page hit counter

কক মুরগির বাচ্চার দাম আজকে ২০২৫-kok murgir baccar dam ajka 2025

সবাইকে শুভেচ্ছা আজকের আলোচনা কক মুরগির বাচ্চার দাম আজকে ২০২৫-kok murgir baccar dam ajka 2025: লাভজনক কক মুরগির খামারের সূচনা। বাংলাদেশ কক মুরগির বাচ্চা হাতে গোনা কয়েকটি হ্যাচারি বিক্রি করে থাকে যাদের বাচ্চা পারফরম্যান্স খুব ভালো।

আর্টিকেলটির শুরুতেই আমি যা বলব-আপনার যদি বয়লার মুরগির বাচ্চার দাম জানার প্রয়োজন হয় তাহলে এখানে ক্লিক করে দামটা জেনে আসুন।

পোল্ট্রি খামার, বিশেষ করে কক মুরগির খামার, বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দিন দিন কক মুরগির মাংসের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে এই খামারের লাভজনকতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আপনাদের সময় বেশি নষ্ট করব না, সামান্য একটু সূচনা তো লিখতেই হয় না হলে কি গুগল আর্টিকেল টিকে রেংক করবে, আপনাদের সময়ের মূল্য আমি বুঝি তাই বেশি বকবক করলাম না।

এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করব:

কক মুরগির বাচ্চার দাম আজকে ২০২৪-kok murgir baccar dam ajka 2025 ,বাচ্চা কেনার সময় সাবধানতা ,কক মুরগি পালনের লাভ ,খামার স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা ,খামার পরিচালনার টিপস ,বাজারজাতকরণের কৌশল ,কক মুরগির দাম ২০২৫ ,কক মুরগির আজকের দাম ২০২৫ ,কক মুরগির কেজি কত ২০২৫ ,কক মুরগির খাবার তালিকা ,কক মুরগির রোগ ,কক মুরগির পিক ,কক মুরগির বৈশিষ্ট্য,কক মুরগির প্রকারভেদ,কক মুরগির রান্না,কক মুরগির মাংসের পুষ্টিগুণ

নিচে আমি সঠিক তথ্য তুলে ধরছি , টেবিলটি দেখার পর চলে যাবেন না নিচে আপনাদের জন্য আমি আরো ভ্যালু অ্যাড করেছি , নিচে গিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়ুন-আমি প্রতিদিন নিচের টেবিলগুলো কে দাম আপডেট করে থাকি-ও হ্যাঁ আপনার যদি সোনালী মুরগীর বাচ্চার দাম আজকে কত জানার প্রয়োজন হয় তাহলে এখানে একটা ক্লিক করে জেনে আসতে পারেন।

কিন্তু আপনি যখন আর্টিকেলটি পড়বেন তখন তো বাজারে এই দাম থাকবে না কত থাকবে আপনি এটা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন আমি এ ব্যবস্থা আপনাদের জন্য করেছি ।

কক মুরগির বাচ্চার দাম বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের উপর নির্ভর করে। বাজারে যখন কক মুরগির বাচ্চার চাহিদা বেশি থাকে তখন দাম বেড়ে যায়। আবার, বাজারে যখন কক মুরগির বাচ্চার সরবরাহ বেশি থাকে তখন দাম কমে যায়।

কক মুরগির বাচ্চার দাম আজকে ২০২৫-kok murgir baccar dam ajka 2025 সম্বন্ধে একটা আইডিয়া তো পেলেন , এখন রিয়েল টাইম বাচ্চার দাম কত এটা জানতে হবে না-আর কোথায় পাবেন এটাও তো জানতে হবে আমি নিচে এমনও কিছু ঠিকানা আপনাদের দিচ্ছি যারা অত্যন্ত সততার সাথে কক মুরগির বাচ্চা উৎপাদন ও ডেলিভারি দিয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে।

ভুলেও ভাববেন না এটি কোন স্পন্সর আর্টিকেল আমি নিজে স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে লিখেছি । যেন দিনশেষে আমার পাঠকের লাভবান হয়, এজন্য এই তথ্যসমৃদ্ধ এই আর্টিকেলটি আমি লিখেছি।

আমি নিচে কিছু স্বনামধন্য কক মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী হ্যাচারির নাম এবং তাদের মোবাইল নাম্বার দিয়ে দিচ্ছি ,আপনি নিচের নাম্বার গুলিতে যোগাযোগ করে রিয়েল টাইম বাচ্চার দাম জানতে পারবেন এবং বাচ্চা ক্রয় করতে পারবেন-ও আজকের কক মুরগির বাচ্চার দাম কত এটা জানতে পারবেন-

