কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ বেশি এই ২০২৫ সালে জানাবো বিস্তারিত

বর্তমানে বাংলাদেশে এই ২০২৫ সালে ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরে সবচেয়ে নিরাপদ ও বেশি লাভ দেওয়া ব্যাংক,সবাইকে শুভেচ্ছা, আজকের আলোচনা-কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ বেশি এই ২০২৫ সালে জানাবো বিস্তারিত, সরাসরি আলোচনায় চলে যাব, আর্টিকেলটি লিখার জন্য আমি অনেক পরিশ্রম করেছি, যেন আমার পাঠকরা সঠিক একটা তথ্য পায়, এবং জমানো টাকা যেন না হারায় ও ওই জমানো টাকার উপর যেন মোটামুটি একটা ভালো লভ্যাংশ পায়। অনুরোধ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার।

কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ বেশি এই ২০২৫? 💰

২০২৫ সালে টাকা জমাতে গেলে ব্যাংকের সুদের হার এবং ব্যাংকের সেবা দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, সঠিক ব্যাংক নির্বাচন করে আপনার সঞ্চয়ে লাভ বাড়ানো সম্ভব।

ভালো সুদের হার এবং লাভজনক ব্যাংকগুলোর মধ্যে কিছু নাম:

  1. বাংলাদেশ ব্যাংক (Bangladesh Bank):
    • বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণত সুদের হার কম রাখলেও, তাদের অধীনে পরিচালিত ব্যাংকগুলোর সুদের হার ভালো থাকে। সরকারি সঞ্চয়পত্র এবং সেভিংস স্কিমগুলোর মাধ্যমে আপনি লাভ পেতে পারেন।
  2. ব্যাংক এশিয়া (Bank Asia):
    • সঞ্চয়ী হিসাব এবং ডিপোজিট স্কিমে ভালো সুদের হার প্রদান করে, যা ৬%-৭% পর্যন্ত হতে পারে।
  3. ইস্টার্ন ব্যাংক (Eastern Bank Limited – EBL):
    • EBL সেভিংস অ্যাকাউন্টে তুলনামূলক ভালো সুদ প্রদান করে এবং ডিজিটাল সেবা খুব ভালো।
  4. অগ্রণী ব্যাংক (Agrani Bank):
    • সরকারী ব্যাংক হলেও এখানে সুদের হার ভালো এবং নিরাপত্তা বেশি থাকে।
  5. এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক (NRB Commercial Bank):
    • এই ব্যাংকটি সঞ্চয়ী হিসাব এবং ডিপোজিটে সুদের হার বেশ আকর্ষণীয় রাখে।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:

এই তথ্যটি দিয়েছেন ড. মোহাম্মদ শাহীন, ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি ব্যাংকিং ইনস্টিটিউট। তিনি বলেন, “ব্যাংক নির্বাচন করার সময় সুদের হার, ব্যাংকের সেবার মান এবং নিরাপত্তা যাচাই করা উচিত। আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় করতে চান, তবে সঞ্চয়পত্র এবং ডিপোজিট স্কিমগুলো ভালো অপশন।”

এই মুহূর্তে দেশের যা অবস্থা, আর ব্যাংকগুলোর অবস্থা তো আরো করুণ, কিন্তু আমি যা রিসার্চ করে পেলাম আপনার টাকা জমানোর জন্য এখন একটা পারফেক্ট সময় আমাদের বাংলাদেশে এই সময়ে, কারণে এই সময় আপনার টাকা হারানোর কোন ভয় নেই, এবং আপনার জমানো টাকার উপর সবগুলো ব্যাংক আপনাকে মোটামুটি ভালো একটা লভ্যাংশ দিবে-আর্টিকেলটি সম্পূর্ণটা পরলেই আপনি বুঝতে পারবেন।

সবচেয়ে বেশি মুনাফা দিচ্ছে যে ব্যাংক টাকা জমানোর জন্য-কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ বেশি

