সবাইকে শুভেচ্ছা আমার নতুন একটি আর্টিকেল এ , আজকে আপনাদের নিয়ে আলোচনা করব সাইলেজ কোথায় পাওয়া যায়-Silez silej kothay pabo?
সাইলেজ পশুখাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটি তৈরি করা হয় ঘাস, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, ওট, এবং অন্যান্য উদ্ভিদ থেকে। বায়ুরোধী পরিবেশে সংরক্ষণ করার ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকে এবং পশুদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করে।
কিন্তু সাইলেজ কোথায় পাওয়া যায়-silez silej kothay pabo? এই প্রশ্নটি অনেক পশুপালনকারীর মনেই ঘুরপাক খায়।
কিছু নির্দিষ্ট ঠিকানা:সাইলেজ কোথায় পাওয়া যায়
👍সাইলেজ এর প্রজেক্ট নীলফামারী জেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নে উদ্যোক্তা-মোঃ মোস্তফা কামাল মোবাইল:- 01738-648344
👍কোথায় পাবেন গরুর দানাদার খাদ্য ও সাইলেজ জেনেনিন। প্রয়োজনে- সোহেল রানা : 01853 986936 মেঘডুবি সাইলেজ ও দানাদার উল্লাপাড়া সিরাজগঞ্জ ।
👍🌽🌽আমরা সারা বাংলা দেশ সাইলেজ ডেলিভারি দিয়ে থাকি যদি কারো ভুট্টা গাছের সাইলেজ লাগে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ০১৭৫৩-৯৯৮১১১🌽🌽🌽
এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো সাইলেজ কোথায় পাওয়া যায়, কীভাবে কিনবেন এবং সাইলেজ কেনার সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
সাইলেজ কেনার বিভিন্ন উপায়-সাইলেজ কোথায় পাওয়া যায়!silez silej kothay pabo:
১. কৃষি সরবরাহের দোকান:
- সাইলেজ কেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো কৃষি সরবরাহের দোকান থেকে।
- এই দোকানগুলোতে বিভিন্ন ধরণের সাইলেজ পাওয়া যায়।
- দোকানের কর্মীরা আপনাকে আপনার পশুর জন্য সঠিক ধরণের সাইলেজ নির্বাচন করতে সাহায্য করতে পারবে।
- বাংলাদেশ এগ্রো-ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (BAIC): ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট, এবং Sylhet-এর বিভাগীয় শহরগুলোতে BAIC-এর শাখা রয়েছে।
- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর: সারাদেশের সকল জেলা ও উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় রয়েছে।
- স্থানীয় কৃষি সরবরাহের দোকান: আপনার এলাকার স্থানীয় কৃষি সরবরাহের দোকানগুলোতেও সাইলেজ পাওয়া যেতে পারে।
২. খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান:
- অনেক খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সাইলেজ উৎপাদন করে।
- এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট বা সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগ করে সাইলেজ কিনতে পারেন।
- বড় আকারের খামারের জন্য এই বিকল্পটি ভালো।
- PRAN Agro Limited: ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট, এবং Sylhet-এর বিভাগীয় শহরগুলোতে PRAN Agro-এর ডিলার রয়েছে।
- Square Food & Beverage Limited: ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট, এবং Sylhet-এর বিভাগীয় শহরগুলোতে Square Food & Beverage-এর ডিলার রয়েছে।
- ACI Agribusiness: ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট, এবং Sylhet-এর বিভাগীয় শহরগুলোতে ACI Agribusiness-এর ডিলার রয়েছে।
৩. অনলাইন:
- অনলাইনেও বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সাইলেজ কেনা যায়।
- অনলাইনে কেনার সময় সাইলেজের মান, দাম এবং ডেলিভারি খরচ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
- Daraz
- Chaldal
- ShopUp
