তেল সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল ২০২৪ বাংলাদেশ-Most fuel-efficient motorcycle 2024

সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আমার নতুন একটি পোস্টে আজকে আলোচনার টপিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তেল সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল ২০২৪ বাংলাদেশ-Most fuel-efficient motorcycle 2024 সম্বন্ধে একটি বিস্তর আলোচনা করব। প্রথমেই বলে রাখি এখানে আমি আপনাকে নিরপেক্ষভাবে তথ্য শেয়ার করব কোন মোটরসাইকেল বিক্রি করতে আসিনি এখানে আমি ,ব্যাপক রিসার্চ করে মোটরসাইকেলগুলো খুজে বের করেছি, এগুলো ওই মোটরসাইকেল যেগুলো তেল সাশ্রয়ী।

বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে fuel-efficient তেল সাশ্রয়ী মোটরসাইকেলের সংখ্যা একেবারে কম না,কিন্তু আমরা অনেক সময় ডিজাইন, হাই সিসি, লং ট্যুর ইত্যাদি বিষয়গুলো মাথায় রেখে সবগুলো বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় করে মোটরসাইকেল পছন্দ করি, কিন্তু দিনশেষে যখন মাইলেজের কথা উঠে তখন আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই আর পড়াটাও তো স্বাভাবিক। যেভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে, যারা আমরা মোটরসাইকেল দিয়ে রুজি রোজগার করি তাদের জন্য রীতিমতো হুমকি হয়ে গেছে তেলের দামটা।

তাই প্রয়োজনের তাগিদে আমি ১৩ টি তেল সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল আলোচনা করব নিরপেক্ষভাবে। আর্টিকেলটি কোন মোটরসাইকেল কোম্পানির স্পন্সর করা নয়, আর্টিকেলে কোন লিংক ও আমি ইউজ করিনি, যেগুলি ভালো সেগুলিকে আমি ভালো বলবো আর যেগুলি তেল সাশ্রয়ের জন্য খারাপ সেগুলিকে আমি খারাপ বলব, দিনশেষে আমার পাঠকেরা যেন উপকৃত হয়। বাইকটি তেল কম খাচ্ছে, পাশাপাশি অন্য কোন অসুবিধা আছে নাকি বাইকটির সেটি নিয়ে সামান্য আলোকপাত করবো পাশাপাশি তেল-সাশ্রয়ী মোটরসাইকেলটির রিয়েল টাইম দাম তো থাকছেই।

কম তেলে বেশি চলে কোন মোটর সাইকেল-Kom tele basi chole kon Motorcycle price

পর্যায়ক্রমে এখন বাইকগুলো নিয়ে আলোচনা করব।কম তেলে বেশি চলে কোন মোটর সাইকেল-Kom tele basi chole kon Motorcycle price. প্রথমে আমি কম তেলে বেশি চলে এরকম মোটরসাইকেল এর তালিকায় মানে তেল সাশ্রয়ী মোটরসাইকেলের তালিকায় যেটিকে রেখেছি সেটি হল-

বাজাজ কোম্পানির ১০০ সিসি-র এই বাইকটি প্রতি লিটারে কোম্পানি ক্লেম করেছে ৮০ কিলোমিটার যায় কিন্তু আমরা চালিয়ে বা অনলাইন রিভিউ থেকে জেনেছি এটি ৭০ কিলোমিটার উপরে মাইলেজ পাওয়া যায়। এটিতে ১০২ সিসির একটি ইঞ্জিন রয়েছে, বসার সিট টা অনেক বড় তিনজন কোন ব্যাপারই না। ANTI-SKID ব্রেকিং সিস্টেম রয়েছে এটিতে এজন্য এই বাইকটি আমার কাছে অত্যন্ত ভালো লাগে, মানে পায়ের ব্রেক ধরলে সামনে ও পিছনে ৬০% ৪০% তে কাজ করবে। এই মোটরসাইকেলটি স্পেয়ার পার্টস সব জায়গায় পাওয়া যায় দাম অনেক কম। এটা একটা খুব ভালো দিক।

এটাতো গিয়ার ইন্ডিকেটর শো করে এটা খুব ভালো দিক, একটা বড়সড় সিট পেয়ে যাবেন, ব্রেক দুটি ড্রাম, বসে যে আপনি একটা আরাম পাবেন সেটা বাংলাদেশের কোন 100 সিসির বাইকে পাবেন না এটা আমি ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলব।

ইউএসবি চার্জিংপট পেয়ে যাবেন, তেলের ট্যাংকি ক্যাপাসিটি ৮ লিটার,বড় বড় দুটি লুকিং গ্লাস পাবেন, মোটরসাইকেলটির গ্রাফিক ডিজাইন টি অনেক সুন্দর, অনেক কম তেল খায়, আপনি অনেক বেশি মাইলেজ পাবেন, এই মোটরসাইকেলটির তেমন কোন খারাপ দিক নেই বললেই চলে। এটার হেডলাইটের আলো খুব একটা ভালো না, টিউব টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে, টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করলে ভালো হতো, যাইহোক একটা মানুষ সবার কাছে ভালো হতে পারে না।

এই বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য,১,২৮,০০০ টাকা। আপাতত এটিতে কোন অফার নেই।

১০০ সিসি এই মোটরসাইকেলটি অনেক তেল কম খায়, কোম্পানি ক্লেম করে ৯২ কিলোমিটার লিটার, কিন্তু আমরা চালিয়ে পেয়েছি, প্রতি লিটার পেট্রোলে ৬৫-৭০ কিলোমিটার এবংপ্রতি লিটার অকটেনে ৬৯-৭৪ কিলোমিটার। আপনি যদি একটি ফুয়েল সেভিং, জ্বালানি সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল খুঁজেন তাহলে এটি বেছে নিতে পারেন। এটি ইঞ্জিন হলো ১০২ সিসি, BS4 এজন্য এটিতে আপনি পেট্রোল ব্যবহার করবেন কোম্পানি পেট্রোল ব্যবহার করতে বলে।

