আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা ও গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম ২০২৫ বিস্তারিতভাবে শেয়ার করবো।গর্ভবতী ভাতা বাংলাদেশ সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ, যা দরিদ্র ও যোগ্য গর্ভবতী নারীদের আর্থিক সহায়তা দেয়। অনেক নারী শুধুমাত্র তথ্যের অভাবে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। আমি নিজেও অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো ঘুষ ছাড়াই আমার গর্ভবতী ভাতা পেতে সক্ষম হয়েছি।
আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা: টাকা ছাড়া গর্ভবতী ভাতা পেলাম!
আমি সাবিনা, একজন গর্ভবতী নারী। আমি যখন গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার চেষ্টা করি, তখন দেখলাম ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার, সাধারণ মেম্বার এমনকি চেয়ারম্যানও ৫,০০০ টাকা ছাড়া কার্ড করে দিতে চায় না। কিন্তু আমি এক টাকাও ঘুষ না দিয়ে গর্ভবতী ভাতা পেয়েছি!
আমি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের হয়রানির শিকার হয়েছি, তবে ঠিক নিয়ম মেনে আবেদন করায় শেষ পর্যন্ত আমি সফল হয়েছি। যারা সত্যিই গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার যোগ্য, তারা যেন শুধুমাত্র তথ্যের অভাবে বঞ্চিত না হন—এই কারণেই আমি আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। আপনি যদি একেবারে পারফেক্ট যোগ্য প্রার্থী হন, তাহলে ঘুষ ছাড়াই এই ভাতা পেতে পারেন। কিভাবে? চলুন, বিস্তারিত জেনে নিই!
আর্টিকেলটির একেবারে শেষে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আলোচনা করেছি-
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম ২০২৫
২০২৫ সালের জন্য গর্ভবতী ভাতা কর্মসূচির আওতায় সারা দেশের ৪৯৫টি উপজেলায় ৪৫৯৮টি ইউনিয়নের মাধ্যমে মোট ৩,৫৯,৬৪০ জন গর্ভবতী নারী এই ভাতা পেতে পারবেন। এক্ষেত্রে বরাদ্দ সংখ্যা হলো প্রতি ইউনিয়নে ৯ জন গর্ভবতী মা।
এক নজরে এই পোষ্টে কি কি থাকছে দেখে নিনঃ
গর্ভবতী ভাতা কী?
গর্ভবতী ভাতা হলো সরকারি সহায়তা যা দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রদান করা হয়। এই ভাতা পেলে মা ও শিশুর পুষ্টি, চিকিৎসা ও সঠিক যত্ন নিশ্চিত করা সহজ হয়।
২০২৫ সালে ভাতা প্রাপ্তির পরিমাণ: প্রতি মাসে ৮০০ টাকা, যা তিন বছর পর্যন্ত প্রদান করা হয়।
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা
যারা এই ভাতা পাবেন, তাদের অবশ্যই নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে:
১) শুধুমাত্র প্রথম এবং দ্বিতীয় সন্তানের জন্যই এই ভাতা প্রযোজ্য। তৃতীয় বা তার বেশি সন্তানের ক্ষেত্রে আবেদন করা যাবে না।
২) দরিদ্র ও নিম্নআয়ের পরিবারের গর্ভবতী মায়েরা এই ভাতা পাওয়ার জন্য উপযুক্ত। সাধারণত দিনমজুর মহিলা ও বসতভিটা নেই এরকম মহিলা অগ্রাধিকার পাবে।
৩) গর্ভাবস্থার ৪-৬ মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
৪) গর্ভবতী মায়ের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লেখিত বয়সের ভিত্তিতে এটি নির্ধারণ করা হয়।
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১) জাতীয় পরিচয়পত্র (ভোটার আইডি কার্ড): গর্ভবতী মায়ের নিজস্ব ভোটার আইডি কার্ড আবশ্যক। আপনি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে এই আবেদন টি করতে পারবেন না।
২) ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট: নিজের নামে বিকাশ, নগদ, বা রকেট অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। আবেদন করার আগে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। আমার বাড়ি দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলাধীন এজন্য আমাকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হয়েছে। আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে উত্তোলন করা একটা সিম কার্ড থাকতে হবে এবং সেটি দিয়েই ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে। আশা করছি বুঝাতে পেরেছি।
৩) এএনসি কার্ড: স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর থেকে প্রাপ্ত এন্টি নেনটাল কেয়ার (ANC) কার্ড জমা দিতে হবে। গর্ভাবস্থার প্রমাণপত্র নিয়ে গেলে এই কার্ডটি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে দেওয়া হবে, আমি বিনামূল্যে পেয়েছিলাম,আমি যেহেতু গ্রামে বসবাস করতাম, আপনি শহরে বসবাস করলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া