৪. সরাসরি খামার থেকে:
- যারা নিজেরাই সাইলেজ তৈরি করেন তাদের কাছ থেকে সরাসরি সাইলেজ কিনতে পারেন।
- এই বিকল্পটিতে সাইলেজের মান সম্পর্কে নিশ্চিত থাকা যায়।
- তবে, এই বিকল্পটি সবসময় সম্ভব নাও হতে পারে।
সাইলেজ কেনার সময় খেয়াল রাখা
- মান: সাইলেজের মান ভালো কিনা তা নিশ্চিত করুন। সাইলেজে যেন কোনো ছত্রাক বা পোকামাকড় না থাকে।
- দাম: বিভিন্ন বিক্রেতার কাছ থেকে দাম জিজ্ঞাসা করে সবচেয়ে কম দামে সাইলেজ কিনুন।
- ডেলিভারি: সাইলেজ কেনার আগে ডেলিভারি খরচ সম্পর্কে জেনে নিন।
এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়। আপনার এলাকায় সাইলেজ কোথায় পাওয়া যায় তা জানতে আপনার স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা বা কৃষি সরবরাহের দোকানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
সাইলেজ কোথায় পাওয়া যায়!silez silej kothay pabo
সাইলেজ কেনার উপায় | সুবিধা | অসুবিধা |
---|---|---|
কৃষি সরবরাহের দোকান | সহজলভ্য, বিভিন্ন ধরণের সাইলেজ পাওয়া যায় | দাম একটু বেশি হতে পারে |
খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান | কম দাম, বড় আকারে কেনার সুবিধা | সবসময় সব ধরণের সাইলেজ পাওয়া যায় না |
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনাদের সাইলেজ কেনার জন্য সাহায্য করবে।
এক নজরে এই পোষ্টে কি কি থাকছে দেখে নিনঃ
রুপাই সাইলেজ দাম-silez silej kothay pabo
রুপাই সাইলেজ দাম: পশুখাদ্যের বাজারে এক নতুন দিগন্ত,রুপাই সাইলেজ কেন খাওয়াবেন ! দেখুন এর তৈরী প্রক্রিয়া। প্রয়োজনে- 01324-731849, 01324-7318464, 01324-731841
রুপাই সাইলেজ, বাজারে নতুন করে আলোচনায় এসেছে। পশুখাদ্যের বাজারে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে এই সাইলেজ। কিন্তু রুপাই সাইলেজের দাম কত? এই প্রশ্নটি অনেক পশুপালনকারীর মনেই ঘুরপাক খায়।
এই ব্লগ অনুচ্ছেদে আমরা আলোচনা করবো রুপাই সাইলেজের দাম, কীভাবে কিনবেন এবং রুপাই সাইলেজ কেনার সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
রুপাই সাইলেজের দাম:
রুপাই সাইলেজের দাম নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর। এর মধ্যে সাইলেজের ধরণ, মান, পরিমাণ এবং বাজারের চাহিদা উল্লেখযোগ্য।
- ধরণ: বাজারে বিভিন্ন ধরণের রুপাই সাইলেজ পাওয়া যায়। যেমন, ভুট্টার সাইলেজ, ঘাসের সাইলেজ, মিশ্র সাইলেজ ইত্যাদি। ভুট্টার সাইলেজের দাম ঘাসের সাইলেজের চেয়ে বেশি।
- মান: ভালো মানের রুপাই সাইলেজের দাম একটু বেশি হতে পারে।
- পরিমাণ: বেশি পরিমাণে রুপাই সাইলেজ কিনলে দাম কম হতে পারে।
- বাজারের চাহিদা: বাজারে রুপাই সাইলেজের চাহিদা বেশি হলে দামও বেশি হতে পারে।
বাজারে রুপাই সাইলেজের দাম প্রতি কেজি 12 টাকা থেকে 20 টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
রুপাই সাইলেজ কেনার সময় খেয়াল রাখা:
- মান: রুপাই সাইলেজের মান ভালো কিনা তা নিশ্চিত করুন। সাইলেজে যেন কোনো ছত্রাক বা পোকামাকড় না থাকে।
- দাম: বিভিন্ন বিক্রেতার কাছ থেকে দাম জিজ্ঞাসা করে সবচেয়ে কম দামে রুপাই সাইলেজ কিনুন।
- ডেলিভারি: রুপাই সাইলেজ কেনার আগে ডেলিভারি খরচ সম্পর্কে জেনে নিন।
রুপাই সাইলেজ কেনার জন্য টিপস:
- সাইলেজ কেনার আগে বাজারের দাম সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
- বিভিন্ন বিক্রেতার কাছ থেকে দাম জিজ্ঞাসা করে সবচেয়ে কম দামে সাইলেজ কিনুন।
- সাইলেজ কেনার সময় সাইলেজে যেন কোনো ছত্রাক বা পোকামাকড় না থাকে তা নিশ্চিত করুন।
- আপনার পশুর জন্য সঠিক ধরণের সাইলেজ নির্বাচন করুন।
রুপাই সাইলেজ দাম