এটিতে আছে ইউএসবি চার্জিং স্পট, আরেকটা জিনিস আপনার ভালো লাগবে এই মোটরসাইকেলটির সেটি হল এর ইঞ্জিনের সাউন্ড খুবই স্মুথ। এই বাইকের একটা সমস্যা হলো পা রাখার সমস্যা কেন জানি আমাদের কাছে মনে হয় ফুয়েল সেভিং এই বাইকটি ফুট রেস্ট মিলাতে পারেনি, মানে যখন আপনি কোন কারনে বাইকটি দুই পা দিয়ে ঠেলে সামনের দিকে নিয়ে যেতে চাবেন তখন পায়ের মধ্যে ওটা লেগে যায় এটা একটা বিরক্তিকর ব্যাপার, এজন্য আমার কাছে মনে হয় এটির ফুট রেস্ট এর জায়গাটা একটু আপডেট করা দরকার ,আর ইঞ্জিন কিলস সুইচ নাই, ইঞ্জিন কিলস সুইচ থাকার দরকার ছিল, এই সুইচ না থাকার কারণে আপনার বার বার চাবি মোচড় দিয়ে ইঞ্জিনটি স্টার্ট ও বন্ধ করতে হবে এটাও একটা বিরক্তি কর ব্যাপার।

সর্বোপরি বাইকটি অত্যন্ত জনপ্রিয় বাংলাদেশ এ, এটিকে মাইলেজ কিং বলা হয় উপরের জিনিসগুলো ম্যানেজ করতে পারলে আপনি এটাকে আপনার পছন্দের তালিকা রাখতে পারেন এটি আপনার জ্বালানি তেল সাশ্রয় করবে।

এই বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য,১,২০,০০০ টাকা। আপাতত এটিতে কোন অফার নেই।

এটি একটি ১২৫ সিসি বাইক,কম তেলে বেশি চলে,মাইলেজের রাজা Yamaha Saluto 125 UBS. এর মাইলেজ প্রতি লিটার কোম্পানি ক্লেম করেছে ৯৫ কিলোমিটার আর আমরা চালিয়ে পেয়েছি ৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার। ইঞ্জিনের ভালোমতো যত্ন করলে মাইলেজ আরো বেশি পাওয়ার আশা করা যায়। যত্ন না করলে ৫৫ নিচে নেমে যেতে পারে মাইলেজ।

তেল-সাশ্রয়ী-মোটরসাইকেল

ইঞ্জিন এর আওয়াজ খুবই স্মুথ, ব্রেকিং সিস্টেমও খুব ভালো, সিটিং পজিশন টাও খুব ভালো, টার্নিং রেডিয়েন্সও খুব ভালো মানে চিপাচিপি রাস্তা দিয়ে চলাচলে কোন সমস্যা হবে না। বিল্ড কোয়ালিটি অনেক সুন্দর, সুইচ গুলো যথেষ্ট উন্নত মানের। গিয়ার শিফটিং অনেক বেশি স্মুথ, টায়ারের গ্রিপ খুব উন্নত মানের, সাসপেনশন গুলো খুবই ভালো, ভাঙাচোরা রাস্তায় খুব সুন্দর ড্রাইভ করা যায় কোন সমস্যা হয় না।

বৃষ্টিতে ভিজলে বাইকটি স্টার্ট নিতে সমস্যা করে, ৭৫ থেকে ৮০ এর উপরে স্পিড উঠালে এই তেল সাশ্রয়ী বাইকটি vibration করে, আর ডিজিটাল মিটার ইউজ করা হয়নি, হেডলাইটের আলো সন্তোষজনক নয়,মোটামুটি এগুলো মেনে নিতে পারলে আর কোন সমস্যা নেই বাইকটির।

এই বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য,১,৫৮,০০০ টাকা। আপাতত এটিতে কোন অফার নেই।

এটি একটি ১১০ সিসি সেগমেন্টের তেল সাশ্রয়ী বাইক, এর মাইলেজ কোম্পানি ক্লেম করে ৮০ কিলোমিটারের বেশি আমরা পেয়েছি ৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার তবে আপনি যদি pilion নিয়ে চলেন তাহলে মাইলেজ কিছুটা কম হবে। শুধু মাইলেজ এর জন্যই বাইকটি আমার পছন্দের আরো অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলি আমার অপছন্দ এই বাইকটির, যেমন এটিতে সত্তরের উপরেই স্পিড তোলা যায় না পিকআপ ঠেকায়া দিলেও। এই বাইকটির পাওয়ার, টর্ক সবকিছুই মোটামুটি লো। এটার গিয়ার বক্স মাত্র চারটা।

এই বাইকটির হেডলাইটের অবস্থা খুবই করুন রাতের বেলা ভালো করে দেখাই যায় না, সামনের মনোসেক্স সাসপেনশন খুবই দুর্বল প্রকৃতির,দুটি ব্রেক ই ড্রাম ,সামনের ব্রেকটা ডিস্ক হলে ভালো হতো, ১১০ সিসি সেগমেন্টে এই দামে এর থেকে ভাল আর কি পাবেন আপনি, কিন্তু বাইকটি সত্যিই তেল অনেক কম খায়। দীর্ঘক্ষন বাইকটি চালালে কোন ধরনের সমস্যা হয় না ব্যাথা ট্যাথা হয় না।

বাইকটির বডি যে কিট টা আছে আমার কাছে দুর্বল লাগে, ওভারঅল যদি বলি অন্যান্য ১১০ সিসির বাইকের থেকে এই বাইকটি অনেক দিক দিয়ে ভালো আছে। তাই আপনি যদি একটি তেল সাশ্রয়ী বাইক খুঁজে থাকেন তাহলে সেই তালিকায় এই বাইকটিকে রাখতে পারেন।