কক মুরগির বাচ্চার দাম আজকে ২০২৫
কক মুরগির বাচ্চার দাম আজকে ২০২৫

কক মুরগির বাচ্চার দাম আজকে ২০২৪-kok murgir baccar dam ajka 2024

হ্যাচারির নাম ঠিকানা মোবাইল নাম্বার
একুয়া লাইফ হ্যাচারী নওগাঁ, রাজশাহী মালিক-মুরাদ পারভেজ
মোবাইল নাম্বার-০১৮২৯০৭৪৫৫৫
amarapoultrykhamari   বগুড়া মোবাইল নাম্বার-01755852613
বগুড়া পোল্ট্রি নামাজগড়,বগুড়া মোবাইল নাম্বার -01735020353 / 01323282424 / 01716717126
মেরাজ এগ্রো ফার্ম এন্ড হ্যাচারী। লোকেশন। রংপুর মোবাইল নাম্বার -01723445495
বন্ধু এগ্রো এন্ড হ্যাচারী  রংপুর 01716717126
তাহিয়া পোল্ট্রি কমপ্লেক্স  রাজশাহী 01832-433152
Sajib Agro Farm and Hatchery যশোর প্রোঃ মোঃ সজিব সরকার
📲০১৭২২-৮৩৫১৮৮ ☎️০১৮৮৬-৮৬৫১৮৮
মিলন এগ্রো হ্যাচারী নোয়াখালী 01755338725☎️01610410153 imo
গোয়ালন্দ ভাই ভাই হ্যাচারী  ফরিদপুর যোগাযোগঃ ০১৭৭৭১৬৩৫১১
নাছিম এগ্রো ফার্ম এন্ড হ্যাচারীজ গোয়ালন্দ,রাজবাড়ী। 01701758070(হোয়াটসঅ্যাপ)ইমু 01861434571(ইমু) 01711049776(ইমু+হোয়াটসঅ্যাপ
মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজ সদর রাস্তা, আমতলী, জয়পুরহাট। মোবাইলঃ- ০১৭৩০-৯৮২৪৩৫/০১৭১৬-৬৭৭৬৮৮
রাফিয়া পোল্ট্রি কুমিল্লা, চাঁদপুর কল করুন 01777183629
ইয়াছিন এগ্রো ফার্ম বগুড়া।জয়পুরহাট। সরাসরি ফোন করুন 01792543396 01317577222
এ.পি.এল ফিড এন্ড হ্যাচারী সিলেট মোবাইলঃ 01318970919..01877107683
ইউসুফ এগ্রো ফার্ম গাজীপুর 01710372905
APL Feed & Hatchery Dhaka Mirpur Dealer হ্যাঁচারিঃ ময়মনসিংহ, ফুলবাড়িয়া মোবাইলঃ 01829409731
শাহরিয়ার এগ্রো ফার্ম ঠিকানা – চট্টগ্রাম, পটিয়া যোগাযোগ করেন ০১৯২৩০৩১৫৪৮
জয়পুরহাট এগ্রো এন্ড চিকস পাবনা বিস্তারিত জানতে কল করুন
☎️০১৩০১১৩৬৮৯২
এস.আর টার্কি হাউস নারায়ণগঞ্জ Mobile Number: 01966765563
Jony Agro   ০১৭১৮৭০৯২৩৮
TUHIN Agro মনোহরদী, নরসিংদী 01962489434

কক মুরগির বাচ্চা কেনার সময় সাবধানতা:

কক মুরগির বাচ্চার দাম আজকে ২০২৫
কক মুরগির বাচ্চার দাম আজকে ২০২৫
  • সুস্থ ও সবল দেখে বাচ্চা কিনুন
  • টিকা দেওয়া বাচ্চা কিনুন, টিকা কি দিয়ে দিবে জিজ্ঞেস করুন তো , চেষ্টা করুন ।
  • বিশ্বস্ত বিক্রেতার কাছ থেকে কিনুন , উপরের দেওয়া ঠিকানা গুলো খুবই বিশ্বস্ত।

কক মুরগি পালনের লাভ:

  • দ্রুত বৃদ্ধি পায়ও উৎপাদন অনেক বেশি হয়
  • কম খরচে পালন বয়লার ও সোনালীর তুলনায় খাবার কম খায়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এইজন্য তুলনামূলক লাভ বেশি
  • মাংসের চাহিদা বেশি ,বয়লার ও সোনালীর তুলনায় অনেক বেশি ।
  • ভাল বাজার দাম , বাজারে খুবই চাহিদা।

কক মুরগির খামার স্থাপনে প্রয়োজনীয়তা:

  • উপযুক্ত জমি নির্বাচন করতে হবে
  • পাকা ঘর হলে ভালো হয়
  • ভালো বাতাস ও আলোর ব্যবস্থা করতে হবে
  • খাদ্য ও পানির সরবরাহ ব্যবস্থা খুব ভালো হতে হবে
  • রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী হইতে হবে
  • বায়ো সিকিউরিটির ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে ।

কক মুরগির খামার পরিচালনার টিপস:

  • মানসম্পন্ন খাদ্য ও পানি সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
  • নিয়মিত টিকা প্রদান করা খুবই প্রয়োজন
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা যতটুকু সম্ভব ।
  • রোগের লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ কিছু পোল্ট্রি চিকিৎসকের নাম্বার নিয়ে রাখুন।

কক মুরগির বাজারজাতকরণের কৌশল:

  • স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারেন।
  • অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন এখন এটি অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।
  • সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি এটা অনেক প্রভাবশালী।

শেষ কথা:

কক মুরগির খামার লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা, জ্ঞান এবং পরিচালনার মাধ্যমে আপনি এই খামার থেকে ভালো লাভ

কক মুরগির দাম ২০২৫ ও কক মুরগির বাচ্চার দাম আজকে ২০২৫

কক মুরগির বাচ্চার দাম আজকে ২০২৫
কক মুরগির দাম ২০২৫

কক মুরগির দাম ২০২৫ এখন আলোচনা করব আর কক মুরগির বাচ্চার দাম আজকে ২০২৫ পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে।

কক মুরগির দাম ২০২৫: বাজারে কী চলছে?