ক্রমিক নং ব্যাংকের নাম মুনাফা ও সুদের হার
০১রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক৭.৫০ % হতে ৮.২৫ %
০২বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক৬ % হতে ৭ %
০৩সোনালী ব্যাংক পি এল সি৭.২৫% হতে ৮.২৫ %
০৪অগ্রণী ব্যাংক পি এল সি৭.২৫ % হতে ৮.০০ %
০৫জনতা ব্যাংক পি এল সি৭.৫০ % হতে ৮ %
০৬রূপালী ব্যাংক পি এল সি৬.৫০ % হতে ৭ %
০৭বেসিক ব্যাংক লিমিটেড৪ % হতে ৮ %

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

হালকাভাবে নিবেন না প্রত্যেকটা ডাটা ব্যাংকগুলোর ওয়েবসাইট থেকে আমি সংগ্রহ করেছি।

সব সময়ের জন্য সরকারি ব্যাংকগুলো টাকা রাখার জন্য টাকা জমা রাখার জন্য নিরাপদ। আপনার টাকা যদি সেপ থেকে সেপেস্ট পর্যায়ে রাখতে চান তাহলে সরকারি ব্যাংকগুলো বেছে নিন। কারণ বেসরকারি ব্যাংকগুলো চালায় পরিচালক আর পরিচালক যেকোনো সময় চেঞ্জ হতে পারে আর ইদানিং কালে আপনারা দেখেছেন চট্টগ্রামে একটা গোষ্ঠী কয়েকটি ব্যাংকে গিলে খেয়ে ফেলেছে। আপনার কষ্টের অর্থ যদি খুবই নিরাপদ রাখতে চান তাহলে আপনি সরকারি ব্যাংক কে বেছে নিন। টাকা জমা রাখার জন্য কোন ব্যাংক বেছে নিবেন এখন কি বুঝতে পারছেন না বুঝতে পারলে আর্টিকেলটি শেষ করুন।

কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ বেশি
সবচেয়ে বেশি মুনাফা দিচ্ছে যে ব্যাংক টাকা জমানোর জন্য

সরকারি ব্যাংকগুলো হল সোনালী ,রূপালী, অগ্রণী ,জনতা ,রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং আরো কিছু সরকারি বিশেষায়িত ব্যাংক রয়েছে। কিন্তু আপনারা বেশ কিছুদিন হলো একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন সোনালী রূপালী অগ্রণী জনতা এই ব্যাংকগুলোর শেষে লিমিটেড শব্দটি যোগ করা হয়েছে।

এর অর্থ তাদের মালিকানার কিছু অংশ প্রাইভেট বা ব্যক্তি খাতে চলে গিয়েছে। তার পরেও কেন সরকারি বলা হচ্ছে তাদেরকে-কারণ হলো সোনালী ,রূপালী, অগ্রণী ,জনতা এসব ব্যাংকের ৫০% এর বেশি শেয়ার সরকারের হাতে। এগুলো সরকারি হলেও পুরোটা সরকারি না। টাকা জমানোর জন্য এই ব্যাংকগুলো কি সবচেয়ে ভালো।

এখন সরকারি ব্যাংক মূলত বলা হয় বা বলা যায় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এই দুটো ব্যাংককে। এখন যারা রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বসবাস করেন তারা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পাবেন না তারা পাবেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। আপনারা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক সিলেক্ট করতে পারেন টাকা জমা রাখার জন্য। এই ব্যাংকটি টাকা জমানোর জন্য আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হতে পারে।