ধরণ | পরিমাণ | দাম (প্রতি কেজি) | দাম (প্রতি বস্তা) |
---|---|---|---|
ভুট্টার সাইলেজ | 50 কেজি | ||
ঘাসের সাইলেজ | 50 কেজি | 12 টাকা | 600 |
মিশ্র সাইলেজ | 50 কেজি | 14 টাকা | 700 |
রুপাই সাইলেজ কেনার জন্য নির্ভরযোগ্য ঠিকানা:
✔চাঁদপুর-প্রয়োজনে- 01324-731849, 01324-7318464, 01324-731841
✔কোথায় পাবেন গরুর দানাদার খাদ্য ও সাইলেজ জেনেনিন। প্রয়োজনে- সোহেল রানা : 01853 986936 মেঘডুবি সাইলেজ ও দানাদার উল্লাপাড়া সিরাজগঞ্জ ।
ভুট্টার সাইলেজ এর দাম-vutta silej dam koto
ভুট্টার সাইলেজের দাম-vutta silej dam koto:
ভুট্টার সাইলেজ পশুখাদ্যের একটি জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর উৎস। এটি তৈরি করা হয় ভুট্টা গাছের ডাঁটা, পাতা এবং কচি ভুট্টা থেকে। বায়ুরোধী পরিবেশে সংরক্ষণ করার ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকে এবং পশুদের জন্য সুস্বাদু খাবার সরবরাহ করে।
ভুট্টার সাইলেজের দাম বাজারে অন্যান্য সাইলেজের তুলনায় একটু বেশি। তবে, এর উচ্চ মানের কারণে এটি দামের দিক থেকেও
ভুট্টার সাইলেজের দাম নির্ভর করে
- সাইলেজের ধরণ: বাজারে বিভিন্ন ধরণের ভুট্টার সাইলেজ পাওয়া যায়। যেমন, ভুট্টার ডাঁটার সাইলেজ, ভুট্টার পাতার সাইলেজ, এবং ভুট্টার দানার সাইলেজ। সাইলেজের ধরণের উপর নির্ভর করে দাম কিছুটা কমবেশি হতে পারে।
- সাইলেজের মান: উচ্চ মানের সাইলেজের দাম অবশ্যই কম মানের সাইলেজের তুলনায় বেশি হবে।
- বাজারের চাহিদা: বাজারে ভুট্টার সাইলেজের চাহিদা বেশি হওয়ায় এর দামও কিছুটা বেশি হতে পারে।
ভুট্টার সাইলেজের আনুমানিক দাম:
- ভুট্টার ডাঁটার সাইলেজ: প্রতি কেজি ৳ 10-15
- ভুট্টার পাতার সাইলেজ: প্রতি কেজি ৳ 8-12
- ভুট্টার দানার সাইলেজ: প্রতি কেজি ৳ 15-20
ভুট্টার সাইলেজ কেনার জন্য টিপস:
- সাইলেজ কেনার আগে বাজারের দাম সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
- বিভিন্ন বিক্রেতার কাছ থেকে দাম জিজ্ঞাসা করে সবচেয়ে কম দামে সাইলেজ কিনুন।
- সাইলেজ কেনার সময় সাইলেজে যেন কোনো ছত্রাক বা পোকামাকড় না থাকে তা নিশ্চিত করুন।
- আপনার পশুর জন্য সঠিক ধরণের সাইলেজ নির্বাচন করুন।
ভুট্টার সাইলেজ এর দাম-vutta silej dam koto
সাইলেজের ধরণ | আনুমানিক দাম (প্রতি কেজি) |
---|---|
ভুট্টার ডাঁটার সাইলেজ | ৳ 10-15 |
ভুট্টার পাতার সাইলেজ | ৳ 8-12 |
ভুট্টার দানার সাইলেজ | ৳ 15-20 |
সাইলেজ বিক্রয়
সাইলেজ বিক্রয়: আপনার ব্যবসার নতুন দিগন্ত
সাইলেজ পশুখাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটি তৈরি করা হয় ঘাস, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, ওট, এবং অন্যান্য উদ্ভিদ থেকে। বায়ুরোধী পরিবেশে সংরক্ষণ করার ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকে এবং পশুদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করে।
আপনি যদি পশুপালন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকেন, তাহলে সাইলেজ বিক্রয় আপনার জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। বাজারে সাইলেজের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ হলো, পশুপালকরা তাদের পশুদের জন্য উচ্চ মানের খাদ্য সরবরাহ করতে চান।
সাইলেজ বিক্রয় শুরু করার জন্য আপনার যা যা করতে হবে:
১. বাজার সম্পর্কে জানুন:
- আপনার এলাকায় কতটা সাইলেজের চাহিদা আছে তা জেনে নিন।
- বাজারে কত ধরণের সাইলেজ পাওয়া যায় এবং তাদের দাম কত তা জেনে নিন।
- আপনার প্রতিযোগীরা কারা এবং তারা কীভাবে ব্যবসা করছে তা জেনে নিন।
২. সাইলেজের উৎস নির্ধারণ করুন:
- আপনি নিজেই সাইলেজ তৈরি করতে পারেন অথবা অন্যদের কাছ থেকে কিনে বিক্রি করতে পারেন।
- নিজে তৈরি করলে, সাইলেজ তৈরির প্রশিক্ষণ নিন এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করুন।
- অন্যদের কাছ থেকে কিনলে, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী খুঁজে বের করুন।
৩. সাইলেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন:
- সাইলেজ ভালোভাবে সংরক্ষণ না করলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- বায়ুরোধী সাইলোতে সাইলেজ সংরক্ষণ করুন।
- সাইলোতে সাইলেজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করার প্রশিক্ষণ নিন।
৪. বাজারজাতকরণ:
- আপনার সাইলেজের বাজারজাতকরণ করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন।
- স্থানীয় পশুপালকদের কাছে আপনার সাইলেজের প্রচার করুন।
- অনলাইনেও আপনার সাইলেজ বিক্রি করতে পারেন।
৫. গ্রাহক সেবা:
- আপনার গ্রাহকদের ভালো সেবা প্রদান করুন।
- তাদের চাহিদা অনুযায়ী সাইলেজ সরবরাহ করুন।
- তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।
সাইলেজ বিক্রয় একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করলে আপনি এই ব্যবসায় সফল হতে পারবেন।
সাইলেজ বিক্রয়
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
বাজার | ক্রমবর্ধমান চাহিদা |
সাইলেজের উৎস | নিজে তৈরি/অন্যদের কাছ থেকে কেনা |
সংরক্ষণ | বায়ুরোধী সাইলো |
বাজারজাতকরণ | স্থানীয়/অনলাইন |
গ্রাহক সেবা | ভালো |
সাইলেজ এর উপকারিতা-silezer upokarita
সাইলেজ এর উপকারিতা-silezer upokarita: পশুদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য
সাইলেজ পশুখাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটি তৈরি করা হয় ঘাস, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, ওট, এবং অন্যান্য উদ্ভিদ থেকে। বায়ুরোধী পরিবেশে সংরক্ষণ করার ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকে এবং পশুদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করে।
সাইলেজ এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপকারিতা হলো:
১. পুষ্টি: সাইলেজে প্রচুর পরিমাণে শক্তি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে যা পশুদের সুস্থ ও
২. দীর্ঘস্থায়ী: সাইলেজ দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকে। এটি তৈরি করার পর অনেক মাস ধরে এটি ব্যবহার করা
৩. সুস্বাদু: পশুরা সাইলেজ খেতে পছন্দ করে। এটি তাদের খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধি করে এবং তাদের
৪. পরিবেশবান্ধব: সাইলেজ তৈরির মাধ্যমে খাদ্য অপচয় রোধ করা সম্ভব। এটি পরিবেশের জন্য
৫. লাভজনক: সাইলেজ তৈরি ও বিক্রয় একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে।
সাইলেজ এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- দাম বেশি: অন্যান্য পশুখাদ্যের তুলনায় সাইলেজের দাম একটু বেশি।
- তৈরিতে জটিলতা: সাইলেজ তৈরিতে কিছুটা জটিলতা রয়েছে।
- সংরক্ষণের ঝুঁকি: সাইলেজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
তবে সাইলেজ এর উপকারিতাগুলো এর অসুবিধাগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। তাই পশুদের জন্য সাইলেজ একটি
সাইলেজ এর উপকারিতা-silezer upokarita
বিষয় | সুবিধা | অসুবিধা |
---|---|---|
পুষ্টি | প্রচুর পরিমাণে শক্তি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ | দাম বেশি |
দীর্ঘস্থায়ী | দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকে | তৈরিতে জটিলতা |
সুস্বাদু | পশুরা সাইলেজ খেতে পছন্দ করে | সংরক্ষণের ঝুঁকি |