২০২৫ সালে কক মুরগির দাম বেশ কিছু ওঠানামা দেখেছে। বছরের শুরুতে দাম ছিল তুলনামূলক কম, কিন্তু মাঝামাঝি সময়ে দাম বেড়ে বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়।

বাজারে কী চলছে?

  • বছরের শুরুতে ২০২৪ সালের কথা: বছরের শুরুতে কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছিল ২৮০-২৯০ টাকায়।
  • মার্চ-এপ্রিল: মার্চ-এপ্রিল মাসে বাজারে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে কক মুরগির বাচ্চার দামও বেড়ে যায়। এর প্রভাবে কক মুরগির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়ে ৩২০-৩৪০ টাকায় পৌঁছায়।
  • মে-জুলাই: এরপর বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা আসে এবং কক মুরগির দাম কেজিতে ২৯০-৩০০ টাকায় নেমে আসে।
  • আগস্ট-সেপ্টেম্বর: আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বাজারে আবারো অস্থিরতা দেখা দেয় এবং কক মুরগির দাম কেজিতে ৩৫০-৩৬০ টাকায় উঠে যায়।
  • অক্টোবর-ডিসেম্বর: বর্তমানে বাজারে কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে এবং কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৩০ টাকায়।
  • নতুন বছর জানুয়ারি ২০২৫: বর্তমানে বাজারে কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে এবং কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৩০ টাকায়।

কিন্তু আপনি যখন আর্টিকেলটি পড়বেন তখন তো বাজারে এই দাম থাকবে না কত থাকবে আপনি এটা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন আমি এ ব্যবস্থা আপনাদের জন্য করেছি ।

আমি নিচে কিছু স্বনামধন্য পোল্ট্রি মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম এবং তাদের মোবাইল নাম্বার দিয়ে দিচ্ছি ,আপনি নিচের নাম্বার গুলিতে যোগাযোগ করে রিয়েল টাইম বয়লার মুরগির দাম জানতে পারবেন এবং বয়লার মুরগি ক্রয় করতে পারবেন-

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম মোবাইল নাম্বার
স্নিগ্ধা পল্টি এন্ড ফার্ম ০১৭১৩৬৬৩৬৮০
কাজী ফার্মস ০১৩২১২১৭৯৩২
অ্যাকুয়া লাইফ পোল্ট্রি ০১৮২৯০৭৪৫৫৫
নারিশ পোল্ট্রি ০১৭২৯৩৪৪৮০৯
ইউসুফ পোল্ট্রি ০১৭৯২৭৯৬৩৭৩
হাসান পোল্ট্রি ০১৭১০৩৮৯৩৩৬
ওমর আনাস মুরগি হাউস ০১৭৭৪৩৪৪৫৭৬
তহিদুল পোল্ট্রি ০১৭৩৭৯৫৭৯৩৭
মিজান পোল্ট্রি ০১৭৯২৮৫৫৪৫৩
ইব্রাহিম পোল্ট্রি ০১৭৫০০৯৫৮৬৪
আল-আমিন পোল্ট্রি ০১৭৭৩২৭৬৬৩৮
সততা পোল্ট্রি ০১৭৩০১২৬১১২

কক মুরগির দামের ওঠানামার কারণ যেটা আমার কাছে মনে হয়

  • খাদ্যের দাম: খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে কক মুরগির পালন খরচও বেড়ে যায়। এর প্রভাবে বাজারে মুরগির দামও বেড়ে যায়।
  • রোগ-বালাই: কোন এলাকায় মুরগির মধ্যে রোগ-বালাই দেখা দিলে বাজারে মুরগির সরবরাহ কমে যায় এবং দাম বেড়ে যায়।
  • চাহিদা ও সরবরাহ: বাজারে মুরগির চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য নষ্ট হলে দামে ওঠানামা দেখা দেয়। এটাই বাজার কে বেশি অস্থির করে দেয় আর এর সুযোগ নেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ।
  • অন্যান্য কারণ: বাজারে মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকা, ঈদ-উৎসবের মতো বিশেষ দিন, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব ইত্যাদি কারণেও কক মুরগির দামে ওঠানামা দেখা দিতে পারে।

কক মুরগি পালনকারীদের জন্য পরামর্শ

  • বাজারের খবর রাখুন: বাজারের দামের ওঠানামা সম্পর্কে আপডেট থাকুন। আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন ।
  • পালন খরচ কমিয়ে আনুন: খাদ্যের সঠিক ব্যবহার, রোগ-বালাই প্রতিরোধ, আধুনিক পদ্ধতিতে মুরগি পালনের মাধ্যমে পালন খরচ কমিয়ে আনতে পারেন।
  • মানসম্পন্ন মুরগি উৎপাদন: বাজারে টিকে থাকার জন্য অবশ্যই মানসম্পন্ন মুরগি উৎপাদন করতে হবে।
  • সরাসরি বাজারজাতকরণ: মধ্যস্থতাকারীদের বাদ দিয়ে সরাসরি বাজারজাতের ব্যবস্থা করেন তাহলে দাম ভালো পাবেন।

