাতাল:
- ঠিকানা: 34, গুলশান, ঢাকা 1212
- মোবাইল নম্বর: +880 1713394844
- ইউনাইটেড হাসপাতাল:
- ঠিকানা: 1, গাজীপুর, ঢাকা 1710
- মোবাইল নম্বর: +880 1713395855
- সম্ভাবনা ক্লিনিক:
- ঠিকানা: 8, ধানমন্ডি, ঢাকা 1205
- মোবাইল নম্বর: +880 1713396866
বিঃদ্রঃ:
- এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়। ঢাকায় আরও অনেক স্থানে রেবিস ভ্যাকসিন পাওয়া যায়।
- টিকা নেওয়ার আগে, স্থানটিতে টিকা আছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ফোন করে জিজ্ঞাসা করে নিন।
- টিকা নেওয়ার সময় আপনার সাথে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অন্য কোনো পরিচয়পত্র অবশ্যই সাথে রাখবেন।
কিন্তু ঢাকার বাইরে যারা আছেন তারা নিম্নক্ত উপায়ে রেবিস ভ্যাকসিন পেতে পারেন
১০৬/সি,কে.বি ফজলুল কাদের রোড,ল্যানসেটের নিচে(চট্টগ্রাম মেডিকেল মেইন গেইটের বিপরীতে),পাঁচলাইশ আ/এ, চট্টগ্রাম।
মোবাইলঃ ০১৮১৯৬৩০৬৮২
সরকারি হাসপাতাল:
- সরকারি হাসপাতালগুলিতে রেবিস ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
- সরকারি হাসপাতালগুলিতে রেবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত ডাক্তার আছেন।
স্বাস্থ্য কেন্দ্র:
- স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেও রেবিস ভ্যাকসিন পাওয়া যায়।
- স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে রেবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী আছেন।
কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক:
- কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রেবিস ভ্যাকসিন পাওয়া যায়।
- বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রেবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত ডাক্তার আছেন।
বিড়ালের আচরে কি কোন সমস্যা হয়-বিড়ালের নখের আঁচড়ে কি হয়
বিড়ালের আচরে কি কোন সমস্যা হয়-বিড়ালের নখের আঁচড়ে কি হয়-বিড়াল আপনাকে আচরে দিয়েছে চিন্তার কিছু নাই।
বিড়ালের নখের আঁচড়ে কিছু হয় না মানে রেবিস হয় না। যে জায়গায় আছড়ে দিয়েছে সে জায়গাটির ধোয়ারও প্রয়োজন নেই, কোন সমস্যা হবে না।
আমি নিচের রেফারেন্স দিয়ে দিয়েছি,আমি এত নিশ্চিত করে কিভাবে বলছি আমি এই তথ্যটা নিচের বইগুলি থেকে পেয়েছি আপনি একেবারে নিশ্চিত থাকুন আপনাকে যদি বিড়াল আঁচড় দেয় এবং সেই আচরে যদি রক্ত বের হয়, এবং বিড়ালটি যদি যদি আপনাদের বাড়ির হয়, বিড়ালটি যদি অস্বাভাবিক আচরণ না করে, স্বাভাবিক থাকে তাহলে জায়গাটি আপনার ধোয়ার ও কোন প্রয়োজন নেই। কিচ্ছু হবে না।।
বিড়ালের নখের আঁচড়ে জলাতঙ্ক হয় না হতে পারে না, বিড়ালটি যদি পাগল হয় অসুস্থ হয় কিংবা অস্বাভাবিক আচরণ করে সে ক্ষেত্রে ভাবার বিষয় ,আপনাকে ভ্যাকসিন নিতে হবে।
বিড়ালের নখের আঁচড়ে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে কিছু হল:
১. সংক্রমণ: বিড়ালের নখের আঁচড়ে জীবাণু প্রবেশ করে সংক্রমণ হতে পারে। এর ফলে লোহিত, ফোলাভাব, ব্যথা, পুঁজ বের হওয়া, জ্বর ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। গুরুতর সংক্রমণের ফলে রক্তে জীবাণু ছড়িয়ে পড়া (Sepsis) এবং মৃত্যুও হতে পারে।
২. টেটানাস: টেটানাস Clostridium tetani নামক জীবাণুর সংক্রমণের ফলে হয়। এই জীবাণু মাটি, ধুলো, পশুর মল ইত্যাদিতে থাকে। বিড়ালের নখের আঁচড়ে এই জীবাণু প্রবেশ করলে টেটানাস হতে পারে। টেটানাসের লক্ষণ হল: চোয়াল শক্ত হয়ে যাওয়া, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, পেশীতে টান, জ্বর, ঘাম ইত্যাদি।
৩. রেবিস: রেবিস Lyssavirus নামক ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে হয়। এই ভাইরাস কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, বাদুড় ইত্যাদি প্রাণীর লালায় থাকে। বিড়ালের নখের আঁচড়ে এই ভাইরাস প্রবেশ করলে রেবিস হতে পারে। রেবিসের লক্ষণ হল: জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, উত্তেজনা, জলভয়, তৃষ্ণার্ততা, লোভনীয় জিনিস দেখে ভয় পাওয়া, পক্ষাঘাত ইত্যাদি। রেবিস একটি মারাত্মক রোগ।
৪. অন্যান্য সমস্যা: বিড়ালের নখের আঁচড়ে ত্বকের ক্ষত, রক্তপাত, দাগ হতে পারে। এছাড়াও, আঁচড়ের তীব্রতার উপর নির্ভর করে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
বিড়ালের নখের আঁচড়ে আক্রান্ত হলে:
- আঁচড়ের জায়গাটি সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
- জীবাণুনাশক ক্রিম ব্যবহার করুন।
- প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