পরিবেশবান্ধব | খাদ্য অপচয় রোধ করে | |
লাভজনক | লাভজনক ব্যবসা |
পশুদের জন্য সাইলেজ একটি পুষ্টিকর ও লাভজনক খাদ্য। আপনি যদি পশুপালন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকেন, তাহলে আপনার পশুদের জন্য সাইলেজ ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করুন।
সাইলেজ তৈরির নিয়ম-ভুট্টার সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি-silej toirir niyom bangla
সাইলেজ তৈরির নিয়ম: ভুট্টার সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি
সাইলেজ পশুখাদ্যের একটি জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর উৎস। এটি তৈরি করা হয় ঘাস, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, ওট, এবং অন্যান্য উদ্ভিদ থেকে। বায়ুরোধী পরিবেশে সংরক্ষণ করার ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকে এবং পশুদের জন্য সুস্বাদু খাবার সরবরাহ করে।
ভুট্টার সাইলেজ পশুদের জন্য একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য। এতে প্রচুর পরিমাণে শক্তি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে। ভুট্টার সাইলেজ তৈরি করা তুলনামূলকভাবে সহজ।
ভুট্টার সাইলেজ তৈরির নিয়ম:
১. ভুট্টা কাটা:
- ভুট্টার দানা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার আগে, যখন দানার আর্দ্রতা 65-70% থাকে তখন ভুট্টা কেটে নিতে হবে।
- ভুট্টা কাটার পর দ্রুত সাইলেজ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
২. কুঁচি করা:
- ভুট্টার ডাঁটা ও পাতা সহ ছোট ছোট টুকরো করে কুঁচি করে নিতে হবে।
- কুঁচি করার ফলে সাইলেজ তৈরি ও সংরক্ষণ করা সহজ হয়।
৩. মিশ্রণ:
- কুঁচি করা ভুট্টার সাথে 1-2% লবণ মিশিয়ে নিতে হবে।
- লবণ সাইলেজের গাঁজন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং এটিকে নষ্ট হতে বাঁচায়।
৪. সাইলেজে ভরাট:
- মিশ্রিত ভুট্টা বায়ুরোধী সাইলোতে ভরে দিতে হবে।
- সাইলো ভরার সময় ভেতরে বাতাস না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৫. চাপ প্রয়োগ:
- সাইলো ভরার পর উপরে ভারী বস্তু দিয়ে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
- চাপ প্রয়োগ করার ফলে সাইলেজের ভেতর থেকে বাতাস বেরিয়ে যায় এবং গাঁজন প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।
৬. গাঁজন:
- সাইলোতে ভরা ভুট্টা বায়ুরোধী পরিবেশে 2-3 সপ্তাহ ধরে গাঁজন হয়।
- গাঁজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভুট্টায় থাকা শর্করা ল্যাকটিক অ্যাসিডে পরিণত হয়।
- ল্যাকটিক অ্যাসিড সাইলেজকে দীর্ঘ সময় ধরে ভালো রাখে।
৭. খোলা ও ব্যবহার:
- 2-3 সপ্তাহ পর সাইলো খুলে সাইলেজ ব্যবহার করা
ভুট্টার সাইলেজ তৈরির সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:
- ভুট্টা কাটার সঠিক সময়
- কুঁচি
- সাইলো
- চাপ প্রয়োগ
- গাঁজন
সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি চিত্র
সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি চিত্র
সাইলেজ তৈরি হয় একটি পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতি অনুসরণ করে। প্রতিটি ধাপ সতর্ক থেকে সাইলেজ উৎপাদন করলে তার গুণগত মান অনেক ভালো হয় এবং বেশি দিন সংরক্ষণ করে খাওয়ানো যায়।
ফুল আসার আগে একই পরিপক্বতার ঘাসগুলো কেটে নিতে হবে। সবুজ ঘাসের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সাইলেজ হয় ভুট্টার। কারণ এই সাইলেজে কাণ্ড, পাতার সঙ্গে ভুট্টাও থাকে, যার ফলে দানাদার খাদ্যের চাহিদাও পূরণ হয়। এ জন্য আধা কাঁচা ভুট্টা থাকার সময় সংগ্রহ করা ভালো।