এই বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য,১,১৮,০০০ টাকা। আপাতত এটিতে কোন অফার নেই।

এটি একটি তেল সাশ্রয়ী ১০০ সিসির বাইক, কিন্তু এটির দাম আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়, যা হোক সিটির ভিতরে হাইওয়েতে এটির মাইলেজ পেয়ে যাবেন আপনারা ৬৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার। গ্রামে গঞ্জে চালালে আপনি ৭০ কিলোমিটারের উপরে মাইলেজ অবশ্যই পাবেন। যদি দামটা একটু ম্যানেজ করতে পারেন।

এটির ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভালো, এন্টিলোক ব্রেকিং সিস্টেম, আপনি চালালেই বুঝতে পারবেন। এই বাইকটিতে বড় একটি টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে আই থ্রি এস মানে হল আপনি কোন কারনে জ্যামে পড়ে গেছেন, বাইকটি নিউট্রাল করার সাথে সাথে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে আবার যখন আপনি বাইক চালু করার জন্য ক্লাস ধরবেন সাথে সাথে অটো স্টার্ট হয়ে যাবে তেল সাশ্রয়ী এই মোটরসাইকেলটি। একটি ইউএসবি চার্জিং পট পেয়ে যাবেন।

১১ লিটারের একটা বড় টাংকি পাবেন আপনি যেখানে তেল ভরলে বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত যেতে পারবেন যেহেতু মাইলেজ খুব ভালো দেয় এই মোটরসাইকেল টি। বসার সিট টা বড়সড়, সারাদিন বাইক চালালেও কোন সমস্যা হয় না, সামনের ও পিছনের সাসপেনশন খুব ভালো কোয়ালিটির।

জ্বালানি সাশ্রয়ী এই বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য,১,২৯,০০০ টাকা। আপাতত এটিতে কোন অফার নেই। শুধু দামটা বাদে বাইকটির অভারল খারাপ কিছু আমি খুজে পাইনি।

তেল সাশ্রয়ী এ বাইকটি ১২৫ সিসি সেগমেন্টে বাংলাদেশে এইরকম তেল সাশ্রয় করে আর কোন কোম্পানির কোন মোটরসাইকেল নেই। আমরা প্রতি লিটার গ্রামে মাইলেজ পেয়েছি ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার এবং শহরে পেয়েছি ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার। যেকোনো বয়সের লোক এটা চালাতে পারবে, ইঞ্জিন সাউন্ড খুবই স্মুথ যদি হেলমেট মাথায় থাকে তাহলে কোন শব্দই পাবেন না শুধু চালাতেই মন চাবে আপনাকে এ বাইকটি।

তেল সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল ২০২৪ বাংলাদেশ

সিটিং পজিশন খুব সুন্দর, লংটুর খুবই আরামদায়ক, ভাঙ্গাচড়া রোডে চলাচল খুব সহজ, রিসেল ভ্যালু ভালো পাবেন। মোর গুলো ঘুরতে আপনার একটু সমস্যা হতে পারে, নতুন করে একটি এলইডি লাইট লাগিয়ে নিতে হবে রাতে চলাফেরার জন্য। পনেরশো কিলোমিটারের আগে সাস্পেনশন গুলো খুবই হার্ড থাকে এজন্য আপনার কোমরে ও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে কিন্তু ১৫০০ কিলোমিটার চলার পরে এগুলি খুবই নমনীয় হয়ে যায়।

এই মোটরসাইকেলটি গিয়ার শিফটিং ব্যবস্থাটা খুবই বাজে এটি নিয়ে হোন্ডা কোম্পানির একটু ভাবার দরকার, ৬৫ এর উপরে যখনই আপনি স্পিড তুলতে যাবেন কাঁপাকাঁপি শুরু করে দিবে প্রচন্ড ভাইব্রেট করবে মোটরসাইকেলটি এটি একটি খুবই বাজে অভিজ্ঞতা। যাহোক ওভার অল সবকিছু বিবেচনায় নিলে, বাইকটি কিন্তু কেনা যায় আমি সমস্যা ও সুবিধা দুটি বলেছি বাকিটা আপনার ব্যাপার ।

জ্বালানি সাশ্রয়ী এই বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য,১,৫১,০০০ টাকা। আপাতত এটিতে কোন অফার নেই।

এই মোটরসাইকেলটি মাইলেজের বাপ প্রতি লিটারক অকটেনে ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যায় কোম্পানি ক্লেম অনুযায়ী। নতুন অবস্থায় আপনি ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার মাইলেজ পেয়ে যাবেন একটু পুরাতন হলে আনায়াসেই আপনি শহরের রাস্তায় পঁয়ষট্টি থেকে 70 আর গ্রামের রাস্তায় খুব ভালোভাবে সুন্দর করে নিয়ম মেনে আস্তে আস্তে চালালে আপনি ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার মাইলেজ পেয়ে যাবেন। বিল্ড কোয়ালিটি, লুকিং টা আর এটার প্রাইজটা আমার কাছে ভালো লেগেছে।

বেশি খুশি হবেন না এই গাড়িটির খারাপ কিছু দিক আছে এগুলো মেনে নিতে পারবেন সেগুলি হল, ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে, এটির হেডলাইটের আলো খুবই কম, এটির ক্লাচ এর কেবল খুব একটা ভালো না, গিয়ার শিফটিং খুবই হার্ড, সেকেন্ড গিয়ারে থাকলে মোটরসাইকেলটি খুবই ভাইব্রেশন করে যখনই আপনি 60 এর উপরে স্পিড তুলবেন গাড়ি কাঁপাকাঁপি শুরু করবে। মোটামুটি এগুলো মেনে নিতে পারলে এই বাইকটি আপনি কিনতে পারেন।