আর যারা রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বাইরে রয়েছেন তারা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংককে সিলেক্ট করতে পারেন এই দুটো ব্যাংক আমার কাছে খুবই নির্ভরযোগ্য মনে হয়, এখানে আপনার টাকা হারানোর ভয়টা অন্তত নেই লাভের পরিমাণ একটু কম হলেও এখানে আপনি টাকা একটা নিশ্চিত নির্ভরযোগ্য জায়গা পাচ্ছেন। আর যাদের কলিজা বড় রিক্স নিতে পারবেন বেশি তারা প্রাইভেটে যে কোন ব্যাংকে সিলেক্ট করতে পারেন তারা আপনাকে লভ্যাংশ বেশি দিবে কিন্তু টাকা ফেরত পাবেন কিনা এ নিয়ে একটা সন্দেহ থেকেই যায়।

মুনাফা ঝুঁকি বহনের পুরস্কার যারা মনে করেন তারা প্রাইভেট ব্যাংক আর যারা মনে করেন যে আমার যে টাকা আছে সেটা আমার যক্ষের ধন তাহলে আপনি এই দুটো সরকারি ব্যাংকের যেকোনো একটাকে বেছে নিন। আমি শুধু আপনাকে টাকা জমানোর জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো এই টপিকে একটা ভালো পরামর্শ দিতে চাচ্ছি দিনশেষে যেন আপনার ভালো হয়।

বর্তমান সময়ে একটা জিনিসই ঝোঁক দেখা যাচ্ছে ব্যাংকগুলোর সেটি হল গ্রাহকদের বেশি মুনাফা দিয়ে নিজের কাছে আকর্ষণ করা অবশ্যই এর পিছনে একটি লজিক আছে। কিছু কিছু ব্যাংক গ্রাহক ধরার ফাঁদ পেতেছে বেশি ইন্টারেস্ট দিয়ে আমানত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সাবধান। আমি আপনাকে এখানে কিছু ব্যাংকের ক্রাইটেরিয়া বলে দেবো, কোন ব্যাংকের নাম নেব না কারণ নাম নিলে সে ক্ষেত্রে আপনি এটি কে অমূলক মনে করত পারেন।

কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ বেশি
কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ বেশি

কোন কোন ব্যাংক তাদের পাঁচ বছরের বা সাড়ে পাঁচ বছরের আমানতে দ্বিগুণ লাফ দেওয়ার কথা বলছে, এক্ষেত্রে গ্রাহক মনে করছে টাকাটা ফেরত পাবো তো না আম ও যাবে সালা ও যাবে। সবাই চাই তার কষ্টের অর্জিত পয়সাটা যেন নিরাপদ থাকে, আর শেষ মেস যেন সুদ না এলেও আসলটা আসে।

এবার আসেন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করি অনেক ইসলামী শরিয়া সম্মত ব্যাংক গুলো ৬ বছরে টাকা দ্বিগুণ করে দেবে লাভ দেবে এই কথা বলে আমানত সংগ্রহ করছে কথা হলো কোন ইসলামী শরিয়া সম্মত ব্যাংক কোন ফিক্সড অ্যামাউন্ট লাভ আপনাকে দিতে পারবে না মানে সেটা আগে থেকে বলতে পারবেনা সেটা তাদের নিবন্ধনই নেই।

এখন যদি আপনাকে পাঁচ বছর পরে ইসলামী ব্যাংকগুলো এক লক্ষ টাকা দিতে চায় আর সেটা দিতে না পেরে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয় তাহলে আপনার কিছু করার নেই, কারণ অভিযোগ টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে গেলে তারা কিছু করতে পারবে না কারণ ইসলামী ব্যাংকগুলো নিবন্ধনে তাদের লভ্যাংশের কোন ফিক্সড এমাউন্ট কোন গ্রাহকে দিতে পারবে না। আপনি ১ লক্ষ টাকার বেশি পেতে পারেন বা কমও পেতে পারেন, নিবন্ধনের সময় ইসলামী ব্যাংকগুলোর নিয়ম নীতিতে এটা লেখা আছে।

