🚨 বাংলাদেশে প্রথমবার! ৫ কোটি শিশুকে ফ্রি টাইফয়েড টিকা — শুরু সেপ্টেম্বর থেকে

বাংলাদেশে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় টিকাদান অভিযান! ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিনামূল্যে ৫ কোটি শিশু ও কিশোর পাবে টাইফয়েড প্রতিরোধী টিকা। জানুন নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও সব তথ্য একসাথে।

টাইফয়েড প্রতিরোধে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হবে বিশাল পরিসরে। ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে শুরু হতে যাওয়া এই জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির লক্ষ্য, প্রায় পাঁচ কোটি শিশু ও কিশোরকে এক ডোজ টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (TCV) দেওয়া।

---

কারা এই টিকার আওতায় আসবে

• বয়সসীমা: ৯ মাস থেকে ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত সব শিশু ও কিশোর।
• ভৌগোলিক কভারেজ: শহর, গ্রাম, পাহাড়, চর—সব অঞ্চলই এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত।

---

নিবন্ধন প্রক্রিয়া

টিকা নেওয়ার জন্য অনলাইন নিবন্ধন শুরু হয়েছে ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে।
📌 নিবন্ধনের ওয়েবসাইট: vaxepi.gov.bd/registration/tcv
📌 যা লাগবে:

• ১৭ সংখ্যার জন্মনিবন্ধন নম্বর
• অথবা জন্মনিবন্ধন না থাকলে বাবা/মায়ের মোবাইল নম্বর
  📌 নিবন্ধন শেষে অনলাইনে ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে, যা টিকার দিনে সঙ্গে রাখতে হবে।

---

টিকাদানের ধাপভিত্তিক পরিকল্পনা

1. প্রথম ১০ কর্মদিবস — স্কুলভিত্তিক টিকাদান ক্যাম্পে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
2. পরবর্তী ৮ দিন — যারা স্কুলে যায় না বা বাইরে থাকে, তারা নিকটবর্তী ইপিআই (EPI) কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবে।

---

টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (TCV) কেন গুরুত্বপূর্ণ

• টাইফয়েড একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়।
• এই টিকা ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা দেয়।
• বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) শিশুদের নিয়মিত টিকাদানে TCV অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে।

---

নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সহায়তা

এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা দিচ্ছে গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন, এই টিকা নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই সামান্য।

উপসংহার:
সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই জাতীয় কর্মসূচি দেশের শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। সহজ নিবন্ধন, পর্যাপ্ত কভারেজ এবং নিরাপদ টিকা প্রদানের মাধ্যমে এটি টাইফয়েড নির্মূলে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।