এই বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য,১,১০,৯৯৯ টাকা। আপাতত এটিতে কোন অফার নেই।

জ্বালানি তেল সাশ্রয়ী বাইকের ৮ নম্বরে রেখেছি এই বাইকটিকে, মূলত এটিকে মপেড বলা হয়, এটি ও মাইলেজ কিং। ১০০ সিসির এ বাইকে আপনি প্রতি লিটারে মাইলেজ পেয়ে যাবেন সিটিতে ৬২ কিলোমিটার থেকে ৭০ কিলোমিটার আর মফস্বলে ৮০ থেকে ৮৫ কিলোমিটার। ছেলে ও মেয়ে দুজনই চালাতে পারবে অনেক মজবুত ও হাডি একটা গাড়ি পুরো বডি মেটালের তৈরি কোন প্লাস্টিক ইউজ করা হয়নি।

এই মপেডটির লুক অনেক সুন্দর, একসিলারেশন অনেক ভালো, সিটিং পজিশনটা অনেক সুন্দর, বিল্ড কোয়ালিটি প্রশংসার যোগ্য, আনায়াসে এক থেকে দেড়শ কেজি মালামাল পরিবহন করতে পারবেন, সিবিএস ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে, সামনে ও পিছনে ড্রাম ব্রেক।

মোটরসাইকেলটির হেডলাইটের আলো অনেক কম এটি আমার অপছন্দের, ফুয়েল ইন্ডিকেটর নেই এটি একটি বড় সুবিধা এই মোটরসাইকেলটির, টিউব টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে,কেন টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হলো না এটা আমার প্রশ্ন, এটি আরেকটি বড় সমস্যা হলো এটির ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম কার্বুরেটর ব্যবহার করা হয়েছে, কেন এফআই ব্যবহার করা হলো না। এটির আরেকটি বড় সমস্যা হলো এটির দাম আস্তে আস্তে বাড়ছে, দাম আপগ্রেড হচ্ছে কিন্তু মান আপডেট হচ্ছে না।

কম তেলে বেশি চলে মোটরসাইকেল বাংলাদেশ

এই মোটরসাইকেলটির আরেকটা সমস্যা হলো এটির স্পেয়ার পার্টস সহজে পাওয়া যায় না। এসব কিছু মেনে নিতে পারলে এই বাইকটি আপনি কিনতে পারেন।

এই বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য,৯৮,৯৯৯ টাকা। আপাতত এটিতে কোন অফার নেই।

১১০ সিসির এই মোটরসাইকেলটি থেকে আপনি প্রতি লিটারে মাইলেজ পেয়ে যাবেন ৬৫ থেকে ৭০ কিলো আমি শহরে চালিয়ে এটা পেয়েছি। আপনি গ্রামে চালালে আরো বেশি মাইলেজ পাবেন। এটি প্রথমে মাইলেজের জন্য আমাকে খুব ভালো লাগে মানে আমার তেল খুব সাশ্রয় করে, দুই নম্বরে এটি লুকিং খুবই গর্জিয়াস বাইকটির মহড়ায় আলাদা মনে হয় ১৫০ সিসির কোন বাইক চালাচ্ছি আমি। এটার থ্রটল রেসপন্স অনেক ভালো, বিল্ড কোয়ালিটি অনেক সুন্দর লাগে আমার কাছে।সিটিং ও হ্যান্ডেলিং আমাকে খুব ভালো লেগেছে এবং ইঞ্জিনের সাউন্ড খুবই স্মুথ। ব্রেক ও ব্যালেন্স অনেক সুন্দর সামনে ডিস্ক পিছনে ড্রাম।

এটির হেডলাইট আমার অপছন্দ, এসি হেডলাইট কেন যে ডিসি হেডলাইট ইউজ করলো না এটা আমার বোধগম্য নয়, সিটের হাইট আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়, পিলিয়ন নিয়ে ড্রাইভ করা একটু কষ্টসাধ্য, হর্নের আওয়াজ একদম কম, পিছনের রেয়ার টায়ার খুবই চিকন এজন্যই মনে হয় মাইলেজ বেশি পাওয়া যায়। এসব কিছু মেনে নিতে পারলে এই বাইকটি আপনি কিনতে পারেন।

এই বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য Livo Drum CBS ১,২২,০০০ টাকা Livo Disc CBS ১,৩৬,০০০ টাকা। আপাতত এটিতে কোন অফার নেই।

শুধু মাইলেজ ই পাবেন এই বাইকটি থেকে আর তেমন কিছু পাবেন না শহরের রাস্তায় প্রতি লিটারে আপনি ৬০ থেকে ৬৫ কিলো আর গ্রামের রাস্তায় প্রতি লিটারে ৭০ উপরে মাইলেজ পাবেন আমরা চালিয়ে এটা পেয়েছি। এটাতে কোন ফুয়েল ইন্ডিকেটর নেই, এবং মিটারে গিয়ার শো করে না এটা আমার খুব খারাপ লেগেছে।

জ্বালানি তেল সাশ্রয়ী এই বাইকটি বিল্ড কুয়ালিটি খুবই খারাপ, সুইচ গুলো খুবই খারাপ, হেডলাইটের আলোর খুবই করুন অবস্থা হাইওয়েতে উঠলে আপনি দেখতেই পাবেন না, ব্রেকের কন্ট্রোলিং এর অবস্থাও খুব খারাপ, টিউব টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে, কেন টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হলো না আমার বোধগম্য নয়, এবং গাড়ি একটি স্পিড তুললেই ভাইব্রেট করে এটা একটা আরেক সমস্যা।