আপনার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে (UDC) গিয়ে আবেদন করতে হবে। কোনো মেম্বার বা চেয়ারম্যানের অনুমতি লাগবে না। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন ডিজিটাল উদ্যোক্তা আপনাকে চেয়ারম্যানের অনুমতি বা কাগজপত্র গুলো চেয়ারম্যান এর কাছে জমা দিতে বলবে, আপনি বলবেন আমাকে আপনি আবেদন করে আবেদনের কপি দিন বাকিটা আমি দেখব, এই কথা তখনই বলবেন যখন আপনি এই ভাতার জন্য একেবারে পারফেক্ট একজন প্রার্থী।
আবেদন ফি বাবদ শুধুমাত্র ৪০ টাকা দিতে হবে। পৌরসভা এলাকার জন্য পৌর ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে আবেদন করতে হবে।এবার আসেন জানা যাক আবেদনের সময়সীমা সম্পর্কে,মূলত প্রতি মাসের ১ তারিখ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে আবেদন করতে হবে। ২০ তারিখের পর আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। আপনি চেষ্টা করবেন এক থেকে পাঁচ তারিখের মধ্যে আবেদনটি করে ফেলতে।
ধাপে ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া:
১. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে যান এবং উদ্যোক্তার কাছে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করার কথা বলুন।
2. আপনার NID ও স্বামীর NID জমা দিন।
3. গর্ভবতীত্বের প্রমাণ দিতে মেডিকেল রিপোর্ট বা ANC কার্ড দিন।
4. আপনার বিকাশ বা ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট দিন (যেখানে টাকা পাঠানো হবে)।যে সিমটি দিয়ে একাউন্ট খোলা হবে সেটি আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করা থাকতে হবে।
5. আবেদন সাবমিট হলে আবেদন পত্রের কপিটি নিজের কাছে সংগ্রহ করুন।
6. উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে আবেদনপত্র জমা দিন। এটা আপনি করতে যাবেন না, আমি আমার আবেদনের কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসে জমা দিয়েছিলাম কারণ চেয়ারম্যান, মেম্বাররা আমার মাতৃত্বকালীন ভাতাটি হোক এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে চাচ্ছিলেন না। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে চাইলে আপনার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে দৌড়ঝাপ করার দরকার নেই।
⏳ সিদ্ধান্ত আসতে ১-২ মাস সময় লাগতে পারে।
যথাযথ নিয়মে আবেদন জমা দিলে তা যাচাই-বাছাই করা হবে। ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে আবেদন প্রাথমিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। এবং উপজেলা কমিটির অনুমোদনের পর এক মাসের মধ্যে ভাতা পাওয়া যাবে।
গর্ভবতী ভাতা কত টাকা ও মেয়াদ কতদিন?
মায়েরা গর্ভবতী ভাতা হিসেবে প্রতি মাসে ৮০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। ভাতার মেয়াদ মোট ৩৬ মাস (৩ বছর)। এতে করে সর্বমোট প্রাপ্ত অর্থ ২৮,৮০০ টাকা হবে।
গর্ভবতী ভাতা পেতে যেসব অসহযোগিতা ও বাধার সম্মুখীন হয়েছি (এবং আমি কীভাবে সমাধান করেছি)
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গর্ভবতী ভাতা পাওয়া আমার অধিকার ছিল, কিন্তু পুরো প্রক্রিয়ায় আমাকে অনেক অসহযোগিতা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। নিচে ধাপে ধাপে আমার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছি, যা অন্যদের সাহায্য করতে পারে।
১. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার অস্বীকৃতি
আমি প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে গিয়েছিলাম আবেদন করতে, কিন্তু উদ্যোক্তা বললেন, “চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া আবেদন করা যাবে না।” এতে আমার প্রথম ধাক্কা খাই।
🔹 আমি যা করলাম: আমি তখন আমার সমস্ত কাগজপত্র চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়ে বাসায় চলে আসি, তিনি আবার কাগজপত্র নিয়ে তার টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দেন এবং আমাকে বলেন পরে যোগাযোগ করতে।
২. চেয়ারম্যানের অসহযোগিতা ও অপমান
আমি আবেদন জমা দেওয়ার এক মাস পর চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম স্ট্যাটাস জানতে। কিন্তু তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে আমাকে অপমানজনকভাবে তাড়িয়ে দেন এবং বলেন, “দেখি কে তোমার ভাতা আবেদন করে!”