প্রথম পদক্ষেপ :
সঠিক পর্যায়ে ভুট্টা কাটা
দ্বিতীয় পদক্ষেপ:
ভুট্টার ডালপালা কাটা সমস্ত কিছু স্তুপ আকারে এক জায়গা জমা করা
তৃতীয় পদক্ষেপ:
লবণের সাথে কাটা ভুট্টা মেশানো,ফার্মেন্টেশন বা গাঁজন প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করার জন্য চিনিজাতীয় উপাদান যুক্ত করা যায়।এ জন্য লালিগুড় বা মোলাসেস ব্যবহার করা যেতে পারে। তা ছাড়া লাল চিনিও ব্যবহার করা যায়। (বি.দ্র. ভুট্টা ও জার্মান ঘাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে মোলাসেস প্রয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে না)।
চতুর্থ পদক্ষেপ:
এবার সংরক্ষণের জন্য সিলো বা পাত্র ঠিক করতে হবে। এ জন্য স্টিক ব্যাগ বা বস্তা ও ড্রাম ব্যবহার করা যায়। তা ছাড়া মাটিতে পুঁতেও সংরক্ষণ করা যায়।
পঞ্চম পদক্ষেপ:
সাইলেজ আনসিলিং এবং ব্যবহার করা
শেষ কথা
ভুট্টার সাইলেজ তৈরি করা সহজ, তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়াটিতে ভুট্টা কাটা, কুঁচি করা, লবণ মিশ্রণ, সাইলেজে ভরাট, চাপ প্রয়োগ, গাঁজন এবং খোলা ও ব্যবহার – এই স্টেপগুলো অন্তর্ভুক্ত।
আপনার এই পোস্টটি কি ভালো লেগেছে ,ভালো লাগলে একটা কমেন্ট করেন আর আমার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন বলে আশা করছি। ধন্যবাদ।
লোকেরা যে সমস্ত প্রশ্ন প্রায়ই জিজ্ঞাসা করে
সাইলেজ কি?
সাইলেজ হলো এক ধরণের খাদ্য যা ঘাস, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, ওট, এবং অন্যান্য উদ্ভিদ থেকে তৈরি করা হয়। এগুলোকে বায়ুরোধী পরিবেশে সংরক্ষণ করা হয় যাতে এগুলো দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকে এবং পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
২. সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি কি?
সাইলেজ তৈরির জন্য প্রথমে ঘাস বা অন্যান্য উদ্ভিদকে কেটে নেওয়া হয়। এরপর সেগুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে কাটা হয় এবং বায়ুরোধী সাইলোতে সংরক্ষণ করা হয়। সাইলোতে সংরক্ষণ করার আগে, কিছু ব্যাকটেরিয়া বা এনজাইম যোগ করা হয় যা খাদ্যটির সংরক্ষণে সাহায্য করে।
সাইলেজ কতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়
সাইলেজ ভালোভাবে তৈরি করা হলে এবং সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে এটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা যায়।
সাইলেজ কোথায় পাওয়া যায়?
সাইলেজ কৃষি সরবরাহের দোকান, খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, এবং অনলাইনে পাওয়া যায়।
সাইলেজের সুবিধা কি কি?
সাইলেজ পশুদের জন্য একটি উচ্চমানের খাদ্য।
এটি দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকে।
এটি তৈরি করা তুলনামূলকভাবে সহজ।
এটি পশুদের জন্য সুস্বাদু খাদ্য।
সাইলেজের অসুবিধা কি কি?
সাইলেজ তৈরিতে কিছুটা খরচ হয়।
সাইলেজ তৈরির সময় কিছু পরিমাণে পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে পারে।
সাইলেজ যদি ভালোভাবে তৈরি না করা হয় তবে এটি পশুদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
Banglapoints.com এ আপনাদের স্বাগতম।ব্লগিংয়ে আমার দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা। আমার এই দীর্ঘ ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার বানানো অনেকগুলো ওয়েবসাইট এর মধ্যে এটি একটি।আমার বিশ্বাস যে ক্যাটাগরিগুলো আমার ওয়েবসাইট এ আছে এগুলো একজন ভিসিটরকে 100% আসল এবং নিরাপদ কনটেন্ট প্রদান করবে যাতে যা কেউ প্রপার নলেজ ,ইনস্পিরেশন ও গাইডেন্স পায়।