এই বাইকটির পুরো ওয়ারিং সিস্টেমটি ডিসি এটা আমার খুব ভালো লেগেছে, ইঞ্জিনের সাউন্ড খুব অল্প বোঝা যায় না, অল্প জায়গায় গাড়ি ঘোরানো যায়, টায়ারের গ্রিপ অনেক ভালো, সিটিং পজিশন অনেক সুন্দর, সিট টা বেশ বড়োসড়, মোট কথা এটার লুকিং অনেক সুন্দর। ভেবে দেখুন এটি আপনি কিনবেন কিনা।

এই বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য ৮৫,০০০ টাকা আপাতত এটিতে কোন অফার নেই।

১১০ সিসি সেগমেন্টে কম তেল খাওয়া বাইক এর মধ্যে এটি সবচেয়ে কম তেল খায়, কোম্পানি বলে প্রতি লিটারের ৭৫ প্লাস কিন্তু আমরা চালিয়ে পেয়েছি সিটি ও হাইওয়েতে ৬৫ প্লাস। আর আপনি মফস্বলে চালালে জেন্টলি রাইড ৭০ প্লাস মাইলেজ পাবেন আশা করছি,মূলত এই গাড়িটির প্রথম ভালোলাগাই হলো এর মাইলেজ। এটির সেলপ আছে ও পিছনে গিয়ার, ব্রেক দুটি ড্রাম ব্রেক, টিউবলেস টায়ার লিক টিক হলে কম সমস্যা হবে, তেল বাঁচানো এই বাইকটি পুরোটাই বাংলাদেশ এ এসেম্বলি হয় আপনি জানেন কিনা আমি জানিনা।

এর ব্রেকিং পারফরম্যান্স আমার কাছে খুব ভালো লাগে, এটির ইঞ্জিন কিল সুইচ নাই কেন যে হোন্ডা দেয় না এটি আমার বোধগম্য নয়, ভালো-মন্দ নিয়েই তো বাইক তাই না। বাইকটির সিটিং পজিশন খুবই সুন্দর, সিট টা খুবই আরামদায়ক, স্পিড পঞ্চাশের উপরে তুললে গাড়িটি কিন্তু vibrate করবে, গাড়িটির বিল্ড কোয়ালিটি আমার কাছে পছন্দ নয়, হেডলাইট এসি হেডলাইট কেন যে ডিসি করল না আমার জানা নেই।

টায়ার দুটো খুবই চিকন, পিছনের সাসপেনশন খুবই হার্ড, রেডি পিক আপ খুবই কম কোন গাড়িকে ওভারটেক করতে হলে কোন ধরনের কনফিডেন্স পাওয়া যায় না। এসব কিছু মেনে নিতে পারলে আপনি গাড়িটি কিনতে পারেন।

এই বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য ১,১৬,০০০ টাকা আপাতত এটিতে কোন অফার নেই। এটিতে ২ হাজার টাকা দাম বেড়েছে।

তেল কম খাওয়া এ বাইকটি প্রতি লিটার অকটেনে শহরের রাস্তায় আপনাকে মাইলেজ দিবে ৬৩ থেকে ৬৫ কিলো, আর মফস্বলে 70 থেকে 75 কিলোমিটার যদি ভদ্রভাবে ড্রাইভ করেন খুব রাফলি ড্রাইভ না করেন, আর পেট্রোলে মাইলেজ কিছুটা কম আসে মানে ৩-৪ কিলো মাইলেজ কম পাবেন পেট্রোলে। এই মোটরসাইকেলটির লুক অনেক সুন্দর।

যেকোনো বয়সের লোক এটা চালাতে পারবে, এটার মাইলেজ সন্তোষজনক মনে হয়েছে আমার কাছে, খুবই শক্তপোক্ত একটা বাইক, সিটটা অনেক বড়সড়ো খুবই নরম, ইঞ্জিন এর আওয়াজ 150cc মোটরসাইকেল এর মত খুব স্মুথ।

তেল সাশ্রয়ী এ বাইকটি যখনই আপনি 50 থেকে 60 এর উপর স্পিড তুলবেন আপনি ভাইব্রেশন পাবেন এটা আমার কাছে ভালো লাগেনি, সামনেও পিছনে ড্রাম ব্রেক দিয়েছে এটাও আমার কাছে ভালো লাগেনি, টায়ারের গ্রিপ পাকা রাস্তার জন্য ভালো কিন্তু কাঁচা রাস্তার জন্য খুব একটা ভালো লাগেনি আমার কাছে। এনালগ মিটার ও হ্যালোজেন হেডলাইট এই দুইটি আমার কাছে অপছন্দ এই মোটরসাইকেলটির, এই বিষয়গুলো ম্যানেজ করতে পারলে ভালো খারাপ নিয়েই তো দুনিয়া তাহলে আপনার বাইকটি কিনতে পারেন, ও হ্যাঁ আপনি যদি বেশি লম্বা হন তাহলে বাইকটি আপনি কিনবেন না।

এই বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য ১,২০,৯৯৯ টাকা আপাতত এটিতে কোন অফার নেই।

তেল সাশ্রয়ী এ বাইকটি প্রতি লিটার অকটেনে মাইলেজ পেয়েছি আমরা ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার খুব রাফলি ড্রাইভ করলেও এ মাইলেজটা আপনি পাবেন আর এই মাইলেজ টা সিটি তে পাবেন মফস্বলের বা গ্রামে আরো বেশি মাইলেজ পাবেন, আর প্রতি লিটার পেট্রলে ৫৮ থেকে ৬০ কিলোমিটার মাইলেজ পেয়েছি আমরা শহরের রাস্তায়, আপনি গ্রামের রাস্তায় আরো বেশি মাইলেজ পাবেন। এ বাইকটি সম্ভবত লোকাল কাজকর্ম করার জন্য বানানো হয়েছে লং ড্রাইভের জন্য এই বাইকটি নয়, এটির কালার সহজে নষ্ট হয় না সত্যি কিন্তু, এটি হ্যান্ডেল বার ও কন্ট্রোলিং আমার কাছে খুব ভালো লাগে।

