অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন এবং সোহানা সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও আর্টিকেলটি সোহানা সাবাকে নিয়ে নয়, তারপরেও যেহেতু একই দিনে দুজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সেহেতু তার কথাটিও বলে দিলাম।
আজ শুক্রবার বিকালে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ডিবি কার্যালয় থেকে মেহের আফরোজ শাওন এবং অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ ,যারা যোদ্ধা ছিলেন তারা জেনে খুশি হবেন ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক। এই খবরটি জেনে চলে যাবেন না তার চৌদ্দগুষ্টি নিয়ে আলোচনা করেছি আর্টিকেলটিতে আশা করছি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন গ্রেপ্তার
আগামীকাল শাওনকে সুনির্দিষ্ট মামলায় আদালতে উপস্থাপন করা হবে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ড চাওয়া হতে পারে, এদিকে এই অভিনেত্রী যিনি মেহের আফরোজ শাওন এবং যার আরেকটি পরিচয় রয়েছে, তিনি কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী, ইনার গ্রামের বাড়িতে, যেটি শাওনের বাবার বাড়ি-জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন, এই বাড়িটিতেও আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
তিনি অনেকদিন যাবত ছাত্র-জনতার এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ব্যঙ্গ করে কথা বলে আসছিলেন,এছাড়া গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ কলকাতার হোটেল পার্কে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের একটি সভায় তাঁর বিরুদ্ধে ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়ার একটি খবর প্রচারিত হয়েছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে।
একাধারে তিনি একজন অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, নির্মাতা ও স্থপতি মেহের আফরোজ শাওন। প্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী তিনি। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মাদ আলী ও মায়ের নাম তহুরা আলী। শাওনের মাতা জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ছিলেন। বাবাও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত।
এখানে উল্লেখ করে দিতে চাই কোন অভিযোগে শাওনকে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এক নজরে এই পোষ্টে কি কি থাকছে দেখে নিনঃ
মেহের আফরোজ শাওন এর সন্তান
মেহের আফরোজ শাওন তিনি দুই ছেলের মা, তার কোন কন্যা সন্তান নেই, ছেলে দুই টির নাম যথাক্রমে ,নিষাদ হুমায়ূন ,নিনিত হুমায়ূন, তিনি পক্ষে এত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন, যখন তিনি হুমায়ূন আহমেদকে বিয়ে করেন তখন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।মেহের আফরোজ শাওন-meher afroz shaon
তারা হুমায়ূন আহমেদের প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য শাওনকে ব্যাপকভাবে দোষারোপ করে থাকেন, অবশ্য দোষারোপ করারই কথা কিন্তু। তাদের দাবি, শাওনের প্ররোচনায় হুমায়ূন আহমেদ তার স্ত্রী গুলতেকিনকে ডিভোর্স দিয়ে মেয়ের বয়েসি এবং তারই নিজের মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করেন।অন্য একপক্ষ এ ব্যাপারটাকে অস্বীকার করেন। তাদের দাবি, প্রত্যেকের একটা নিজস্ব ব্যক্তিজীবন আছে এবং প্রত্যেককে সেই ব্যক্তিস্বাধীনতা দেওয়া উচিত।
মানুষের কর্মকাণ্ড দেখে তার চরিত্র সম্পর্কে একটু ধারণা করা যায়, তারপরেও এগুলো সত্যতা শুধু তারাই বলতে পারবে। এগুলো আমার শুধু ধারণা মাত্র।
মেহের আফরোজ শাওন এর জন্ম
শাওনের জন্ম ১২ অক্টোবর ১৯৮১ সাল।তার বাবা মোহাম্মাদ আলী ও মাতা তহুরা আলী। তহুরা আলী জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ছিলেন। শাওনের গ্রামের বাড়ি হল জামালপুর জেলার নরুন্দিতে।
মেহের আফরোজ শাওন বয়স
শাওনের জন্ম ১২ অক্টোবর ১৯৮১ সাল। এখন যদি আমরা তার বয়স হিসাব করি তাহলে ২০২৫ সালে এসে তার বয়স দাঁড়ালো ৪৩ বছর।
মেহের আফরোজ শাওন বিবাহ
কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মেহের আফরোজ শাওন বিয়ে হয় ২০০৪ সালের ১২ ডিসেম্বর, খুব সাদামাটা ভাবেই বিয়েটা হয়েছিল,বিয়ের ১৩তম বার্ষিকীতে বিয়ের দিনের কিছু গল্প তিনি তুলে ধরেছেন। এসব গল্প অনেকেরই অজানা। শাওন লিখেছেন, ‘খুব সাদামাটা ভাবে হওয়ার কথা ছিল আমার বিয়েটা। ভেবেছিলাম কোনো রকম একটা শাড়ি পরে তিনবার কবুল বলা আর একটা নীল রঙের কাগজে কয়েকটা সাইন।’
নিজের বিয়ের আগের দিনের গল্প বলতে গিয়ে শাওন লিখেছেন, ‘১১ ডিসেম্বর হুমায়ুন আমাকে জোর করে পাঠালেন নিউমার্কেটে, প্রথমে আমি যেতেই চাচ্ছিলাম না,উদ্দেশ্য একটা হলুদ শাড়ি কিনে আনা, যেন সন্ধ্যায় আমি হলুদ শাড়ি পড়ে নিজের গায়ে একটু হলুদ মাখি, তার মনের কথা ভেবে পাশে তিনি কষ্ট পান এই কথা ভেবে আমি গিয়েছিলাম নিউমার্কেটে। হুমায়ূন আহমেদ আমাকে বললেন, “তোমার নিশ্চয়ই বিয়ে নিয়ে, গায়েহলুদ নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। আমাকে বিয়ে করার কারণে কোনোটাই পূরণ হচ্ছে না। আমি খুবই লজ্জিত। তারপরও আমি চাই, আজ সন্ধ্যায় তুমি হলুদ শাড়ি পরে ফুল দিয়ে সাজবে, নিজের জন্য, তোমার ভবিষ্যৎ সন্তানের জন্য, আমার জন্য। আমরা দুজন মিলে আজ গায়েহলুদ করব।” আমি একা একা শাড়ি কিনেছি। গাঁদা ফুলের মালা কিনেছি। কী মনে করে একটা লাল পাঞ্জাবিও কিনেছি।’
শাওন আরও লিখেছেন, ‘সন্ধ্যায় নিজে নিজে সেজেছি। বাথরুমের আয়নায় নিজেকে দেখে আমার চোখ ফেটে পানি চলে আসে। চোখ মুছে খোঁপায়-কানে গাঁদা ফুলের মালা গুঁজেছি। হঠাৎ শুনি দরজায় ধুমধাম শব্দ। দরজা খুলে বেরিয়ে দেখি ডালা কুলো হাতে মাজহার ভাইয়ের স্ত্রী স্বর্ণা ভাবি, পাশে তিন বছরের ছোট্ট অমিয়, একটু দূরে লাল পাঞ্জাবি পরে হুমায়ুন ঠোঁট টিপে হাসছেন। হইহই করে ঘরে ঢুকলেন হুমায়ূন আহমেদ ও তার কিছু বন্ধু আর তাঁদের স্ত্রীরা। তাঁরা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যান পাশের রুমে।’
সেদিন যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের কথা মনে করে শাওন লিখেছেন, ‘চার-পাঁচটা প্রদীপ দিয়ে সাজানো ছোট্ট একটি রুম। সেখানে খুব সুন্দর ছিমছাম আয়োজন ছিল! লেখক মইনুল আহসান সাবের ভাইয়ের স্ত্রী কেয়া ভাবি আর মাজহার (প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম) ভাইয়ের স্ত্রী স্বর্ণা ভাবি আমার আর হুমায়ুনের হাতে রাখি পরালেন। সে কী খুনসুটি! সে কী আহ্লাদ! সে এক অন্য রকম গায়েহলুদ। আরেক ভাবি নামিরা সব মেয়ের হাতে মেহেদি দিয়ে দেন। আমার আর হুমায়ুনের দুই গাল কাঁচা হলুদে রাঙা।’
মেহের আফরোজ শাওন শিক্ষা জীবন
ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ (১৯৯৬ এর ক্লাস) তিনি মাধ্যমিক পাশ করেন,ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ (১৯৯৮ এর ক্লাস) সালে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন এরপর ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (২০০৮ এর ক্লাস) – স্থাপত্য প্রকৌশল-এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি, যা তাঁর মেধা ও পরিশ্রমের সাক্ষর বহন করে। বুয়েটের মতো প্রতিযোগিতামূলক প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া এবং সাফল্যের সঙ্গে ডিগ্রি লাভ করা তাঁর একাগ্রতা ও বুদ্ধিদীপ্ততার প্রমাণ। কিন্তু কার কখন বুদ্ধি লোপ পাবে কেউ জানে না, নিজের ধ্বংস মানুষ নিজেই ডেকে আনে।
শেষ কথা
মেহের আফরোজ শাওন-meher afroz shaon-অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন গ্রেপ্তার, বেশি কিছু বলা যায় না, যেমন কুকুর তেমন মুগুর, আপনি যখন দেখলেন এত বড় একটা গণহত্যা হয়ে গেল বাংলাদেশে, যেখানে আওয়ামী লীগ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত যেটা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিক জানে, আর এখানে এসে আপনি ওই দলের পক্ষ নিয়ে কথা বলবেন আর অন্তর্বর্তী সরকার আপনাকে ছেড়ে দেবে এরকম ভেবে বসে থাকা তার উচিত হয়নি।
Banglapoints.com এ আপনাদের স্বাগতম।ব্লগিংয়ে আমার দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা। আমার এই দীর্ঘ ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার বানানো অনেকগুলো ওয়েবসাইট এর মধ্যে এটি একটি।আমার বিশ্বাস যে ক্যাটাগরিগুলো আমার ওয়েবসাইট এ আছে এগুলো একজন ভিসিটরকে 100% আসল এবং নিরাপদ কনটেন্ট প্রদান করবে যাতে যা কেউ প্রপার নলেজ ,ইনস্পিরেশন ও গাইডেন্স পায়।