তাহলে এটা আপনি নিশ্চিত ভেবে নেন যে যদি কোন ইসলামী ব্যাংকগুলো আপনাকে টাকা ডাবল করে দেওয়ার কথা বলে তো সে ক্ষেত্রে তারা আপনাকে বিভ্রান্ত করছে। কারণ তারা নির্দিষ্ট কোন এমাউন্ট দিতে বাধ্য না

এবার আলোচনা করব কনভেনশনাল ব্যাংক গুলো নিয়ে মানে যেগুলো ইসলামী শরিয়াসম্মত ব্যাংক নয়, এই ব্যাংকগুলো আপনাকে যে রেট দিতে চেয়েছে সেই রেট দিতে তারা বাধ্য, এই রেট তারা কোন অবস্থাতেই কমাতে পারবে না। ওদের চুক্তি পড়ে নেবেন ওদের চুক্তিতে থাকলে ওরা দিতে বাধ্য।

অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের “ব্যাংকস হেলথ ইনডেক্স অ্যান্ড হিটম্যাপ” এই প্রতিবেদনে বেশ কিছু হেভি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা হয়, যে কোন কোন ব্যাংক গ্রীন জোনে ,আর কোনগুলো ইয়োলো জোনে আর কোনগুলো রেড জোনে আছে এরকম ভাবে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইনান্সিয়াল স্টাবিলিটি বিভাগ ,ছয় মাসের পারফরমেন্সের উপর ভিত্তি করে। এই অনুচ্ছেদটি পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন ব্যাংক ভালো আপনার কষ্টের টাকা জমানোর জন্য-Taka Jomanor Jonno Kon Bank Valo.

কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ বেশি
কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ বেশি

রেড জোনে থাকা ব্যাংকগুলো হলো-সরকারি ৪ টি ব্যাংক জনতা, অগ্রণী ,রূপালী ও বেসিক ব্যাংক, বেসরকারি খাতের চারটি ব্যাংক এই রেড জোনের মধ্যে রয়েছে পদ্মা ,ন্যাশনাল, এবি ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। এছাড়া রেড জোনে বিদেশি একটি ব্যাংক রয়েছে সেটি হল ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তান।

গ্রিন জোনে আছে ১৬ টি ব্যাংক এবং ইয়োলো জোনে আছে ২৯ টি ব্যাংক, সূচকের দিক থেকে গ্রীন জোন ভালো বোঝায় আর ইয়েলো জনকে মধ্যবর্তী স্থানকে বুঝায়। মানে মোটামুটি ভালো।

গ্রিন জোনে থাকা ১৬ টি ব্যাংক হলো-প্রাইম, ইস্টার্ন, হাবিব ,এনসিসি ,মিডল্যান্ড ,ব্যাংক আলফালাহ, ব্যাংক এশিয়া, সীমান্ত ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, উরি ব্যাংক, এইচএসবিসি, কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলন, সিটি ব্যাংক NA, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ, এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।

অপরদিকে ইয়োলো জোনে থাকা ২৯ টি ব্যাংক হলো-সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আই এফ আই সি ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ওয়ান ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এন আর বি ব্যাংক ,আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক,

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এন আর বি সি, মার্কেন্টাইল, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, এক্সিম, ডাচ বাংলা ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক।

আপনারা নিশ্চিন্তে গ্রিন জোনে যে সমস্ত ব্যাংক রয়েছে সেগুলোতে টাকা জমা রাখতে পারেন, আবার টাকা জমার ক্ষেত্রে ইয়োলো জোন কেউ বেছে নিতে পারে, কিন্তু রেড জনকে এভয়েড করবেন কিনা এই বিষয়ে আমি জানিনা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ইদানিং কালে তো বলেছে কোন ব্যাংক দেউলিয়া হবে না মার্জ হতে পারে তো আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন আপনার জমানো টাকা নিয়ে ভাবনা করার দরকার নেই। আর স্বাধীনতার পর এরকম কোন ঘটনা এখন পর্যন্ত হয়নি। এতক্ষণ পর্যন্ত আমার মনে হয় আপনার সেই যোগ্যতা হয়ে গেছে আপনার কষ্টের টাকা জমানোর জন্য ভালো একটি ব্যাংক বেছে নেওয়ার।