কক মুরগির কেজি কত ২০২

বর্তমান বাজারে প্রতি এক কেজি কক মুরগির দাম ২৮০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়ে থাকে।

আজ ১ কেজি কক মুরগির দাম ২৯০-৩৩০। তবে, বাজার, জাত, এবং বিক্রেতার উপর নির্ভর করে দাম কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।

১ কেজি কক মুরগির দাম (২০২৫):

তারিখ ব্রয়লার (৳) কক (৳)
২০২৪-০১-০১ ১৮০-১৯০ ৩৬০-৩৭০
২০২৪-০১-১০ ২১০-২২০ ৩৮০-৩৯০
২০২৪-০২-১৫ ১৯০-২০০ ২৭০-২৮০
২০২৪-১০-১৬ ২২০-২৩০ ২৯০-৩৩০

বিঃদ্রঃ:

  • বাজারের অবস্থা, জাত, ওজন এবং বিক্রেতার উপর নির্ভর করে কক মুরগির দাম কিছুটা কম বা বেশি হতে পারে।
  • কক মুরগি দেশি জাতের, তাই ব্রয়লার মুরগির তুলনায় দাম একটু বেশি।

কক মুরগির খাবার তালিকা

সঠিক নিয়মে কক মুরগির খাবার তালিকা কম খরচে কক মুরগির মাংস বৃদ্ধি করার জন্য সঠিক কক মুরগির খাবার তালিকা জানা খুবই জরুরী সঠিক কক মুরগির খাবার তালিকা জানা না থাকলে খাবার অপচয় হবে,মুরগির মাংস উৎপাদনে খরচ বৃদ্ধি হবে অতিরিক্ত খাবার দিলে ওজন বৃদ্ধি হবে তা কিন্তু না

আমি নিচে কক মুরগির খাবার তালিকা নিয়ে আলোচনা করব-(খাবার(বস্তা) ও পানি ১০০০ ককের জন্য প্রতি সপ্তাহের গড় হিসাবে)

সপ্তাহ                 ১০০০ কক  খাবার পানি
প্রথম সপ্তাহ   ৫ বস্তা    ৩০লি
দ্বিতীয় সপ্তাহ      ৮ বস্তা  ৫০লি
তৃতীয় সপ্তাহ   ১১ বস্তা ৬৪লি
চতুর্থ সপ্তাহ   ১৪ বস্তা     ৭২লি
পঞ্চম সপ্তাহ ৩৫ দিন বয়স পর্যন্ত ১৭বস্তা ৮০লি
ষষ্ঠ সপ্তাহ ৪০ দিন বয়স পর্যন্ত ২২ বস্তা ৮৮লি
সপ্তম সপ্তাহ   ২৭  বস্তা ৯৬লি
অষ্টম সপ্তাহ ৫০-৬০ দিন বয়স পর্যন্ত ৩২ বস্তা  ১০২
নবম সপ্তাহ ৬০-৭০ দিন বয়স পর্যন্ত ৩৮-৪০ বস্তা  ১১২লি

এই তালিকাটি একটি সাধারণ নির্দেশিকা। মুরগির জাত, বয়স, ওজন এবং ঋতু অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ ও ধরণে পরিবর্তন আনা যেতে পারে।

সবসময় পরিষ্কার ও তাজা পানি মুরগির কাছে রাখুন।

এই নিয়ম গুলো ১০০% মিলবে না তবে ৯০% ঠিক আছে আশা করা যায়।আবহাওয়া ,শীত ,গরম এবং বিভিন্ন সমস্যার কারণ কম বেশি হতে পারে এটাই তো স্বাভাবিক।

এবার আপনি আমার এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন আপনি নিজে কিভাবে ১০০ কক মুরগির খাবার নিজে তৈরি করতে পারবেন এবং কোন সময়ে কোন পরিমান মত খাবার প্রদান করবেন নিচে টেবিলটি ভালো করে ফলো করুন-

খাবার পরিমাণ (প্রতিদিন) সকাল দুপুর বিকেল
ভুট্টার ৮ কেজি ৪ কেজি ২ কেজি ২ কেজি
ধান ৫ কেজি ৩ কেজি ১ কেজি ১ কেজি
গম ৩ কেজি ২ কেজি ০.৫ কেজি ০.৫ কেজি
সয়াবিন খৈল ২ কেজি ১ কেজি ০.৫ কেজি ০.৫ কেজি
মাছের গুঁড়া ১ কেজি ০.৫ কেজি ০.২৫ কেজি ০.২৫ কেজি
শাকসবজি (কুঁচি করে) ৫০ কেজি ২৫ কেজি ২৫ কেজি
খনিজ ও ভিটামিন প্রিমিক্স ২৫০ গ্রাম ১২৫ গ্রাম ৬২.৫ গ্রাম ৬২.৫ গ্রাম
পানি পরিমাণমতো
ঝিনুক গুঁড়া ৫০০ গ্রাম ২৫০ গ্রাম ২৫০ গ্রাম
ডিমের খোসা গুঁড়া ৫০০ গ্রাম ২৫০ গ্রাম ২৫০ গ্রাম
লবণ ৫০ গ্রাম ২৫ গ্রাম ১২.৫ গ্রাম ১২.৫ গ্রাম