বড়সড় একটা সিট, সিবিএস ব্রেক; পায়ের ব্রেক ধরলে সামনে পিছনে 60% 40% টি তে কাজ করবে, এটার ইঞ্জিন পারফরম্যান্স খুব ভালো, রেড পিকাপ খুব সুন্দর খুব তাড়াতাড়ি টান উঠে পড়ে, একটা সেমি ডিজিটাল মিটার পাবেন এটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে, আরেকটা জিনিস বাজাজ ডিসকভার ১২৫ এর রিসেল ভ্যালু খুব ভালো, এটার আরেকটা ভালো দিক হলো এই বাইকটির গিয়ার ইন্ডিকেটর দিয়েছে কোম্পানি, বড় বড় কোম্পানির 150cc, 160cc বাইকগুলোতে গিয়ার ইন্ডিকেটর দেয় না কিন্তু বাজাজ ডিসকভার 125 এ আপনি গিয়ার ইন্ডিকেটর পেয়ে যাবেন। পিছনের ও সামনের সাসপেনশন খুব ভালো।

চাকাগুলো খুব চিকন, এই বাইকে গিয়ার দিয়েছে পাঁচটা চারটা দিলে ভালো হতো, এটার দাম আমার কাছে অনেক বেশি বলে মনে হয়, ১ লক্ষ ২০-৩০ এর মধ্যে থাকলে ভাল হত, এই বাইকটির চেইন আমার কাছে পছন্দ না ঘনঘন লুস হয়ে, যায় কাভার থাকার কারণে চেইন পড়ে গেলে তোলা অনেক বিরক্তকর, এবং যে হেডলাইট তারা দিয়েছে সেটা দেয়া হাইওয়েতে আপনি সুন্দর দেখতে পাবেন না গ্রামের রাস্তায় হয়তো ভালো আলো পাবেন, সকালবেলা ও ইঞ্জিনে একটু ঠান্ডা হলে বা বৃষ্টিতে ভিজলে বা ওয়াশ করলে পরবর্তীতে স্টার্ট নিতে খুব একটু সময় নেয় এটা একটা বিরক্তিকর,

এই বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য ১,৬০,৫০০ টাকা আপাতত এটিতে কোন অফার নেই।

১২৫ সিসি তেল সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল ২০২৪-Most fuel efficient 125cc motorcycle 2024

আপনি ১২৫ সিসি সেগমেন্টে তেল সাশ্রয়ী বাইক খুঁজছেন, ১২৫ সিসি সেগমেন্টে বাংলাদেশের বাজারে তেল কম খায় এইরকম বাইক আমার কাছে মনে হয় তিনটি আছে, যে তিনটি বাইক নিয়ে আমি পূর্বের অনুচ্ছেদে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যে যাই বলুক আপনি ১২৫ সিসির বাইক যদি পছন্দ করেন তাহলে যে তিনটি বাইকের কথা আমি উপরে বিষদ আলোচনা করেছি ওগুলোর মধ্যে যে কোন একটি কিনেন আপনার ভালো হবে।

👍ইয়ামাহা স্যালুটো এস ই-Yamaha Saluto SE(UBS),👍হোন্ডা সিবি সাইন এসপি সিবিএস-HONDA CB Shine SP CBS,👍বাজাজ ডিসকভার ১২৫ ডিস্ক-Bajaj Discover 125 Disc এগুলোর হালকা পাতলা কিছু সুবিধা ও অসুবিধা আমি পূর্বের অনুচ্ছেদে আলোচনা করেছি এখানে আর পুনরাবৃত্তি করলাম না।

আপনি যদি তেল বাঁচাতে চান আর যদি আপনার 125 সিসির বাইকই লাগে তাহলে এই তিনটির মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিন আর যদি ১০০ সিসি, ১১০ সিসি এগুলির মধ্যে আপনি কোন তেল সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল খুজেন তাহলে উপরের ১৩ টি মোটরসাইকেলের যে কোন একটি কিনতে পারেন এগুলি আপনার তেল বাঁচিয়ে পকেটের টাকা সেভ করবে।

১৫০ সিসি তেল সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল ২০২৪-Most fuel efficient 150cc motorcycle 2024

আপনি কি ১৫০ সিসির তেল সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল খুঁজছেন এই ২০২৪ সালে Most fuel efficient 150cc motorcycle 2024 ভাই হিসেবে পরামর্শ দিব খুঁজে লাভ নেই 150 সিসি সেগমেন্টে বাংলাদেশে ভালো মাইলেজ দেয় এরকম কোন বাইক অন্তত আমি রিসার্চ করে পাইনি। এই সেগমেন্টে প্রতি লিটারে আপনি পঞ্চাশের উপরে মাইলেজ পাওয়া খুব কষ্টকর। তেল বাঁচাতে চাইলে আপনি ১৫০ সিসির বাইক কেনার কথা ভুলে যান।

তবে হ্যাঁ হোন্ডা এক্স ব্লেড আমার মামা চালাচ্ছে কিন্তু এটি ১৬০ সিসির মোটরসাইকেল, প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার চলেছে মোটরসাইকেলটি মাইলেজ ৫৫ কিলোমিটার এর উপরে, আমি তো অবাক, কোন কিছু না পরখ করে বলা ঠিক না আপনি হোন্ডা এক্স ব্লেড এই বাইকটি নিতে পারেন এটি ১৫০ সিসির কাছাকাছি, কিন্তু ১৫০ সিসির কোন মোটরসাইকেল বাংলাদেশে আছে যেগুলি তেল কম খায় আমি অন্তত খুঁজে পাইনি।