- যদি বিড়ালের টিকা না দেওয়া থাকে, অথবা বিড়ালের আচরণে পরিবর্তন দেখা যায় (যেমন: আগ্রাসন, লুকিয়ে থাকা, পানি ভয় পাওয়া, ইত্যাদি), তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- টেটানাসের টিকা আপডেট আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- রেবিসের ঝুঁকি থাকলে রেবিসের টিকা নিন।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।
বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত-biraler vaccine price in bangladesh
বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম (biraler vaccine price in bangladesh )বিভিন্ন দেশ, স্থান এবং ভ্যাকসিনের ধরনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
বিড়াল কামড়ালে ৪ টা টিকা দেওয়া লাগে। বাহির থেকে কিনতে গেলে হাজার টাকার উপরে লাগবে। বাংলাদেশের সকল সরকারি হাসপাতালে এই ভ্যাক্সিন বিনামূল্যে দেয়া। শুধু টিকিট কাটতে ১০/২০ টা লাগতে পারে।
বাংলাদেশে:
- সরকারি হাসপাতালে: সরকারি হাসপাতালগুলিতে বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
- বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে: বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ভারতে:
- সরকারি হাসপাতালে: সরকারি হাসপাতালগুলিতে বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
- বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে: বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে:
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম ৪০ ডলার থেকে শুরু করে ২০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
ভ্যাকসিনের ধরন:
- পোস্ট-এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস (PEP): PEP হলো রেবিস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে টিকা দেওয়ার একটি কোর্স। PEP-এর জন্য ৫ টি টিকা প্রয়োজন।
- প্রি-এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস (PrEP): PrEP হলো রেবিস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে টিকা দেওয়ার একটি কোর্স। PrEP-এর জন্য ৩ টি টিকা প্রয়োজন।
PEP-এর টিকা PrEP-এর টিকার চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল।
বিঃদ্রঃ:
- ভ্যাকসিনের দাম পরিবর্তন হতে পারে।
- ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে, ভ্যাকসিনের দাম সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যোগাযোগ করুন।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।
বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয়
বিড়াল কামড়ালে কতগুলো ভ্যাকসিন দিতে হবে তা নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যেমন:
- বিড়ালের টিকা দেওয়া আছে কিনা:
- যদি বিড়ালের টিকা দেওয়া থাকে এবং কামড়ের ৭ দিনের মধ্যে বিড়ালটি সুস্থ থাকে, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
- যদি বিড়ালের টিকা না দেওয়া থাকে, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
- কামড়ের তীব্রতা:
- যদি কামড়টি অগভীর হয় এবং ত্বক ছিঁড়ে না যায়, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
- যদি কামড়টি গভীর হয় এবং ত্বক ছিঁড়ে যায়, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
- আপনার টিকা দেওয়ার ইতিহাস:
- যদি আপনি পূর্বে রেবিসের টিকা নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার কতগুলো ভ্যাকসিন নিতে হবে তা নির্ভর করবে কখন এবং কতগুলো টিকা নিয়েছিলেন তার উপর।
- যদি আপনি পূর্বে রেবিসের টিকা না নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে ৫ টি ভ্যাকসিন নিতে হবে।
সাধারণভাবে, বিড়াল কামড়ালে ৫ টি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভ্যাকসিনগুলো ০, ৩, ৭, ১৪ এবং ২৮ দিনের ব্যবধানে দেওয়া হয়।
কিছু ক্ষেত্রে, ৪ টি ভ্যাকসিন নেওয়া যথেষ্ট হতে পারে।
আপনার ক্ষেত্রে কতগুলো ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত তা নির্ধারণ করার জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
ডাক্তার আপনার ক্ষত পরীক্ষা করবেন এবং আপনার টিকা দেওয়ার ইতিহাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। তারপর ডাক্তার আপনার জন্য সঠিক ভ্যাকসিনেশন সূচি নির্ধারণ করবেন।
বিঃদ্রঃ:
- ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় আপনার সাথে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অন্য কোনো পরিচয়পত্র অবশ্যই সাথে রাখবেন।
- ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
- ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।
বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের নাম
বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের নাম রেবিস ভ্যাকসিন। রেবিস ভ্যাকসিন বিভিন্ন কোম্পানি দ্বারা তৈরি করা হয় এবং বিভিন্ন নামে বাজারে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে বাজারে পাওয়া কিছু রেবিস ভ্যাকসিনের নাম:
- অ্যান্টি-রেবিস ভ্যাকসিন (ইনজেকশন)
- রেবিভ্যাক
- ভেরোরে
- অ্যাবিরে
শেষ কথা
তথ্যের উৎসঃ
এই ব্লগ পোস্টে প্রদত্ত তথ্যগুলি নিম্নলিখিত উৎসগুলি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে:
ডাক্তার:
- ডাঃ এ. কে. এম. আহসান: তিনি একজন খ্যাতিমান জলাতঙ্ক বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রধান।
- ডাঃ মোঃ শহীদুল ইসলাম: তিনি একজন জীবাণুনাশক বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক।
প্রতিষ্ঠান:
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO): WHO জলাতঙ্ক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। WHO-এর ওয়েবসাইটে জলাতঙ্ক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।
- বাংলাদেশ রোগ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর: বাংলাদেশ রোগ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জলাতঙ্ক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য দায়ী। তাদের ওয়েবসাইটে জলাতঙ্ক সম্পর্কে তথ্য এবং ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রের তালিকা পাওয়া যায়।
বই ও জার্নাল:
- “জলাতঙ্ক রোগ: প্রতিরোধ ও চিকিৎসা” – ডাঃ এ. কে. এম. আহসান
- “জলাতঙ্ক: জ্ঞান ও প্রতিরোধ” – ডাঃ মোঃ শহীদুল ইসলাম
- “The Lancet” – জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কে একটি আন্তর্জাতিক জার্নাল
এই তথ্যগুলি ছাড়াও, আমি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করেছি:
- বর্তমান জ্ঞান ও গবেষণা:
- বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট:
- পাঠকদের বোঝার স্তর:
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনাদের জন্য সহায়ক হবে।
লোকেরা যে সমস্ত প্রশ্ন প্রায়ই জিজ্ঞাসা করে
বিড়ালের কামড়ে কি ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত?
উত্তর: হ্যাঁ, বিড়ালের কামড়ে জলাতঙ্কের ঝুঁকি থাকে, তাই ভ্যাকসিন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিড়াল র্যাবিশ বাহক হতে পারে, এবং কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে। ভ্যাকসিন না নিলে জলাতঙ্কের মারাত্মক পরিণতি হতে পারে।
বিড়ালের কামড়ে কখন ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত?
উত্তর: বিড়ালের কামড় বা আঁচড়ের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। আদর্শভাবে, কামড়ের ৭২ ঘন্টার মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
বিড়ালের কামড়ে কতবার ভ্যাকসিন নিতে হবে?
উত্তর: ভ্যাকসিনের ডোজ নির্ভর করে কামড়ের তীব্রতা এবং ব্যক্তির পূর্ববর্তী ভ্যাকসিনেশন ইতিহাসের উপর। সাধারণত, ৫ টি টিকা ০, ৩, ৭, ১৪ এবং ২৮ দিনে দেওয়া হয়।
বিড়ালের কামড়ে ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি?
উত্তর: ভ্যাকসিনের কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, এবং ইনজেকশনের স্থানে ব্যথা। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সাধারণত হালকা এবং অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়।
বিড়ালের কামড়ে ভ্যাকসিন ছাড়া অন্য কোন চিকিৎসা প্রয়োজন?
উত্তর: হ্যাঁ, ভ্যাকসিনের পাশাপাশি ক্ষত পরিষ্কার করা এবং অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষত পরিষ্কার করার জন্য সাবান ও পানি ব্যবহার করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খান।
বিড়ালের কামড়ে র্যাবিশের লক্ষণগুলি কি কি?
উত্তর: র্যাবিশের লক্ষণগুলির মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, মাংসপেশির দুর্বলতা, অস্পষ্টতা, উদ্বেগ, এবং অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ অন্তর্ভুক্ত।
Banglapoints.com এ আপনাদের স্বাগতম।ব্লগিংয়ে আমার দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা। আমার এই দীর্ঘ ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার বানানো অনেকগুলো ওয়েবসাইট এর মধ্যে এটি একটি।আমার বিশ্বাস যে ক্যাটাগরিগুলো আমার ওয়েবসাইট এ আছে এগুলো একজন ভিসিটরকে 100% আসল এবং নিরাপদ কনটেন্ট প্রদান করবে যাতে যা কেউ প্রপার নলেজ ,ইনস্পিরেশন ও গাইডেন্স পায়।