কক মুরগির রোগ

কক মুরগির রোগ,বিভিন্ন রোগের কারণে এই মুরগির উৎপাদনশীলতা এবং স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই অনুচ্ছেদে, আমরা কক মুরগির কিছু সাধারণ রোগ, তাদের লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করব।

এটি কক মুরগির ভাইরাস জনিত একটি মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ। সকল বয়সের মোরগ-মুরগি এ রোগে আক্রান্ত হয়।

  • কক মুরগি চোখ বন্ধ করে ঝিমায় ও মুরগীর ডানা ঝুলে পড়ে যায়
  • কক মুরগির শ্বাসনালী ও খাদ্যনালীর মিলনস্থল অসাড় হয়ে যায়, ফলে খাবার গ্রহন একেবারে কমিয়ে দেয়
  • আক্রান্ত মুরগী পানি শুন্যতায় ভোগে, এবং ল্যাংড়া হয়ে যেতে থাকে
  • কক মুরগির মলাশয় ফুলে বড় হয়ে যায়, ফলে চুনে পায়খানা মলদ্বারে আটকে থাকে

বার্ড ফ্লু, যা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামেও পরিচিত, এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা হাঁস, কক মুরগি, এবং অন্যান্য মুরগি কে আক্রান্ত করে। এই রোগের লক্ষণগুলি বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

  • কক মুরগির এই রোগ হলে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই অনেক মুরগী মারা যায়
  • কক মুরগির মাথার ঝুটি কালচে রঙ এর হয়ে যাবে এবং হালকা রক্তবিন্দু থাকতে পারে
  • কক মুরগির মাথা ফুলে যেতে পারে এবং পানি জমে যাবে
  • কক মুরগির পালকহীন অংশে (যেমন- পা) রক্তবিন্দু পাওয়া যাবে
  • কক মুরগির মাত্রাতিরিক্ত পানি গ্রহন লক্ষ্য করা যাবে
  • লেয়ার মুরগির ক্ষেত্রে প্রথমে নরম খোলাযুক্ত ডিম পাড়ে, এবং পরে ডিম পাড়া বন্ধ করে দেয়

ভাইরাস জনিত একটি সংক্রামক রোগ। বয়স্ক মুরগির চেয়ে বাচ্চা বেশী আক্রান্ত হয় এবং এ রোগে মুরগির বাচ্চার মৃত্যুর হার বেশী।

  • সাধারণতঃ শরীরের পালকহীন স্থানেই এসকল গুটি বেশী হয়
  • এ রোগে আক্রান্ত মোরগ মুরগির ঝুটি, কানের লতি, চোখ, ঠোঁট ও মুখের ভিতর গুটি বা ফোসকা দেখা যায়

লিম্ফয়েড লিউকোসিস মুরগীর টিউমার সৃষ্টিকারী একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এ রোগের ক্ষেএে টিউমার সৃষ্টি হয়। এ ভাইরাস যকৃতের মধ্যে প্রবেশ করে এবং টিউমার সৃষ্টি করে। ফলে যকৃত বড় হয়ে যায়।

  • কক মুরগির দেহের পালক ভাঙ্গা ভাঙ্গা ও ময়লা হয়। আক্রান্ত মুরগীর ঝুটি নীলবর্ণের হয়ে যায়
  • পাতলা পায়খানা হতে পারে
  • যকৃত বড় হওয়ার কারণে তলপেট বেশ বড় দেখা যায়
  • কিন্তু মারেক্সে আক্রান্ত মুরগীর মত এক পা সামনের দিকে অন্য পা পিছনের দিকে থাকে না
  • ডিম পাড়া কক মুরগীতে ডিম উৎপাদন কমে যায়
  • অনেক সময় কক মুরগীর পায়ের ও ডানার হাড়ের অস্থি অস্বাভাবিক মোটা হয়ে বেকে যায়

কক মুরগির মাইক্রোপ্লাজমোলেসিস হলে ডিমপাড়া মুরগীর ১০-২০% ডিম উৎপাদন কমে যায়। এছাড়া মাংস উৎপাদনকারী কক মুরগীর ১০-২০% ওজন কমে যায়।

  • মুরগী ঘড় ঘড় শব্দ করে; রাত্রে বেশি ভালো বোঝা যায়
  • আক্রান্ত মুরগী মুখ হা করে নিঃশ্বাস নেয়
  • মুখ অনেকটা ফুলে যায় ও শরীরের ওজন কমে যায়

এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত অতি সংক্রামক রোগ। 

  • কক মুরগির মাথার ঝুটি ও গলার ফুল ফুলে যাবে
  • কক মুরগী দুর্বল হয়ে যাবে
  • সবুজাভ বা হলুদাভ ডায়রিয়া হতে পারে
  • কক মুরগির মুখ দিয়ে লালা পড়বে
  • কক মুরগি মাথা নিচের দিকে দিয়ে ঝিমাবে
  • কক মুরগির ডিম উৎপাদন কমে যাবে

কক মুরগির আরো কিছু মারাত্মক রোগ:

  • মারেক্স রোগ: এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে পক্ষাঘাত, ডিম উৎপাদন হ্রাস, ওজন হ্রাস এবং পালক ঝরে যাওয়া।
  • নিউক্যাসল রোগ: এটি একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ যা মুরগির শ্বাসযন্ত্র, হজমতন্ত্র এবং স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, ডায়রিয়া, পক্ষাঘাত এবং মৃত্যু।
  • গামবোরো রোগ: এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা মুরগির প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, ওজন হ্রাস, পালক ঝরে যাওয়া এবং মৃত্যু।
  • ইনফেকশাস ব্রংকাইটিস: এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা মুরগির শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, ডিম উৎপাদন হ্রাস এবং ওজন হ্রাস।
  • কোক্সিডিয়োসিস: এটি একটি পরজীবীজনিত রোগ যা মুরগির অন্ত্রকে আক্রমণ করে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, ওজন হ্রাস, রক্তক্ষরণ এবং মৃত্যু।

উল্লেখিত রোগগুলি বিভিন্ন জীবাণু, ভাইরাস এবং পরজীবীর দ্বারা সৃষ্ট হয়। রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে সংক্রামিত মুরগির সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে, দূষিত খাবার বা পানি গ্রহণের মাধ্যমে বা বায়ু দ্বারা সংক্রামিত জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে।

রোগের প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • টিকা: মুরগিকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া।
  • স্বাস্থ্যবিধি: খামার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মুরগির খাবার ও পানি পরিষ্কার রাখা।
  • রোগ নির্ণয়: রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত রোগ নির্ণয় করা এবং চিকিৎসা শুরু করা।
  • চিকিৎসা: রোগের ধরন অনুসারে উপযুক্ত ঔষধ ব্যবহার করা।

কক মুরগির পিক

কক মুরগির পিক

বাংলাদেশে ককের মাংস ব্রয়লারের মাংসের চেয়ে বেশি জনপ্রিয়। কারণ ককের মাংস শক্ত এবং সুস্বাদু। তবে, অনেক ভোক্তা কক এবং ককরেলের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে অজানা। এই অনুচ্ছেদে, আমরা এই দুটি ধারণার স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করব।

কক:

পোল্ট্রি বিজ্ঞানে, কক বলতে বোঝায় এক বছরের বেশি বয়সী পুরুষ মুরগি। এদের পালকের রঙ সাদা, লাল, বা মিশ্র কালারের হতে পারে। ককের মাংস ব্রয়লারের তুলনায় শক্ত এবং পুষ্টিকর।

ককরেল:

ককরেল বলতে বোঝায় এক দিন থেকে এক বছরের কম বয়সী পুরুষ মুরগি। এদের পালকের রঙ ব্রয়লারের মত হতে পারে। ককরেলের মাংস ব্রয়লারের মত নরম এবং সুস্বাদু।

পার্থক্য:

কক মুরগির বৈশিষ্ট্য

কক মুরগির বৈশিষ্ট্য

  • কক মুরগির গায়ের রঙ সাদা,লাল অথবা মিশ্র কালার
  • পুরুষ চিকেনের বয়স যখন ১ বছর অতিক্রম করে তখনই মূলত তাকে কক বলা হয়।
  • যেসব পুরুষ চিকেনের বয়স ১ দিন থেকে এক বছরের নীচে সেসব চিকেনকে ককরেল বলে।
  • ঝলমলে পালক, ঝুঁটি, ঠোঁট এবং শক্তিশালী পা
  • মোরগের ঝুঁটি, লম্বা লেজ এবং ‘wattle’ (গলায় ঝুলন্ত ত্বক) থাকে
  • কক মুরগির মুরগীর ঝুঁটি ছোট এবং লেজের পালক ছোট
  • কক মুরগির পা হলুদ রঙের
  • কক মুরগির লেজ লম্বা এবং সাদা পালক দিয়ে ঢাকা।
  • কক মুরগির মাথায় লাল রঙের কম্ব রয়েছে।

কক মুরগির প্রকারভেদ

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরণের কক মুরগি পাওয়া যায়, যার প্রত্যেকটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা রয়েছে।

কিছু জনপ্রিয় জাতের মধ্যে রয়েছে:

  • প্লাইমাউথ রক: এই মুরগিগুলি শক্তিশালী, শীতকালীন আবহাওয়ায় টিকে থাকতে পারে এবং মাংস ও ডিম উভয়ের জন্যই ভালো।
  • রোড আইল্যান্ড রেড: দ্রুত বর্ধনশীল এবং উচ্চ ডিম উৎপাদনশীল এই জাত মাংসের জন্যও উপযুক্ত।
  • ব্রাহ্মা: বড় আকারের জন্য পরিচিত এই মুরগিগুলি মাংস ও ডিম উভয়ের জন্যই ভালো।
  • কর্নিশ: বড় ব্রেস্টের জন্য জনপ্রিয় এই জাত ব্রয়লার মুরগি হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হয়।
  • সোনালী: মৃদু স্বভাবের এবং উচ্চ ডিম উৎপাদনশীল এই মুরগি মাংসের জন্যও ভালো।
  • লেগহর্ন: অত্যধিক ডিম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত এই জাত মাংসের জন্য তেমন ভালো নয়।
  • অ্যারাকনা: অনন্য নীল ডিমের জন্য পরিচিত এই মুরগি মাংসের জন্যও ভালো।
  • সিল্কি: নরম, রেশমী পালকের জন্য পরিচিত এই মুরগি ডিম ও মাংসের জন্য তেমন ভালো নয়।

কক মুরগি নির্বাচন করার সময়:

  • আপনার প্রয়োজন (মাংস, ডিম, পোষা প্রাণী)
  • আপনার পছন্দ (আকার, রঙ, স্বভাব)
  • আপনার আবহাওয়া (কিছু জাত শীতকালীন আবহাওয়ায় টিকে থাকতে পারে)

বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

কিছু টিপস:

  • দ্রুত বর্ধনশীল জাত: রোড আইল্যান্ড রেড, কর্নিশ
  • উচ্চ ডিম উৎপাদনশীল জাত: লেগহর্ন, সোনালী
  • মৃদু স্বভাবের জাত: সোনালী, সিল্কি
  • শীতকালীন আবহাওয়ার জন্য: প্লাইমাউথ রক

উল্লেখ্য:

এই তালিকা সম্পূর্ণ নয় এবং বিশ্বজুড়ে আরও অনেক জাতের কক মুরগি পাওয়া যায়। আপনার জন্য কোন জাতটি সবচেয়ে ভালো হবে তা নির্ধারণ করার জন্য আপনার নিজের গবেষণা করা গুরুত্বপূর্ণ।

কক মুরগির রান্না

কক মুরগির রান্না: সহজ পদ্ধতি

উপকরণ:

  • 1টি কক মুরগি (1.5 কেজি)
  • 2 টেবিল চামচ তেল
  • 1 টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা
  • 1/2 চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
  • 1/2 চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
  • 1/4 চা চামচ জিরা গুঁড়ো
  • 1/4 চা চামচ ধনে গুঁড়ো
  • 1/4 চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
  • 1/4 চা চামচ লবণ (স্বাদ অনুযায়ী)
  • 1/2 কাপ পেঁয়াজ কুচি
  • 1/2 কাপ টমেটো কুচি
  • 1/4 কাপ ধনেপাতা কুচি
  • 1/4 কাপ কাঁচা মরিচ কুচি (ঐচ্ছিক)
  • 1 কাপ পানি

প্রণালী:

  1. মুরগি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
  2. একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি বাদামী করে ভেজে নিন।
  3. আদা-রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন।
  4. টমেটো কুচি, লবণ এবং পানি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
  5. মুরগি পাত্রে দিয়ে ঢেকে 15-20 মিনিট রান্না করুন।
  6. মুরগি সেদ্ধ হয়ে গেলে ধনেপাতা কুচি এবং কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে আরও 5 মিনিট রান্না করুন।
  7. ঝোল ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন গরম ভাতের সাথে।

টিপস:

  • মুরগির স্বাদ আরও বাড়াতে 1/2 চা চামচ জিরা গুঁড়ো, 1/4 চা চামচ ধনে গুঁড়ো এবং 1/4 চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে মুরগি ধুয়ে নিতে পারেন।
  • ঝোলের স্বাদ আরও তীব্র করতে 1 টেবিল চামচ কাঁচা মরিচের বাটা ব্যবহার করতে পারেন।
  • ঝোলের ঘনত্ব আপনার পছন্দ অনুযায়ী কম বা বেশি করতে পারেন।
  • ঝোলের মধ্যে আলু, গাজর, মটরশুঁটি ইত্যাদি সবজি যোগ করতে পারেন।

পরিবেশন:

গরম ভাতের সাথে কক মুরগির ঝোল পরিবেশন করুন। রুটি, পরোটা, নুডুলস ইত্যাদির সাথেও খেতে পারেন।

বৈচিত্র:

  • ঝোলে নারকেলের দুধ যোগ করতে পারেন।
  • ঝোলে আলুর বড়া, ডিমের বড়া, পনিরের বড়া ইত্যাদি যোগ করতে পারেন।
  • ঝোল শুকিয়ে ভাজা মুরগি তৈরি করতে পারেন।

আশা করি এই রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে।

কক মুরগির মাংসের পুষ্টিগুণ

কক মুরগির মাংসের পুষ্টিগুণ

  • প্রোটিনে ভরপুর কক মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।
  •  কক মুরগির মাংসে উচ্চ মাত্রায় ট্রাইফটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। যে উপাদান মানুষের বিষন্নতা দূর করে।
  • হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে কক মুরগির মাংস।
  • হার্টের জন্য খুবই ভালো কক মুরগির মাংস
  • ফসফরাসের প্রাচুর্য আছে কক মুরগির মাংসে।
  • হজমে সাহায্য করে কক মুরগির মাংস
  • ‘নিয়াসিন’ সমৃদ্ধ কক মুরগির মাংস
  • চোখ ভালো রাখে কক মুরগির মাংস