150 সিসির কিছু মোটরসাইকেল আছে বাংলাদেশে যেগুলি তেল সাশ্রয় করে কিন্তু কতটুকু করে আরে ভাই আপনি ৪৫ কিলোমিটার এর উপরে মাইলেজ পাবেনই না আপনার এতে চলবে যদি চলে তাহলে নিম্নের মোটরসাইকেল গুলির মধ্যে যেকোনো একটি কিনতে পারেন-

আর যদি এই মাইলেজ আপনার পছন্দ না হয় তাহলে ১১০ সিসি কিংবা ১২৫ সিসির তেল বাঁচানোর যে কোন একটি মোটরসাইকেল কিনে নিন যে মোটরসাইকেলগুলো আমি উপরে আলোচনা করেছি আপনি ১৩ টি মোটরসাইকেল এর মধ্যে যে কোন একটি কিনতে পারেন যদি আপনার তেল সাশ্রয় করার দরকার হয়।

১১০ সিসি তেল সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল ২০২৪-Kom tel motorcycle price in bangladesh 110cc

হ্যাঁ বাংলাদেশে ১১০ সিসি সেগমেন্টে অনেকগুলো বাইক আছে যেগুলি আপনার তেল সাশ্রয় করবে-Kom tel motorcycle price in bangladesh 110cc সেই মোটরসাইকেলগুলো আমি পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদে আলোচনা করেছি এখানে আর পুনরাবৃত্তি করব না তবে শুধু নামগুলো উল্লেখ করব। এগুলো ওই মোটরসাইকেল যেগুলি বাংলাদেশ বহুল বিক্রয়কৃত মাইলেজ কিং অথবা জ্বালানি সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল।

আমি এই 110 সিসি সেগমেন্টের তেল বাঁচানো বাইকগুলো নিয়ে মানে এদের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে খোলামেলা একটা আলোচনা করেছি আর্টিকেলে শুরুতে যেখানে আমি নিরপেক্ষভাবে যেটি ভালো সেটিকে ভালো বলেছি এবং যেটি খারাপ সেটিকে খারাপ বলেছি, আপনি সেগুলো বুঝে শুনে আপনার জন্য সেট করে যে কোন একটা মোটরসাইকেল অন্তত সিলেক্ট করতে যেন পারেন সেরকম একটা আলোচনা আমি উপরে করেছি আপনি একটু চোখ বুলিয়ে যান।

পালসার ১ লিটার তেলে কত কিলো যায়-How many kilometers does pulsar run on 1 liter of oil?

পালসার ১ লিটার তেলে কত কিলো যায়-How many kilometers does pulsar run on 1 liter of oil? এটা একটা অত্যন্ত জটিল প্রশ্ন, পালসারের এক এক মডেলের মাইলেজ এক এক রকম, আবার মোটরসাইকেল চালানোর উপর মাইলেজ ডিপেন্ড করে হাইওয়েতে একরকম মাইলেজ পাবেন আবার গ্রামের মফস্বলের রাস্তায় এক রকম মাইলেজ পাবেন, এখন আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিব কিভাবে এক কথায় যে পালসার এক লিটার তেলে কত কিলো যায়।

আর মনগড়া একটা মাইলেজ আপনাদের দিয়ে দিলাম এটা কি হলো, তাই আমি চাচ্ছি pulsar এর বিভিন্ন মডেল গুলো কোনটা কত মাইলেজ দিচ্ছে এবং সেটা ইউজারের লেভেলে কে কত মাইলেজ পাচ্ছে সেই তথ্যটা আপনাদের সামনে নিচে তুলে ধরছি যে মাইলেজটা আমি উল্লেখ করব সেটা খুবই অথেন্টিক ইউজার লেভেলের রিভিউ থেকে নেওয়া তাই হালকাভাবে নেওয়া সুযোগ নেই, আর মাইলেজ টা ডিফেন্ড করে সব সময় বাইকারের বাইক চালানোর স্কিল এর উপর এটা তো ঠিক-

পালসার এর বিভিন্ন মডেলস্লোলি ড্রাইভ করলে স্পিডি ড্রাইভ করলেরাফলি ড্রাইভ করলে এভারেজ মাইলেজ
Pulsar N250 FI DC ABS71 463345
Pulsar N16075623550
Pulsar 150 Single Disc50302538
Pulsar 150 Single Disc ABS50302538
Pulsar 150 double Disc47382845
Pulsar 150 Twin Disc ABS65453345
Pulsar NS12565403448

১ লিটার তেলে কত কিলোমিটার যায় মোটরসাইকেল-How many kilometers does a motorcycle run on 1 liter of oil?

১ লিটার তেলে কত কিলোমিটার যায় মোটরসাইকেল-How many kilometers does a motorcycle run on 1 liter of oil? এটা একটা জটিল প্রশ্ন না এটার উত্তর আমি কিভাবে দেব। কোন নির্দিষ্ট মোটরসাইকেল আপনি উল্লেখ না করলে এটার উত্তর দেওয়া একটু কষ্টকর। বিভিন্ন মোটরসাইকেল বিভিন্ন মাইলেজ দেয় মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডের উপর মাইলেজ ডিপেন্ড করে। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন এর উপর মাইলেজ ডিপেন্ড করে।

১ লিটার তেলে কত কিলোমিটার যায় মোটরসাইকেল-How many kilometers does a motorcycle run on 1 liter of oil? উত্তর আমি আপনাকে দিব তবে একটা টেবিলে যেখানে থাকবে বিভিন্ন কোম্পানি ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল ও তাদের মাইলেজ কত কিলোমিটার যায় 1 লিটার তেলে। তবে ওই সমস্ত মোটরসাইকেল টেবিলটিতে থাকবে যেগুলো খুব ভালো মাইলেজ দেয় বাংলাদেশে, যেহেতু আপনি তেল সাশ্রয়ী বাইক খুঁজছেন মনে মনে।