১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে মাসে কত টাকা পাওয়া যায় ২০২৫

অলরাইট এবার আলোচনা করব-১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে মাসে কত টাকা পাওয়া যায় ২০২৫, ২০২৫ সালে আপনি যদি ১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখেন তাহলে মাসে কত টাকা লাভ পাবেন, এটা খুবই একটা টেকনিক্যাল প্রশ্ন। এই একটা অনুচ্ছেদে আমি যদি এটার উত্তর দিতে চাই তাহলে আর্টিকেলটি অনেক লম্বা হয়ে যাবে।

তাই আপনাকে অনুরোধ করছি, আজকে আপনি বাংলাদেশে যদি এক লক্ষ টাকা যে কোন ব্যাংক রাখেন তাহলে মাস শেষে আপনি কত টাকা পাবেন এই টপিকটির উপর আমার একটা ডেডিকেটেড আর্টিকেল লেখা রয়েছে আমার এই ওয়েবসাইটটিতে আপনি শুধু একটা ক্লিক করে সে আর্টিকেলটিতে চলে যান, আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়ে যাবেন, একই আলোচনা আমি এখানে পুনরাবৃত্তি করতে চাচ্ছি না।

টাকা জমানোর জন্য কোন ব্যাংক ভালো ২০২৫

এ আলোচনাটি আরো গুরুত্বপূর্ণ-টাকা জমানোর জন্য কোন ব্যাংক ভালো ২০২৫, সবচেয়ে ভালো ব্যাংক আপনি কিভাবে খুজে পাবেন অন্তত এই ২০২৫ সালে বাংলাদেশে টাকা জমানোর জন্য। প্রায় এক মাস ধরে রিসার্চ করে আমি একটা আর্টিকেল লিখেছি যেটা আমার ওয়েবসাইটে অলরেডি পাবলিশ করা আছে, আপনি শুধু এখানে একটা ক্লিক করে টাকা জমানোর জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো এই ২০২৫ সালে এই আর্টিকেলটিতে চলে যাবেন আপনি আপনার টাকা জমানার জন্য ভালো একটা ব্যাংক বেছে নিতে পারবেন আর্টিকেলটি পড়ার পর।

একই আলোচনা বারবার পুনরাবৃত্তি করতে চাচ্ছি না আমি, ডেডিকেটেড আর্টিকেল একটা যখন রয়েছেই তখন এখানে আলোচনা করা বোকামি শুধু একটা ক্লিকের ব্যাপার আপনি চলে যাবেন সেই আর্টিকেলটিতে।

কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ বেশি-আমি আশা করব আপনার একটা ধারণা হয়ে গেছে এই ২০২৫ সালে কোন ব্যাংকে টাকা রাখবেন এবং কোন ব্যাংক বেশি লাভ দিচ্ছে এই বিষয়ে, আপনাকে ধারণা দেওয়াই আমার কাজ ছিল, কাজটি আমি কতটুকু করতে পেরেছি একটা কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন আর আমার লেখা ভালো লাগলে আমার ওয়েবসাইটটি একটু ভিজিট করে যাবেন দেখা হবে নতুন কোন একটা আর্টিকেল নিয়ে ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকবেন।

কোন ব্যাংকে কত মুনাফা দেয় ?