🔹 আমি যা করলাম: উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে যোগাযোগ করি। তাদের হস্তক্ষেপে আমার ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজিটাল উদ্যোক্তা চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়াই আমার অনলাইন আবেদন করেন।
৩. মহিলা ওয়ার্ড মেম্বারের ঘুষ চাওয়া ও অসহযোগিতা
আমি যখন মহিলা মেম্বারের কাছে সুপারিশ চাইতে যাই, তখন তিনি স্পষ্ট জানান যে, “আমার হাতে ২ জনের কাগজ আছে, তোমারটা নিতে পারবো না।” আসলে সুপারিশ করানোর জন্য ৫০০০ টাকা ঘুষ চাওয়া হয়েছিল।
🔹 আমি যা করলাম: ভয় না পেয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে সরাসরি অভিযোগ দিই এবং আমার আবেদন পত্র যেটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আবেদন করার পরে আমাকে দেওয়া হয়েছে এবং কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরাসরি তাদের কাছে জমা দিই।
৪. কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও অনিশ্চয়তা
আমি সব কাগজপত্র জমা দিলেও মনে হচ্ছিল, আমার আবেদন আটকে রাখা হতে পারে।
🔹 আমি যা করলাম: বারবার সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়েছি এবং নিজে ফলো-আপ নিয়েছি। মোট ৪ বার অফিসে গিয়েছি, যাতে আমার আবেদন হারিয়ে না যায় বা ফেলে রাখা না হয়।
৫. শেষ পর্যন্ত গর্ভবতী ভাতা পেলাম! 🎉
সব বাধা অতিক্রম করে অবশেষে আমি টাকা ছাড়া গর্ভবতী ভাতা পেতে সক্ষম হয়েছি! কেউ যেন শুধু তথ্যের অভাবে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়, তাই আমি এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম।
➡ আপনি যদি পারফেক্ট যোগ্যতা রাখেন, তবে বিনা ঘুষে গর্ভবতী ভাতা পেতে পারেন। শুধু ধৈর্য ধরে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করেন! ✅
শেষ কথা
যারা বাস্তবেই গরিব এবং এই ভাতার যোগ্য, তাদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। তথ্যের অভাবে অনেকে এই ভাতা পান না, আবার অনেকেই টাকা না দিতে পারায় বঞ্চিত হন। কিন্তু আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি—👉 ঠিক নিয়ম মেনে আবেদন করলে ১০০% টাকা ছাড়াই এই ভাতা পাওয়া সম্ভব!
গর্ভবতী ভাতা পাওয়া একটি অধিকার, যা কোনো ঘুষ ছাড়া সহজেই পাওয়া সম্ভব। সঠিক তথ্য ও ধৈর্য থাকলে যে কেউ নিজের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে পারবেন। আমি নিজেও ভাতা পাওয়ার জন্য বহু চেষ্টার পর সফল হয়েছি, আপনারাও পারবেন!
যদি আপনার গর্ভবতী ভাতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে শুধুমাত্র এই বিষয়ে জানতে আমার নম্বরে যোগাযোগ করুন: ০১৭৪৪৮৬১৩১২, অন্য কোনো কারণে কল করা থেকে বিরত থাকুন।
আপনার একটুখানি সচেতনতা অন্য গর্ভবতী মায়ের জন্য আশীর্বাদ হতে পারে! তাই এই পোস্টটি শেয়ার করুন। ❤️
আর যদি এইরকম গুরুত্বপূর্ণ টপিকস আরো পেতে চান তাহলে আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন বলে আশা করছি।
গর্ভবতী ভাতা নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্ন (FAQ)
আমি কি গর্ভবতী ভাতা অনলাইনে আবেদন করতে পারব?
উত্তর: না, এটি শুধুমাত্র ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে আবেদন করতে হয়।
যদি চেয়ারম্যান/মেম্বার টাকা চায়, তাহলে কী করব?
উত্তর: কাউকে টাকা দিবেন না! আপনি সরাসরি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে অভিযোগ করতে পারেন।
গর্ভবতী ভাতা কতদিন পর্যন্ত পাওয়া যায়?
উত্তর: গর্ভধারণের সময় থেকে তিন বছর পর্যন্ত এই ভাতা প্রদান করা হয়।
আমার যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে কি ভাতা পাব?
উত্তর: না, আপনাকে অবশ্যই বিকাশ/ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে আপনার নিজের নামে।
যদি চেয়ারম্যান বা মেম্বার অসহযোগিতা করেন তাহলে কী করবো?
আপনি সরাসরি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানান।
Banglapoints.com এ আপনাদের স্বাগতম।ব্লগিংয়ে আমার দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা। আমার এই দীর্ঘ ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার বানানো অনেকগুলো ওয়েবসাইট এর মধ্যে এটি একটি।আমার বিশ্বাস যে ক্যাটাগরিগুলো আমার ওয়েবসাইট এ আছে এগুলো একজন ভিসিটরকে 100% আসল এবং নিরাপদ কনটেন্ট প্রদান করবে যাতে যা কেউ প্রপার নলেজ ,ইনস্পিরেশন ও গাইডেন্স পায়।