মোটরসাইকেলের নাম১ লিটার তেলে কত কিলোমিটার যায়
বাজাজ প্লাটিনা ১০০ ইএস-Bajaj platina 100 ES৭০ কিলোমিটার উপরে
বাজাজ সিটি ১০০ ইএস-Bajaj Bajaj CT 100 ES৬৯-৭৪ কিলোমিটার
ইয়ামাহা স্যালুটো এস ই-Yamaha Saluto SE(UBS) (125cc)৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার
সুজুকি হায়াতে ইপি-Suzuki Hayate EP (110cc)৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার
হিরো স্প্লেন্ডর প্লাস XTEC-HERO SPLENDOR+ XTEC (100cc)৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার
হোন্ডা সিবি সাইন এসপি সিবিএস-HONDA CB Shine SP CBS(125cc) ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার
টিভিএস মেট্রো ১০০ সিসি-Tvs Metro 100CC Es৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার
টিভিএস এক্স এল ১০০ কমফোর্ট-Tvs XL 100 Comfort৮০ থেকে ৮৫ কিলোমিটার
হোন্ডা লিভো ১১০ সিসি-Honda Livo 110৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার
রানার এ ডি 80S ডিলাক্স-Runner AD 80S Deluxe৬০ থেকে ৬৫ কিলো 
হোন্ডা ড্রিম ১১০ -Honda Dream 110৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার
টিভিএস রেডিওন ১১০ সিসি-TVS Radeon 110 cc৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার
বাজাজ ডিসকভার ১২৫ ডিস্ক-Bajaj Discover 125 Disc৬০ থেকে ৬৫ কিলো 

শেষে একটা কথা বলব সেটা হল মাইলেজ কিন্তু ড্রাইভিং এর উপর অনেকাংশে নির্ভর করে, আর আপনার মোটরসাইকেলটি যদি নিয়মিত সার্ভিসিং করিয়ে নেন তাহলে মাইলেজ সব সময় ভালো পাবেন। আমি যে মাইলেজ গুলো উপরে উল্লেখ করেছি সেগুলি ইউজারের কাছ থেকে নেওয়া একজন ইউজার মোটরসাইকেল চালিয়ে যা মাইলেজ পেয়েছে আমি সেটা উল্লেখ করেছি।

মোটামুটি আমি যে তেরোটি মোটরসাইকেল আপনাকে সাজেস্ট করছি তেল সাশ্রয়ের জন্য সেগুলির যেকোনো একটি আপনি চোখ বন্ধ করে কিনে নিতে পারেন এতে আপনার লাভের পাল্লায় ভারী হবে, আর আপনার জন্য লাভ হয় এজন্যই এই ওয়েবসাইটের মালিক সব সময় চেষ্টা করে থাকে, দেখা হবে নতুন কোন একটা আর্টিকেলে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

আর হ্যাঁ হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালাবেন না আর প্রয়োজনের থেকে বেশি গতিতেও আপনার তেল তেল সাশ্রয়ী মোটরসাইকেলটি চালাবেন না। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না আপনার পরিবারের কথা ভেবে অন্তত নিয়ম মেনে মোটরসাইকেল চালান।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বাইক কোনটি?

বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বাইক নির্ধারণ করা নির্ভর করে কোন সময়কালের কথা বলা হচ্ছে তার উপর।
তবে, সাম্প্রতিক তথ্য (২০২৩-২০২৪) অনুযায়ী, বাজাজের পালসার মডেলটি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশি বিক্রিত বাইক হিসেবে বিবেচিত হয়।

তেল সাশ্রয়ী বাইক কোনটি?

উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি অন্তত ১৩ টি মোটরসাইকেল এর কথা আমি আমার আর্টিকেলে উল্লেখ করেছি যে গুলি অত্যন্ত তেল সাশ্রয় করে।

বাইকের জন্য কোন তেল ভালো?

আপনার বাইকের ইঞ্জিনের ধরণ অনুযায়ী সঠিক গ্রেডের তেল (10W40, 20W50 ইত্যাদি) ব্যবহার করুন।
ভ্রমণের ধরণ: শহরের জন্য মাল্টিগ্রেড, দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য সিন্থেটিক তেল ব্যবহার করুন।
বাজেট: mineral তেল (সবচেয়ে সাশ্রয়ী), মাল্টিগ্রেড, সিন্থেটিক (সবচেয়ে ব্যয়বহুল)।

মোটরসাইকেলে ইথানল ফ্রি গ্যাস ব্যবহার করা যাবে কি?

মোটরসাইকেলে ইথানল ফ্রি গ্যাস ব্যবহার করা সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু বিষয় বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ:পরিবেশবান্ধব: ইথানল ফ্রি গ্যাসে কম পরিমাণে দূষণকারী উপাদান থাকে, যা পরিবেশের জন্য ভালো।
ইঞ্জিনের জন্য ভালো: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে ইথানল ফ্রি গ্যাস ইঞ্জিনের জীবনकाल বাড়াতে এবং কর্মক্ষমতা উন্নত করতে পারে।
কম দামি: কিছু ক্ষেত্রে, ইথানল ফ্রি গ্যাস সাধারণ গ্যাসের চেয়ে কম দামি হতে পারে।

মোটরসাইকেল পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কেন?

মোটরসাইকেল পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে কারণ এটি:
বায়ু দূষণ করে: কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সূক্ষ্ম ধুলিকণা নির্গত করে।
শব্দ দূষণ করে: ইঞ্জিনের শব্দ মানসিক চাপের কারণ হতে পারে।
জল দূষণ করে: তেল, গ্যাসোলিন লিক হয়ে জলজ প্রাণীদের ক্ষতি করে।
জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে: জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখে।
যানজট বাড়ায়: বায়ু ও শব্দ দূষণ, সময়ের অপচয় করে।

Leave a Comment