কক মুরগি গোশতের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অনেক। এই মুরগির গোশতে কোলেস্ট্ররল এর পরিমান গরু ও খাসির মাংসের চাইতে কম থাকায় সকলে খেতে পারে। কক মুরগির গোশতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন হওয়ায় এটি ওজন কমানোর ভালো উৎস হিসাবে কাজ করে।

পরিশেষে

পরিশেষে এটাই বলব যদিও আর্টিকেলটি আমি লিখেছি কক মুরগির বাচ্চার দাম আজকে কত এই টপিকে কিন্তু আর্টিকেলটিতে আমি কক মুরগি সম্বন্ধীয় আরো অনেক তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।

আশা করছি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে ভালো লাগলেই আমার কষ্ট সার্থকতা পাবে আপনাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে নতুন একটা আর্টিকেল নিয়ে আবার দেখা হবে ধন্যবাদ।

লোকেরা যে সমস্ত প্রশ্ন প্রায়ই জিজ্ঞাসা করে

আজকের কক মুরগির বাচ্চার দাম কত?

আজকের কক মুরগির বাচ্চার দাম নির্ভর করে প্রজাতি, লিঙ্গ, বিক্রেতা এবং অবস্থানের উপর। তবে, বাজারের বর্তমান অবস্থা অনুসারে,
সোনালী কক মুরগির বাচ্চার দাম:পুরুষ: ৪০-৪৫ টাকা
মহিলা: ৩৫-৪০ টাকা
ব্রয়লার কক মুরগির বাচ্চার দাম:পুরুষ: ৪০-৫০ টাকা
মহিলা: ৩৫-৩৮ টাকা
আজকের বাজারে কক মুরগির বাচ্চার দাম বিভিন্ন জাত ও বিক্রেতার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে, আনুমানিক দাম নিচে দেওয়া হলো:
সোনালী: ৩০-৪০ টাকা
কবরাজ: ৩৪-৩৬ টাকা
হাইব্রিড: ৩৮-৪৫ টাকা
ভারী: ৪০-৪৫ টাকা

কক মুরগির বাচ্চার দাম কেন এত ওঠানামা করে?

কক মুরগির বাচ্চার দাম বেশ কিছু কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন:
চাহিদা ও সরবরাহ: বাজারে কক মুরগির বাচ্চার চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যহীনতা দামের ওঠানামার প্রধান কারণ।
ঋতু: গ্রীষ্মকালে কক মুরগির বাচ্চার চাহিদা বেশি থাকে, তাই দাম তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।
খাদ্যের দাম: খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেলে কক মুরগির বাচ্চার উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পায়, ফলে দাম বেড়ে যায়।
রোগবালাই: রোগবালাইয়ের প্রাদুর্ভাব কক মুরগির বাচ্চার উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে, ফলে দাম বৃদ্ধি পায়।

কক মুরগির বাচ্চা কেনার সময় কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত?

কক মুরগির বাচ্চা কেনার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত:
সুস্থ ও সবল বাচ্চা: বাচ্চাগুলো যেন সুস্থ, সবল এবং উজ্জ্বল দেখতে হয়।
পালকের অবস্থা: বাচ্চাগুলোর পালক যেন পরিষ্কার, নরম এবং চকচকে থাকে।
চোখের অবস্থা: চোখ যেন পরিষ্কার, উজ্জ্বল এবং পানিশূন্য থাকে।
ঠোঁট ও নাকের অবস্থা: ঠোঁট ও নাক যেন পরিষ্কার এবং শুষ্ক থাকে।
পায়ের অবস্থা: পায়ের পাতা যেন পরিষ্কার এবং শুষ্ক থাকে।
বিক্রেতার খ্যাতি: বিশ্বস্ত ও অভিজ্ঞ বিক্রেতার কাছ থেকে বাচ্চা কেনা উচিত।

কক মুরগির বাচ্চার জন্য কোন খাবার খাওয়ানো উচিত?

কক মুরগির বাচ্চার জন্য প্রোটিন, শর্করা, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিত। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি কক মুরগির বাচ্চার খাবার পাওয়া যায়। এছাড়াও, আপনি ঘরে তৈরি খাবারও খাওয়াতে পারেন।

কক মুরগির বাচ্চার জন্য কেমন পরিবেশ প্রয়োজন?

কক মুরগির বাচ্চার জন্য পরিষ্কার, শুষ্ক ও সুন্দর পরিবেশ প্রয়োজন। বাচ্চাগুলোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা, আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে।

কক মুরগির বাচ্চা পালনের ঝুঁকি কি কি?

কক মুরগির বাচ্চা পালনের কিছু ঝুঁকি রয়েছে, যেমন:
রোগ: বাচ্চাগুলো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
শিকারী: শিকারী প্রাণীর হাত থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করতে হবে।
বাজারের অস্থিরতা: বাজারের দামের অস্থিরতার কারণে লোকসান হতে পারে।

Leave a Comment