কোন ব্যাংকে কত টাকা পাবে, এটা নির্ভর করে কয়েকটা জিনিসের উপর:
তুমি কতদিনের জন্য টাকা রাখছ: এক মাস, ছয় মাস না এক বছর?
তুমি কত টাকা রাখছ: যত বেশি রাখবে, তত বেশি সুদ পাওয়ার সম্ভাবনা।
কোন ব্যাংকে রাখছ: প্রতিটা ব্যাংকের নিজস্ব নিয়ম আছে।
দেশের অর্থনীতি কেমন: সবকিছু ঠিক থাকলে সুদ বেশি পাওয়া যায়।
কিভাবে জানতে পারবে?
ব্যাংকের ওয়েবসাইট: সবচেয়ে সহজ উপায়।
ব্যাংকের শাখায় গিয়ে: কর্মচারীরা তোমাকে সব বুঝিয়ে দিবে।
আর্থিক সংবাদ দেখে: কোন ব্যাংক বেশি সুদ দিচ্ছে, সেটা জানতে পারবে।

কোন ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে বেশি লাভ ?

কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে সবচেয়ে বেশি লাভ হবে, সেটা নির্ধারণের জন্য শুধু সুদের হার দেখলেই হবে না। আপনাকে ব্যাংকের নিরাপত্তা, সেবা, আর আপনার নিজের চাহিদাও বিবেচনা করতে হবে।
কিভাবে ভালো ব্যাংক বেছে নেবেন?
সুদের হার তুলনা করুন: বিভিন্ন ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারেন।
ব্যাংকের শাখায় গিয়ে কথা বলুন: কর্মচারীরা আপনাকে বিস্তারিত তথ্য দেবে।
আর্থিক পরামর্শদাতার সাহায্য নিন: একজন বিশেষজ্ঞ আপনাকে সঠিক পথ দেখাবে।

কোন ব্যাংকে সুদের হার বেশি ?

দেখ, ব্যাংকগুলো মাঝে মাঝেই সুদের হার বদলে দেয়। তাই আজকে যে ব্যাংক বেশি দিচ্ছে, কাল হয়তো অন্য ব্যাংক দিবে।
তুমি নিজেই কিভাবে জানতে পারবে?
ব্যাংকের ওয়েবসাইটে চেক করে দেখ: প্রায় সব ব্যাংকের ওয়েবসাইটেই তাদের সুদের হার দেওয়া থাকে।
ব্যাংকে গিয়ে কথা বলে: সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে কর্মচারীর কাছ থেকে সঠিক তথ্য নিয়ে নাও।
নিউজপেপার বা অনলাইনে খবর দেখ: অনেক সময় নিউজে ব্যাংকের সুদের হার নিয়ে খবর আসে।

সর্বনিম্ন কত টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করা যায় ?

সর্বনিম্ন কত টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করা যায়, তা বিভিন্ন ব্যাংকের ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যাংকের বিভিন্ন স্কিমে সর্বনিম্ন জমা রাখার পরিমাণ নির্ধারিত থাকে।

কৃষি ব্যাংক মাসিক মুনাফা কত ?

কেন আমি সরাসরি তথ্য দিতে পারছি না:
তথ্যের পরিবর্তন: সুদহার এবং স্কিমের শর্তাবলী নিয়মিত পরিবর্তিত হয়। আমি যদি এখন কোন তথ্য দিই, তাহলে সেটা হয়তো কালই পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে।
বিভিন্ন স্কিম: কৃষি ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের মাসিক মুনাফা স্কিম আছে। কোন স্কিমের কথা আপনি বলছেন, তা স্পষ্ট না থাকায় আমি নির্দিষ্ট কোন তথ্য দিতে পারছি না।
ব্যক্তিগত পরামর্শ: আপনার জন্য কোন স্কিম সবচেয়ে উপযুক্ত হবে, তা নির্ধারণের জন্য আপনার আয়, ব্যয়, ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা ইত্যাদি বিবেচনা করা দরকার। এটি আমার কাছে সম্ভব নয়।
আপনি নিজে কিভাবে সঠিক তথ্য পাবেন:
কৃষি ব্যাংকের ওয়েবসাইট: https://www.krishibank.gov.bd/
এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি বিভিন্ন স্কিম, সুদহার এবং শর্তাবলীর বিস্তারিত তথ্য পাবেন।

Leave a Comment